সমসাময়িক ছিলেন তাঁরা। বাংলা সিনেমার স্বর্ণালী যুগের পরবর্তী সময়কে ধরে রেখেছিলেন যে দু’জন মহাতারকা, তাঁদের মধ্যে এক প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়, অন্যজন তাপস পাল। আজ ২৯ সেপ্টেম্বর তাপস পালের জন্মদিনে তাঁকে মনে করছেন সমসময়ের সহ-অভিনেতা প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়।
তাপস পালের সঙ্গে একটি ছবি শেয়ার করে প্রসেনজিৎ লিখেছেন, “‘দাদার কীর্তি’ হোক বা ‘গুরুদক্ষিণা’… ‘নয়নের আলো’ বা ‘ত্যাগ’… তাপসের প্রতিটা সিনেমা তার অসাধারণ শিল্পীসত্তা তুলে ধরেছে আমাদের সামনে।”
তাপস পালের জন্ম ১৯৫৮ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর। জন্মস্থান চন্দননগরে। মেধাবী ছাত্র ছিলেন। বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বায়ো-মেডিক্যালে স্নাতক হয়েছিলেন। পরিচালক তরুণ মজুমদারের পরিচালনায় ‘দাদার কীর্তি’ ছবির মাধ্যমে বড় পর্দায় পা রাখেন তাপস। সালটা ছিল ১৯৮০। সেই থেকে অভিনয় জগতে যাত্রা শুরু।
একের পর এক হিট ছবি দর্শককে উপহার দিয়েছেন তাপস। ‘পারাবত প্রিয়া’, ‘ভালবাসা ভালবাসা’, ‘গুরু দক্ষিণা’। মহুয়া রায়চৌধুরি, দেবশ্রী রায়, শতাব্দী রায়ের সঙ্গে তাপস পালের জুটি নজর কাড়ে দর্শকদের। বিজয় বোস পরিচালিত ‘সাহেব’ তাপস পালের জীবনের অন্যতম সেরা ছবি। এই ছবির জন্য ১৯৮১-তে ‘ফিল্মফেয়ার’ অ্যাওয়ার্ড পান অভিনেতা। মাধুরী দীক্ষিতের বিপরীতে হিন্দি ছবিতে প্রথম অভিনয় করেন ১৯৮৪ সালে। ছবির নাম ‘অবোধ’।
অভিনেতা তাপস পাল রাজনীতিতে যোগ দেন মধ্য বয়সে এসে। যোগ দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তৃণমূলে। ২০০১ থেকে ২০০৯ সাল পর্যন্ত আলিপুর বিধানসভা কেন্দ্রে বিধায়ক হিসেবে নির্বাচিত হন। ২০০৯ থেকে ২০১৮ পর্যন্ত কৃষ্ণনগরে সাংসদ পদে নির্বাচিত হন অভিনেতা। ২০২০ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি মুম্বইয়ে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তাপস পাল।
আরও পড়ুন: Ranjit-Koel: বাবার জন্মদিনে কোয়েলকে করতেই হবে এমন কাজ কী? জানালেন অভিনেত্রী
আরও পড়ুন: Madhumita Sarcar: জলাশয়ের মাঝখানে নৌকোয় কী করছিলেন মধুমিতা?
আরও পড়ুন: Mandira Bedi: কার সঙ্গে আলাপ হওয়ার পর নিজেকে পুরোপুরি বিকিয়ে দিয়েছিলেন মন্দিরা?