কোনও বড় রিলিজ নেই, করোনা সংক্রমণ, বন্ধ হচ্ছে বাংলার হল

এক বছর আগের ঘটনা। করোনার দাপট। দেশ তথা বিশ্বে লকডাউন। যার প্রভাব পড়ে সিনেমা হলগুলিতে। প্রত্যেকটি সিনেমা হলে তালা পড়ে। মাল্টিপ্লেক্স ও সিঙ্গল স্ক্রিন।

কোনও বড় রিলিজ নেই, করোনা সংক্রমণ, বন্ধ হচ্ছে বাংলার হল
ছবি প্রতীকী
Follow Us:
| Updated on: Apr 18, 2021 | 10:28 PM

মুম্বইয়ে করোনা পরিস্থিতির জেরে কলকাতায় বন্ধ সিনেমা হল। অধিকাংশই সিঙ্গল স্ক্রিন। সেই তালিকা নাম নবীনা, মেনোকা, বসুশ্রী, প্রিয়ার মতো হলের। ২৩ তারিখ থেকে কিছুদিনের জন্য বিরতির ঘোষণা। কোনও বড় রিলিজ নেই মুম্বইতে। যে কারণে হল বন্ধ করার পথেই হাঁটছেন হল মালিকরা।

এক বছর আগের ঘটনা। করোনার দাপট। দেশ তথা বিশ্বে লকডাউন। যার প্রভাব পড়ে সিনেমা হলগুলিতে। প্রত্যেকটি সিনেমা হলে তালা পড়ে। মাল্টিপ্লেক্স ও সিঙ্গল স্ক্রিন। এমনিতেই সিঙ্গল স্ক্রিনগুলির অবস্থা তথৈবচ। একে একে বন্ধ হয়েছে। সেই পরিস্থিতিতে লকডাউন হওয়াতে আরও নাজেহাল হয় হলের দশা। আনলক ফেজেও খোলে না। টিঠিচাপাটির পর সিদ্ধান্ত হয় হল খুলবে। প্রথমে ৫০%। টেনেট-এর তো বড় বাজেটের হলিউড ছবি দেখার জন্যেও হলে দর্শকের ভিড় ছিল না। কোনও হিন্দি ছবি রিলিজ করছিল না। পুরনো ছবি রি-রিলিজের পথেই হেঁটেছিলেন নির্মাতারা। অনেকের গলার কাঁটা হয়েছিল ওটিটি রিলিজ। কারণ, মানুষ ওটিটি প্ল্যাটফর্মে ছবি, ওয়েব সিরিজ দেখেই অভ্যস্থ হয়ে উঠছে তখন।

তারপর ১০০% দর্শকাসন নিয়ে হল খোলার অনুমতি আসে। বুকে বল ফিরে পান সিনেমা নির্মাতা, হল মালিক, ডিস্ট্রিবিউটাররা। বড় বাজেটের ছবি মুক্তির তারিখ জানা যায়। খানিক স্বস্তি। যদিও পশ্চিমবঙ্গের হল মালিকদের মনে সংশয় ছিলই। মহারাষ্ট্রে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বাড়লে কী হবে? সেই সময় TV9 বাংলাকে হল মালিকদের একাংশ সংশয় প্রকাশ করেছিলেন।

মহারাষ্ট্রে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ার করাণে একে একে বন্ধ হচ্ছে শুটিং। শুটিং লোকেশন সরিয়ে নিয়ে যেতে হচ্ছে অন্যত্র। বায়ো বাবলে শুটিং করার অনুমতিও চাওয়া হয়েছে সরকারের কাছে। তারমধ্যে জন সাধারণের সঙ্গে তারকারও আক্রান্ত হচ্ছেন। আক্রান্ত হচ্ছেন শুটিং ফ্লোরে উপস্থিতরাও। তারিখ ঠিক হওয়ার পরও পিছিয়েছে ছবির মুক্তির তারিখ। সূর্যবংশী, থালাইভির মতো ছবি মুক্তি পিছিয়েছে। গাঙ্গুবাঈ কাঠিয়াওয়ারিকে ওটিটিতে রিলিজ করার কথা ভাবছেন সঞ্জয় লীল ভনসালীর মতো পরিচালকরাও।

এই পরিস্থিতিতে কলকাতা তথা রাজ্যের সিনেমা মালিকরা হল বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন। তার অন্যতম কারণ হলে ছবি নেই। বড় বাজেটের হিন্দি সিনেমা পিছচ্ছে মুক্তির তারিখ। কী ভাবে চলবে হল। কীভাবে চলবে হলের খরচ। ২৩ এপ্রিল থেকে তাই বন্ধ হচ্ছে রাজ্যেকর একধিক সিঙ্গল স্ক্রিন হল।

এই নিয়ে TV9 বাংলা কথা বলে নবীনার মালিক নবীন চোখানির সঙ্গে। তিনি বলেন, “কর্মী ও দর্শকের কথা মাথায় রেখে আমরা শো সাসপেন্ড করছি কয়েকদিনের জন্য। সারা দেশে জুড়ে করোনার প্রকোপ বাড়ছে। এই মুহূর্তে এটাই করণীয় বলে মনে হচ্ছে। এছাড়া, বড় বাজেটের ছবিগুলোও তো রিলিজ পিছিয়ে দিচ্ছে।” একই সুর শোনা যায় মেনোকা সিনেমা হলের মালিক প্রণববাবু বলেন, “এটা অস্থায়ীভাবে বন্ধ রাখার কথা ভাবা হয়েছে। কোনও বড় রিলিজ নেই এখন। ছবি থাকলে হল চলবে। কীভাবে ছবি আনবেন বলুন, মুম্বইয়ে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে মানুষ মারা যাচ্ছে। দিল্লিতেও একই অবস্থা। কোথাও অক্সিজেন নেই, কিছু নেই। এই অবস্থায় মানুষ হলে গিয়ে সিনেমা দেখবে না।”

এদিকে জয়া সিনেমা হলের মালিক মনোজিৎবাবু TV9 বাংলাকে বলেন, “যা পরিস্থিতি, তাতে হয়তো বন্ধই রাখতে হবে হল। এখনও সিন্ধান্ত নিইনি। কথাবার্তা চলছে। একটা রিলিজ নেই। এভাবে কী করে সিনেমা হল চলবে। তার মধ্যে করোনার ভয়ে কেউ আসছেও না।”