Happy Teachers Day: স্কুুলে না গিয়ে অনলাইনেই খুদে শিল্পীদের শিক্ষক দিবস

এখন ভার্চুয়াল হয়ে গিয়েছে শৈশব। এমন অবস্থায় স্বাধীনতা দিবস, সরস্বতী পুজো, শিশু দিবস - এমনকী শিক্ষক দিবসও পালিত হচ্ছে অনলাইনের মাধ্যমেই।

Happy Teachers Day: স্কুুলে না গিয়ে অনলাইনেই খুদে শিল্পীদের শিক্ষক দিবস
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Sep 05, 2021 | 6:29 PM

প্রায় দেড় বছর হতে চলল, বাচ্চারা কেউ স্কুলে যায় না। তাঁদের লেখাপড়া চলছে অনলাইন ক্লাসের মাধ্যমেই। স্কুল নেই। বন্ধুদের সঙ্গে খেলা নেই। শিক্ষকদের থেকে আদরও মিলছে না ছোট্ট প্রাণে। ভার্চুয়াল হয়ে গিয়েছে শৈশব। এমন অবস্থায় স্বাধীনতা দিবস, সরস্বতী পুজো, শিশু দিবস – এমনকী শিক্ষক দিবসও পালিত হচ্ছে অনলাইনের মাধ্যমেই। আজ শিক্ষক দিবস। অনলাইন মাধ্যমে কেটেছে তাঁদের দিনটা। মন খারাপের ঝুলি খুলে  TV9 বাংলাকে তাঁদের বক্তব্য জানাল বিনোদন জগতের শিশু শিল্পী অভিরূপ, লাড্ডু, উদিতারা।

অভিরূপ সেন : তোমরা তো জানোই আমাদের অনলাইন ক্লাস চলছে। আমরা কেউ স্কুলে যেতে পারছি না। অনেকদিন বন্ধুদের সঙ্গে আমার দেখা হয়নি। মিসদের সঙ্গেও দেখা হয়নি। তার উপর বুধবার থেকে আমার পরীক্ষা আছে। আমার প্রিয় টিচার পিয়ালী মুখোপাধ্যায় ম্যাম। আমার খুব ভালো লাগে ম্যামকে। ম্যাম আমার মায়ের মতো। আমি তো সিরিয়ালে-সিনেমায় অভিনয় করি, তাই স্কুলে গেলেই বন্ধুরা বলত ‘তুই সিরিয়াল করিস, কখন পড়বি।’ কিন্তু ম্যাম আমাকে খুব সাপোর্ট করেছেন। আমি সবসময় বলেছেন, কখনও গিভ আপ করবে না। তুমি যেমন ভাল অভিনেতা, তেমনই একজন ভাল স্টুডেন্টও। ম্যাম কিন্তু এখন আর আমাকে পড়ান না। তিনি এখন আর আমার ক্লাস টিচার নন। অভিনয় করলেও আমি অ্যাক্টর হতে চাই না। হতে চাই অ্যাস্ট্রোনট। মা বলেছে, এর জন্য আমাকে অনেক লেখাপড়া করতে হবে। ম্যাম আমাকে বলেছেন, “স্কাই ইজ দ্য লিমিট। অ্যান্ড ইউ আর লিমিটলেস।”

উদিতা মুন্সী : আমাদের এখন সবই ভার্চুয়ালি হচ্ছে। টিচার্স ডেও সেভাবেই হল। আমরা অনলাইন প্রেজেন্ট ছিলাম। আমি যখন ক্লাস টু-তে পড়তাম, স্কুলে যেতাম এই দিনে। আমাদের ৯টা থেকে ২টো পর্যন্ত স্কুল আওয়ার। দু’ঘণ্টা সেলিব্রেশন হত। বাকি সময় ক্লাস হত। আমরা খুবই মজা করতাম। সবাই টিচারদের জন্য গিফ্ট নিয়ে যেতাম। পার্টিও হত। আমরা ফ্রুট জুস নিয়ে যেতাম। সবাই শেয়ার করে খেতাম। টিচারদের জন্য যদি কিছু পারফর্ম করতে চাইতাম, সেটাও হত। হলে স্টেজ শো হত। পুরো সকালটা স্কুল ইউনিফর্মে থাকতে হত। পার্টির সময় ফ্যান্সি ড্রেস পরে নিতাম আমরা। এগুলো আমাদের আর হয় না। তাই খুব মন খারাপ হচ্ছে। আমার কোনও একজন টিচার ফেভারিট নয়। সবাই আমার ফেভারিট। তাঁদের আমি জানাতে চাই, “তোমরা সবাই আমার প্রিয় টিচার। তোমরা সবাই ভালো থাকো।”

সৌম্যদীপ্ত সাহা (লাড্ডু নামেই বেশি পরিচিতি) : আমার খুবই মন খারাপ। বন্ধুদের সঙ্গে দেখা করতে পারছি না। টিচার্সদের সঙ্গে দেখা করতে পারছি না। সেলিব্রেশন করতে পারছি না। কিন্তু নিজেকে বুঝিয়ে নিয়েছি, যে প্যান্ডেমিক চলছে। একদিন ঠিক হয়ে যাবে সব। সব কিছু ঠিক হলে, আবার সবার সঙ্গে দেখা করতে পারব। আমার ফেভারিট ম্যাম শুভশ্রী ম্যাম। ম্যামকে বলতে চাই, “আমি তোমাকে খুব মিস করছি। অনেকদিন ,স্কুলে আসা হচ্ছে না। তোমাদের সঙ্গে সেলিব্রেট করাও হচ্ছে না। ক্লাসগুলো মিস করছি। যেভাবে পড়াতে, সেগুলো মিস করছি।” অন্যান্য টিচাররাও কিন্তু আমার খুব ফেভারিট। শুধুু স্কুলের ব্যাপারে বলতে চাই না। আমার ডান্স টিচার, ডান্স ডান্স জুনিয়র শোয়ে আমার ডিরেক্টর শুভঙ্কর দাও আমার টিচারের মতোই। আমি ওদের থেকেও অনেককিছু শিখেছি। আমার দুটি সিনেমার ডিরেক্টর অভিমন্যুদার (‘হালুয়াম্যান’ ও ‘গুগলি’ ছবির পরিচালক অভিমন্যু মুখোপাধ্যায়) থেকেও আমি অনেক কিছু শিখেছি। ওঁরাও কিন্তু আমার টিচারই।

আরও পড়ুনকে বি সি ১৩-এ এবার অতিথি অমিতাভের অন-স্ক্রিন কন্যা দীপিকা; সঙ্গে তাঁর রণবীর নন, অন্য কেউ

আরও পড়ুনকাদের খান থেকে বালরাজ সাহানি… বাস্তব জীবনে কেউ প্রফেসর, কেউ ‘ভাষা’ শিক্ষক

গ্র্যাফিক্স: অভীক দেবনাথ