AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Tollywood Controversy: শুধু নন্দন কেন বাকি সিঙ্গল স্ক্রিনেও তো সৃজিতের ছবিটা আসেনি, সেটাও কি আমার দোষ: রাজ

Tollywood Controversy: একই দিনে মুক্তি পাচ্ছে দুই বাংলা ছবি। প্রথমটি রাজ চক্রবর্তী পরিচালিত 'হাবজি-গাবজি' এবং দ্বিতীয়টি সৃজিত মুখোপাধ্যায়ের 'এক্স = প্রেম'। মুক্তির আগেই প্রেক্ষাগৃহকে কেন্দ্র করে 'ধুন্ধুমার' দুই পরিচালকের মধ্যে।

Tollywood Controversy: শুধু নন্দন কেন বাকি সিঙ্গল স্ক্রিনেও তো সৃজিতের ছবিটা আসেনি, সেটাও কি আমার দোষ: রাজ
রাজ-সৃজিত।
| Edited By: | Updated on: Jun 03, 2022 | 1:21 PM
Share

একই দিনে মুক্তি পাচ্ছে দুই বাংলা ছবি। প্রথমটি রাজ চক্রবর্তী পরিচালিত ‘হাবজি-গাবজি’ এবং দ্বিতীয়টি সৃজিত মুখোপাধ্যায়ের ‘এক্স = প্রেম’। মুক্তির আগেই প্রেক্ষাগৃহকে কেন্দ্র করে ‘ধুন্ধুমার’ দুই পরিচালকের মধ্যে। রাজের নাম উল্লেখ না করে বিস্ফোরক সৃজিত। তাঁর অভিযোগ তাঁর ছবিটি নন্দনে মুক্তির জন্য আবেদন করা হলেও তা মুক্তি পাচ্ছে না। যদিও ওই একই দিনে ওই হলেই মুক্তি পাচ্ছে ‘তৃণমূল বিধায়ক’-এর ছবি। ‘স্বচ্ছতা’র প্রশ্ন তুলেছেন পরিচালক। অন্যদিকে টিভিনাইন বাংলার কাছে  রাজের প্রশ্ন, “যে পরিচালক এই কথা বলছেন তাকে বলতে চাই শুধু নন্দন নয় কেন কোনও সিঙ্গল স্ক্রিনেই মুক্তি পেল না তাঁর এই ছবি?”

ফেসবুক পোস্টে সৃজিত লেখেন, “দুটি ছবিই একই দিনে মুক্তি পাওয়ার কথা। দুটোই নন্দনে মুক্তির জন্য আবেদন করেছিল। শুধুমাত্র একটির মুক্তির আবেদন মঞ্জুর হল। যদি নিয়ম মেনেই হয় তবে দুটোই অথবা কোনওটাই মুক্তি পাওয়ার কথা নয়।” কেন এমনটা হল?” ‘কারণ’ও নিজের মতো ব্যক্ত করেছেন পরিচালক। তাঁর তির্যক মন্তব্য, “যদিও সব ছবিই সমান কিন্তু কিছু ছবি সমানের থেকে একটু বেশিই সমান”। সঙ্গে আবার জুড়ে দিয়েছেন এক ইমোজিও।

পরিচালকের ইঙ্গিত কি রাজের রাজনৈতিক পরিচয়ের দিকেই? রাজকে টিভিনাইন বাংলার তরফে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, “এই প্রথম বার নন্দনে আমার ছবি মুক্তি পাচ্ছে। বাচ্চাদের ছবি।সৃজিত কি সেটা চায় না? ছবি মুক্তির আগে কে কী বলছে, কে কী ভাবে দেখছে, কে কন্ট্রোভারসি করে ছবি চালাতে চাইছে তা নিয়ে আমার কিচ্ছু যায় আসে না। ” একই সঙ্গে তাঁর বক্তব্য, “ওই ছবিটি নন্দনে মুক্তি না পাওয়া নিয়ে কথা হচ্ছে, ওই ছবি তো নবীনা, প্রিয়া এই সব হলেও মুক্তি পায়নি। সেটাও কি আমারই জন্য? সেখানেও ‘ইকুয়ালিটি’ তত্ত্ব খাটে? এই সব হাবজি গাজবি কন্ট্রোভারসি করে লাভ নেই কালকে ছবিই কথা বলবে”, হুঁশিয়ারি রাজের।

সৃজিত অবশ্য এখানেই থেমে জাননি। রাজের পাল্টা তাঁর ফের মন্তব্য, “নিশ্চয়ই কথা বলবে, কথা বলছেও। পেরে ওঠা অসম্ভব। কারণ x= machinery…”। ‘রাজ-যন্ত্রের’ জাঁতাকলে ‘পিষ্ট’ হওয়ার ইঙ্গিতই কি পরিচালকের মুখে?

লড়াই চললেও  সৃজিতের ছবিকে শুভেচ্ছা জানিয়ে রাজের বক্তব্য, “এমনিতেই বাংলা ইন্ডাস্ট্রির অবস্থা খারাপ। আমি সব সময় ইন্ডাস্ট্রির সঙ্গে থেকেছি। তাই এখনও যে কোনও বাংলা ছবির পাশেই থাকব।”

বিগত বেশ কিছু দিন ধরেই নন্দনের বিরুদ্ধে উঠেছে নানা অভিযোগ। ওই সরকারি হলে আবেদন করেও হল না পাওয়ার অভিযোগ জানিয়েছিল অনীক দত্তের ‘অপরাজিত’। রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধেও ক্ষোভ উগরে দিয়েছিলেন অনিক। এবার সরব সৃজিতও। রাজ যদিও ‘রাজনৈতিক প্রভাব’-এর কথা মানতে চাননি। সৃজিত কি সহমত হবেন?