বাবা চলে গিয়েছিলেন ১৫ বছর আগে। সেই ২০০৭ সালে। কথা হচ্ছে অভিনেতা শাশ্বত চট্টোপাধ্যায় সম্পর্কে। তাঁর বাবা শুভেন্দু চট্টোপাধ্যায়ও ছিলেন বড় মাপের অভিনেতা। সেই সঙ্গে একজন চিকিৎসকও। বাবার মৃত্যুর পর তাঁকে নিয়ে কবিতা লিখেছিলেন শাশ্বত। কী ছিল সেই কবিতায়?
শাশ্বত লিখেছিলেন,
“বাপি তুমি কার, আমার না সবার?
বাপি বলল দূর বোকা, আমি শিল্পী,
শিল্পী কি কারো একার?
যে ভালবাসবে আমি তার…
পাশ করেও ছেড়েছি ডাক্তারী,
করেছি মানুষের মনে সার্জারী,
কখনও হাসিয়ে কখনও কাঁদিয়ে
(আজ) করেছি নক্ষত্রলোক পার
শিল্পী কি কারো একার?
যার মন আছে আমি তার…
সব বুঝেছি বাপি, তবু প্রশ্ন জাগে…
বাপি তুমি কার, আমার না সবার?”
কবিতাটি শাশ্বত শেয়ার করেছেন সোশ্যাল মিডিয়ায়। শুভেন্দুর মৃত্যুর ১৫ বছর কেটে গিয়েছে। বাবাকে প্রতিনিয়ত মিস করেন শাশ্বত। তাঁকে মিস করে বাংলার অসংখ্য দর্শকও। স্বর্ণালী যুগের স্বর্ণালী অভিনেতা। তাঁকে কি ভোলা যায়। কবিতাটি ফের শেয়ার করে শাশ্বত লিখেছেন, “প্রায় ১৫ বছর হতে চলল বাপি চলে গেছেন। সেই সময়, ২০০৭ সাল নাগাদ বাপির জন্য আমি কয়েকটি লাইন লিখি। সেই লেখা কোথায় যেন, বই-এর পাতার মধ্যে হারিয়ে যায়। হঠাৎ করে সেদিন সেই লেখাটা খুঁজে পেলাম। ভাবলাম, আপনাদের সাথে আমার এই স্মৃতিটা ভাগ করে নিই।”
ভালই করেছেন শাশ্বত। না হলে কি তাঁর গুণগ্রাহীরাও জানতে পারতেন অভিনেতার ভিতরে লুকিয়ে ছিলেন এক কবিও।
আরও পড়ুন: Jubin Nautiyal Marriage: রূপকথার প্রেম, নরম তুলতুলে! তা হলে কি বিয়ের দিন আগত জুবিন নটিয়ালের?
আরও পড়ুন:Siddhant Chaturvedi: সিদ্ধান্ত কি ‘বিশ্বাসঘাতক’, তা হলে সমুদ্র সৈকতে এটা কী করলেন লুঙ্গি পরে?