Anik Dutta: মোবাইলের স্ক্রিনে হাত বুলিয়েই তৈরি হল ‘অপরাজিত’র ১১ সেকেন্ডের ভিডিয়ো, TV9 বাংলাকে অনীক জানালেন মেকিংয়ের নেপথ্য কাহিনি
Anik Dutta-Aparajito: সত্যজিৎ রায়ের জন্ম মাসেই মুক্তি পাবে অনীক দত্তর 'অপরাজিত'। কাকতালীয় একেবারেই নয়। বরং প্ল্যান করেই ছবির মুক্তি করবেন নিজের 'গুরু' সত্যজিতের জন্ম মাসে।
‘নজর থাকুক আমাদের সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে’… ১২ এপ্রিল ২০২২, থেকে ছবিকে ঘিরে প্রচার শুরু করেছেন পরিচালক অনীক দত্ত। ছবির নাম ‘অপরাজিত’। বাংলার চলচ্চিত্র জগতে ‘অপরাজিত’ একজনই। তিনি সত্যজিৎ রায়। আর সত্যজিৎ রায়ের একনিষ্ঠ ভক্ত অনীক দত্ত। তাঁর প্রথম ছবি থেকে শুরু করে পরবর্তীতেও যে-যে ছবি তিনি তৈরি করেছেন, প্রত্যেকটির মধ্যে কোথাও না-কোথাও মানিকবাবু রয়েছেন। তাঁর শেষ মুক্তিপ্রাপ্ত ছবি ‘বরুণবাবুর বন্ধু’। সেখানেও সত্যজিতের প্রিয় অভিনেতা সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়কে মধ্যমণি করেছিলেন অনীক। ছবি সমালোচিত হয়েছে, গৃহীতও হয়েছে দারুণভাবেই। এবার গল্পের প্রোটাগনিস্টকেই দিয়ে দিয়েছেন মানিকবাবুর চেহারার আদল। নাম পরিবর্তন করেছেন কেবল। মুখ্য ভূমিকায় অভিনয় করেছেন জিতু কামাল। তারকা মেকআপ আর্টিস্ট সোমনাথ কুণ্ডুর হাতের জাদুতে জিতুকে দেখতে লেগেছে হুবহু সত্যজিৎ রায়ের মতোই। লুক বেরনোর পর হইচই পড়ে গিয়েছে। অনেক কষ্ট করে জীবনের প্রথম ছবি ‘পথের পাঁচালী’ তৈরি করেছিলেন সত্যজিৎ। সেই গল্পকেই বড়পর্দায় তুলে ধরতে চেয়েছেন অনীক।
প্রচার শুরু করছে ‘অপরাজিত’। ছবির মুখ্য অভিনেতা জিতু কামাল TV9 বাংলাকে জানিয়েছেন, পরের মাসে ছবি মুক্তি পাবে। একটি ১১ সেকেন্ডের ভিডিয়ো TV9 বাংলার সঙ্গে শেয়ার করেছেন অনীক। সেই পোস্টারেই ছুটে চলছে রেল গাড়ি। আর লেখা রয়েছে, ‘যাত্রা শুরু গণমাধ্যম এক্সপ্রেসে, সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম থেকে।’ জিতু বলেছেন, “আমাদের প্রচার শুরু হল। পোস্টার রিলিজ় করল। সামনের মাসে ছবি মুক্তি পাবে। কিন্তু এখনও জানি না কোন তারিখে মুক্তি পাবে।”
সত্যজিৎ রায়ের জন্ম শতবর্ষকে মাথায় রেখেই পরিচালক অনীক দত্ত তৈরি করেছেন ‘অপরাজিত’। ১১ সেকেন্ডের ভিডিয়োটি নিয়ে অনীক TV9 বাংলাকে বলেছেন, “এই ভিডিয়োটির মেকিংটা হয়েছে মাথায় ও সেলফোনে। যে সিলোয়েটটা আমরা ব্যবহার করেছি, সেটা অনেকটাই সত্যজিৎ রায়ের মতো। সেই সিলোয়েটটা শুটিংয়ের সময় তোলা। আমার ফটোগ্রাফার শুভাশিস দেবনাথ জিতুর দারুণ কিছু ছবি তুলেছিল। এই সিলোয়েটটাও ওরই তোলা। ভাবলাম, খুব ইন্টাররেস্টিং তো, এটাকে তো ব্যবহার করা যায়। আমার স্কুলের জুনিয়র পিনাকী সৌকালীন ঘোষ আগেই এই ধরনের একটা কাজ করেছে। আমার মনে হল, বাহ্, এই দুটোকে তা হলে মেলানো যায়। দুটিই ব্ল্যাক অ্যান্ড হোয়াইট। কোনও শেডস নেই। পিনাকী আমাকে করে পাঠায়। আমি বলি বাহ্, চমৎকার হয়েছে। ছবিটা থেকে সাউন্ড এফেক্ট মিউজ়িক তুলে একটু লাগিয়ে দিলাম। ভিডিয়োর লেখাটাও লিখলাম। এডিট করেছে নীলাদ্রি দে।”
ছবির পোস্টার:
যেহেতু সত্যজিতের কালজয়ী কাল্ট ছবি ‘পথের পাঁচালী’র মেকিং (তৈরি করা) নিয়ে তৈরি হয়েছে এই ছবি, সে ব্যাপারে সত্যজিৎ পুত্র ও পরিচালক সন্দীপ রায় বলেছেন, “এটা তো আর অথরাইজ়়ড বায়োপিক হচ্ছে না। কমলেশ্বরবাবু (পরিচালক কমলেশ্বর মুখোপাধ্যায়) যেটা করেছিলেন ঋত্বিক ঘটক নিয়ে ‘মেঘে ঢাকা তারা’, সেরকমই একটা ব্যাপার হচ্ছে। অনীক যথেষ্ট পড়াশোনা করেছেন বলে আমার বিশ্বাস। আমার সঙ্গে আলোচনাও করেছেন। তবে এখনই বলার মতো কিছু নেই। আগে ছবিটা মুক্তি পাক। দেখি ছবিটা। তারপরই এটা নিয়ে কিছু একটা নিশ্চয়ই বলতে পারব আমি।”
ছবিতে জিতুর লুক আগেই অনীক দেখিয়েছিলেন সন্দীপকে। কিছুটা হলেও মুখে প্রস্থেটিক মেকআপের সাহায্য নিতে হয়েছে। সন্দীপ বলেছেন, “আমি কিন্তু আগেই জিতুর লুক দেখেছি। অনীকই আমাকে দেখিয়েছিলেন। প্রথম দিন থেকেই আমার কাছে তিনি আসছেন। যোগাযোগ রাখছেন। প্রতিমুহূর্তে আমাকে বলছেন কী-কী হচ্ছে। সিরিয়াসভাবে কাজটা করছেন।”