Akshaya Tritiya 2024: 100 বছর পর অক্ষয় তৃতীয়ায় গজকেশরী রাজযোগ, এই একটি কাজ করলেই ঘরে বসবেন মহালক্ষ্মী!
Gajakesari Rajyoga: অক্ষয় তৃতীয়া, হিন্দু ধর্মের অন্যতম প্রধান উৎসব হিসেবে পরিচিত। এদিন ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠান মেনে মহাবিষ্ণু ও লক্ষ্মীর উপাসনা করা হয়। বৈশাখ মাসের শুক্লপক্ষের তৃতীয় তিথিতে পালিত হয়। অক্ষয় তৃতীয়ায় জল দান করার নিয়ম রয়েছে। সেদিন বিশেষ করে পিতৃদেবতা ও স্বজনদের জন্য শ্রদ্ধা অর্পণ করলে শুভ ফল লাভ পেতে পারেন।
হিন্দু ক্যালেন্ডার অনুসারে, প্রতি বছর বৈশাখ মাসের শুক্লপক্ষের তৃতীয়া তিথিতে অক্ষয় তৃতীয়ার উৎসব পালিত হয়। অক্ষয় তৃতীয়াকে আবুজ মুহুর্ত বলেও মনে করা হয়। এদিনে যেকোনও শুভ কাজ করা হলে তাতে সাফল্য মিলবেই মিলবে। এদিনে সোনা-রূপোর গহনা কেনা ও দেবী লক্ষ্মীর বিশেষ পুজো করার প্রথা রয়েছে। ধর্মীয় প্রথা অনুসারে, সোনা-রূপোর জিনিসপত্র ক্রয় করলে ব্যক্তির জীবনে সর্বদা সুখ-সম্পদ বয়ে নিয়ে আসে। পঞ্চাঙ্গ অনুসারে, অক্ষয় তৃতীয়ার দিনই যোগ হতে চলেছে বিরল গজকেশরী রাজযোগও। বৈদিক জ্যোতিষশাস্ত্রে, গজকেশরী যোগ একটি অত্যন্ত শুভ যোগ। এই রাজযোগ গঠিত হয় বৃহস্পতি ও চন্দ্রের মিলনে। প্রায় ১০০বছর পর অক্ষয় তৃতীয়ায় গঠিত হতে চলেছে এই বিরল ও অত্যন্ত শুভ গজকেশরী রাজযোগ।
সত্যযুগ-ত্রেতাযুগের সূচনা
অক্ষয় তৃতীয়া, হিন্দু ধর্মের অন্যতম প্রধান উৎসব হিসেবে পরিচিত। এদিন ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠান মেনে মহাবিষ্ণু ও লক্ষ্মীর উপাসনা করা হয়। বৈশাখ মাসের শুক্লপক্ষের তৃতীয় তিথিতে পালিত হয়। অক্ষয় তৃতীয়ায় জল দান করার নিয়ম রয়েছে। সেদিন বিশেষ করে পিতৃদেবতা ও স্বজনদের জন্য শ্রদ্ধা অর্পণ করলে শুভ ফল লাভ পেতে পারেন। এদিনে বিশেষ ধর্মীয় অনুষ্ঠান, জলতর্পণ, তীর্থযাত্রা, পুজো, ভজন, দানকর্ম ইত্যাদি করা হয়। অক্ষয় তৃতীয়ার দিনকেও পরশুরাম জয়ন্তীও পালিত হয়। শাস্ত্রমতে, এদিনে সত্যযুগ ও ত্রেতাযুগ শুরু হয়েছিল। এদিনে ভগবান বিষ্ণু নর- নারায়ণ রূপে অবতীর্ণ হয়েছিলেন বলে উল্লেখ রয়েছে।
অক্ষয় তৃতীয়ায় দানকর্ম
অক্ষয় তৃতীয়ায় ঘড়ি, কলস, পাখা, ছাতা, চাল, ডাল, ঘি, চিনি, ফল, বস্ত্র, সত্তু, শসা, তরমুজ ও দক্ষিণা ধর্মীয় স্থানে বা ব্রাহ্মণদের দান করলে অক্ষয় পুণ্যের ফল পাওয়া যায়। এদিন গৃহপ্রবেশ, দেবপ্রতিষ্ঠা ইত্যাদি শুভ কাজের জন্যও বিশেষ দিন বলে মনে করা হয়।
বিষ্ণু-লক্ষ্মীর বিশেষ পুজো
-অক্ষয় তৃতীয়ার দিন সকালে ঘুম থেকে উঠে স্নান সেরে বাড়ির মন্দিরে ভগবান বিষ্ণু ও লক্ষ্মীর পূজা করুন।
-প্রথমে গণেশের পুজো করুন। এরপর গরুর দুধে জাফরান মিশিয়ে দক্ষিণাবর্তি শঙ্খে ভরে ভগবান বিষ্ণু ও দেবী লক্ষ্মীর মূর্তিতে অভিষেক করুন।
-এরপরে, গঙ্গা জলে শঙ্খটি পূর্ণ করুন, ভগবান বিষ্ণু-দেবী লক্ষ্মীকে অভিষেক করুন।
-ভগবান বিষ্ণু ও লক্ষ্মীকে লাল-হলুদ উজ্জ্বল বস্ত্র অর্পণ করুন।
-ক্ষীর, হলুদ ফল বা হলুদ মিষ্টি নিবেদন করুন ভগবান বিষ্ণুকে। এই দিনে পিপল গাছে জল অর্পণ করতে পারেন।
-অন্ন, জল, জামাকাপড়, ছাতা দান করতে পারেন। সূর্যাস্তের পর শালিগ্রামের সঙ্গে তুলসীর সামনে গরুর দুধ পান করতে পারেন।