ঘরের কোন জায়গাটি সবচেয়ে বেশি পছন্দ? ছবি শেয়ার করে জানালেন ঋতাভরী
দিন দুয়েক আগেই অভিনেতা আয়ুষ্মান খুরানার জন্মদিনে তাঁকে খোলাচিঠি লিখেছিলেন অভিনেত্রী। আয়ুষ্মানের সঙ্গে একটি মিউজিক ভিডিয়োতে একসঙ্গে কাজ করেছিলেন ঋতাভরী।
বাড়িতে আপনার প্রিয় জায়গা কোনটি? কেউ বলবেন ব্যালকনি, কারও পছন্দ ড্রয়িং রুম। কেউ আবার শোয়ার ঘর অর্থাৎ বেডরুমকে সাজিয়েছেন আপন মনে মাধুরী মিশিয়ে। আর অভিনেত্রী ঋতাভরী চক্রবর্তী? তাঁর পছন্দ কোন জায়গা? নিজের বাড়িতে নিজের সবচেয়ে পছন্দের জায়গার ছবি পোস্ট করলেন তিনি।
পেছনে কিংবদন্তী হলিউড অভিনেত্রী ডরিস ডে’র কাটআউট। একটি বইয়ের তাক রয়েছে। বইয়ের তাকে বই নেই। রয়েছে থরে থরে সাজানো গাছ। রয়েছে এক রেডিয়োও। যেন চারিদিকে এক সবুজ প্রশান্তি। সেখানে বসেই একটি ছবি পোস্ট করেছেন ঋতাভরী। জানিয়েছেন, বাড়ির এত জায়গার মধ্যে তাঁর অন্যতম প্রিয় জায়গা ওইটি। লিখেছেন, “দেখ, দেওয়াল থেকে ডরিস কীভাবে হাসছেন…”। ঋতাভরীর সেলফিতে রোদ চুইয়ে এসে পড়ছে তাঁর মুখে। রোদ গায়ের মাখতে মাখতেই লিপ গ্লসে আর এক গাল হাসিতে প্রিয় জায়গায় গা এলিয়েছেন অভিনেত্রী।
View this post on Instagram
দিন দুয়েক আগেই অভিনেতা আয়ুষ্মান খুরানার জন্মদিনে তাঁকে খোলাচিঠি লিখেছিলেন অভিনেত্রী। আয়ুষ্মানের সঙ্গে একটি মিউজিক ভিডিয়োতে একসঙ্গে কাজ করেছিলেন ঋতাভরী। সেই ভিডিয়োরই বেশ কিছু স্টিল ছবি শেয়ার করেছিলেন সামাজিক মাধ্যমে। লিখেছিলেন, “অন্যতম গুণী মানুষের আজ জন্মদিন। এই গোটা পৃথিবী তোমার হওয়া উচিত আয়ুষ্মান। মানুষের অবয়বে তুমি সূর্যকিরণ।” আয়ুষ্মানও কমেন্ট বক্সে ঋতাভরীকে লিখেছিলেন, “RC”… সঙ্গে এক জড়িয়ে ধরার ইমোজি আর বন্ধুত্ব রঙের এক হৃদয়। অভিনেত্রীর ইংরেজি আদ্যাক্ষর দিয়েই তাঁকে সম্বোধন করেছেন আয়ুষ্মান।
আট মাস আগে দুটি অস্ত্রোপচার হয়েছিল ঋতাভরীর। অস্ত্রোপচারের পর চরম হতাশার মধ্যে দিয়ে যেতে হয়েছিল তাঁকে, সে কথা মাস খানেক আগে এক পোস্টে নিজেই জানিয়েছিলেন তিনি। পোস্টে লিখেছিলেন, ” ২০১৩ সাল থেকে যাতে ফিগার ঠিক থাকে তাই কড়া ডায়েট-রুটিন অনুসরণ করতাম আমি। প্রতিদিন আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে সেলফি নিতাম দেখার জন্য, যে আমি ঠিক আছি কিনা। ৩৬-২৬-৩৬- শরীরের এই গঠন নিয়ে আমি পাগল ছিলাম। কিন্ত আট মাসে আগে সব নিয়ম গুলিয়ে গেল যখন এক অস্ত্রোপচার হয় আমার। সারাক্ষণ বিছানায় শুয়ে থাকতাম। নড়াচড়া করতে পারতাম না।”
যোগ করেছিলেন, “অপারেশন ঠিকঠাক হয় কিন্তু হতাশা ঘিরে ধরে। নিজেকে বলরাম সময়ের সঙ্গে সঙ্গে সব ঠিক হয়ে যাবে। কিন্ত আমার কাজ-পাগল মনের ধৈর্য ছিল না। সবাইকে বলতে চাই, আমি ভাল হচ্ছি। শারীরিক যন্ত্রণা আর নেই। কিন্তু হতাশা আমায় নিঃসঙ্গ করে দিয়েছে। পরে তোমাদের সব বলব…।” ঋতাভরীর ওই পোস্টে পাশে থাকার বার্তা দিয়েছিলেন মিমি-নুসরতও।
