Rafiath Rashid Mithila: আয়রার আবৃত্তি শুনে মুগ্ধ দর্শক, মিথিলার মতোই শৈল্পিক গুণাবলী মেয়েরও
Rafiath Rashid Mithila: মিথিলার একাধারে অনেক পরিচয়। অনেক গুণ। কখনও তিনি পড়াশোনা নিয়ে থাকেন, শিশুদের নিয়ে কাজ করেন, কখনও অভিনয় করেন, কখনও বা গানে তাঁকে পাওয়া যায়। মাকে এত রকম কাজে ব্যস্ত থাকতে দেখছে আয়রা।
গুণী মায়ের গুণী মেয়ে। একরত্তি আয়রা সম্পর্কে এ কথা যেন বলাই যায়। আয়রা অর্থাৎ রাফিয়াত রশিদ মিথিলার একমাত্র কন্যা। সদ্য আয়রার আবৃত্তির একটি ভিডিয়ো সোশ্যাল মিডিয়ায় অনুরাগীদের শেয়ার করেছেন মিথিলা। আয়রার বাচনভঙ্গী প্রশংসা আদায় করে নিয়েছে সকলের।
আর এল স্টিভেনসন-এর ফরেন ল্যান্ডস আবৃত্তি করে শোনাল আয়রা। বাড়িতে ঘরোয়া পরিবেশে রেকর্ড করা হয়েছে এই ভিডিয়ো। এতটুকু বয়সেই যে ভাবে কবিতার মানে বুঝে সে আবৃত্তি করেছে, তাতে প্রশংসার দাবি রাখে বৈকি! মিথিলার একাধারে অনেক পরিচয়। অনেক গুণ। কখনও তিনি পড়াশোনা নিয়ে থাকেন, শিশুদের নিয়ে কাজ করেন, কখনও অভিনয় করেন, কখনও বা গানে তাঁকে পাওয়া যায়। মাকে এত রকম কাজে ব্যস্ত থাকতে দেখছে আয়রা। স্বাভাবিক ভাবেই ছোট থেকেই আয়রার মধ্যে শৈল্পিক গুণাবলীর প্রকাশ পাবে, এ যেন স্বাভাবিক।
তবে মিথিলা একা নন। আয়রার বাবা অর্থাৎ মিথিলার প্রাক্তন স্বামী তাহসানও গুণী শিল্পী। ফলে আয়রা জন্মগত ভাবেই শৈল্পিক গুণাবলী নিয়ে জন্মেছে। মিথিলার বর্তমান স্বামী তথা পরিচালক সৃজিত মুখোপাধ্যায়ও শিল্পী মানুষ। ফলে আয়রা এখন যে পরিবেশে থাকছে, সেখানেও শৈল্পিক গুণাবলী পূর্ণ মাত্রায় প্রকাশের সুযোগ পাচ্ছে সে। সব মিলিয়ে আয়রাকে ভবিষ্যতে আরও বেশি করে শিল্প মাধ্যমে দেখতে আগ্রহী দর্শক।
দিন কয়েক আগে একত্রে একটি পেশাদার কাজ করায় ট্রোলিংয়ের মুখে পড়তে হয় তাহসান-মিথিলাকে। মিথিলা সে সময় জানান, প্রাপ্তবয়স্ক দুজন মানুষ একসঙ্গে কাজ করতেই পারেন। বিবাহবিচ্ছেদ হয়ে গিয়েছে মানে কখনও একসঙ্গে কাজ করা যাবে না, তা নয়। পাশাপাশি তিনি এবং তাহসান আয়রার বাবা, মা। তাই মেয়ের কথা ভেবেও তাঁরা নিজেদের সম্পর্ক তিক্ত করতে চান না। বরং বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রাখলে তবেই আয়রাকে সুস্থ শৈশব দেওয়া যাবে বলে মনে করেন মিথিলা।
বাংলাদেশে থাকলে আয়রা কখনও মায়ের কাছে, কখনও বা বাবার কাছে থাকে। এ নিয়ে তাঁদের পরিবারে কোনও সমস্যা নেই। কিন্তু ব্যক্তিজীবনে ট্রোলিংয়ের শিকার যাতে না হতে হয়, তার অন্যতম পদক্ষেপ হিসেবে তাঁদের সোশ্যাল মিডিয়ার পোস্টে এখন আর সকলের কমেন্ট করার অধিকার নেই। বাবা, মেয়ের আনন্দের মুহূর্তে মাও ভাগীদার হবেন, হোক তা ভার্চুয়াল, এটাই তো স্বাভাবিক। আয়রা মূলত মিথিলার কাছেই থাকে। বাংলাদেশে মিথিলা গেলে আয়রা সঙ্গী হয়। আবার মিথিলা কলকাতায় থাকলে মেয়ে তার সঙ্গেই থাকে। আপাতত আয়রা কলকাতার একটি স্কুলের ছাত্রী। পড়াশোনার স্বার্থে ভবিষ্যতে সে কোথায় থাকবে, সেটাই এখন দেখার।
মিথিলা সদ্য ভারতে তাঁর প্রথম ছবির কাজ শেষ করলেন। রাজর্ষি দে পরিচালিত ‘মায়া’ ছবিতে দেখা যাবে মিথিলার অভিনয়। রাজর্ষির এই ছবির বিষয় শেক্সপিয়ারের ম্যাকবেথ। সদ্য এই ছবির লোগো প্রকাশিত হল। বাংলাদেশে মিথিলার অভিনয় দেখেছেন দর্শক। কিন্তু এ পার বাংলায় এই প্রথম। ফলে মিথিলার জন্যও এই প্রজেক্ট নিঃসন্দেহে খুব স্পেশ্যাল।
আরও পড়ুন, বিদ্যুতের এনগেজমেন্ট, কী ভাবে রিঅ্যাক্ট করলেন রুক্মিণী?