Satyajit-Sandip-Jeetu: সত্যজিৎ রায়ের চরিত্রে জিতু কামাল, লুক দেখে মানিক পুত্র সন্দীপ রায়ের প্রতিক্রিয়া

জিতুর এই লুককে বাবা সত্যজিতের সঙ্গে কি মেলাতে পারছেন সন্দীপ? জিজ্ঞেস করায় প্রথমে হেসে ওঠেন সন্দীপ।

Satyajit-Sandip-Jeetu: সত্যজিৎ রায়ের চরিত্রে জিতু কামাল, লুক দেখে মানিক পুত্র সন্দীপ রায়ের প্রতিক্রিয়া
সন্দীপ রায়, সত্যজিৎ রায় ও জিতু কমল
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Nov 12, 2021 | 4:43 PM

অভিনেতা জিতু কামাল এখন চর্চায়। গোটা টলিপাড়া, চিত্র সমালোচক থেকে আম জনতা, তাঁর নতুন লুক দেখে অবাক সকলেই। প্রথমে তাঁকে দেখে কেউ চিনতেই পারেননি। একী জিতু নাকি সাক্ষাৎ সত্যজিৎ রায়! ভিরমি খেলেন তো? সত্যজিৎ রায়ের লুকে একটি কঠিন চরিত্রের চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দেওয়া হয়েছে জিতুকে। দারুণ কঠিন কাজ। পরিচালক অনীক দত্তর  পরের ছবি ‘অপরাজিত’তে অপরাজিত রায়ের চরিত্রে জিতু। অপরাজিত চরিত্রটি সত্যজিৎ রায়ের আদলে তৈরি। মানিকবাবুর কালজয়ী কাল্ট ছবি ‘পথের পাঁচালী’র মেকিং নিয়ে ছবির চিত্রনাট্য। ছবিতে জিতুর লুক দেখে  TV9 বাংলাকে কী বললেন সত্যজিতের পুত্র সন্দীপ রায়? মেলাতে পারলেন কি বাবার সঙ্গে? 

সমালোচক থেকে আম-জনতা অনেকেই অবাক হয়ে গিয়েছেন ‘অপরাজিত’ ছবিতে জিতুর লুক দেখে। তাঁদের বক্তব্য, চেনাই যাচ্ছে না জিতুকে। লুকটি দেখেছেন সত্যজিৎ রায়ের পুত্র সন্দীপ রায়। TV9 বাংলাকে এক্সক্লুসিভভাবে জানালেন তাঁর প্রতিক্রিয়া। তিনি বলেছেন, “এমনতিতে তো ঠিকই আছে। গোটা বিষয়টাই অনীক খুব গুরুত্ব সহকারে দেখছেন। ঠিকই আছে। ভালই লাগছে দেখতে।”

জিতুর এই লুককে বাবা সত্যজিতের সঙ্গে কি মেলাতে পারছেন সন্দীপ? জিজ্ঞেস করায় সন্দীপ প্রথমে হেসে ওঠেন। তারপর বলেন, “সেটা তো আমাদের ক্ষেত্রে বলা খুবই মুশকিল। কিন্তু আমি বলব যথেষ্ট ভাল হয়েছে।”

যেহেতু সত্যজিতের কালজয়ী কাল্ট ছবি ‘পথের পাঁচালী’র মেকিং (তৈরি করা) নিয়ে তৈরি হয়েছে এই ছবি, সে ব্যাপারে সন্দীপ বলেন, “এটা তো আর অথরাইজ়়ড বায়োপিক হচ্ছে না। কমলেশ্বরবাবু (পরিচালক কমলেশ্বর মুখোপাধ্যায়) যেটা করেছিলেন ঋত্বিক ঘটক নিয়ে ‘মেঘে ঢাকা তারা’, সেরকমই একটা ব্যাপার হচ্ছে। অনীক যথেষ্ট পড়াশোনা করেছেন বলে আমার বিশ্বাস। আমার সঙ্গে আলোচনাও করেছেন। তবে এখনই বলার মতো কিছু নেই। আগে ছবিটা মুক্তি পাক। দেখি ছবিটা। তারপরই এটা নিয়ে কিছু একটা নিশ্চয়ই বলতে পারব আমি।”

ছবিতে জিতুর লুক আগেই অনীক দেখিয়েছিলেন সন্দীপকে। কিছুটা হলেও মুখে প্রস্থেটিক মেকআপের সাহায্য নিতে হয়েছে। সন্দীপ আমাদের বলেছেন, “আমি কিন্তু আগেই জিতুর লুক দেখেছি। অনীকই আমাকে দেখিয়েছিলেন প্রথম দিন থেকেই আমার কাছে তিনি আসছেন। যোগা যোগ রাখছেন। প্রতিমুহূর্তে আমাকে বলছেন কী কী হচ্ছে। সিরিয়াস ভাবে কাজটা করছেন।”

সন্দীপ কি ছবির চিত্রনাট্যও পড়েছেন? সন্দীপের জবার, “না না, সেটা হয়নি। আমি কোনওদিনও অন্যের ক্রিয়েটিভ ব্যাপারে হস্তক্ষেপ করি না। আমার অনীকের প্রতি একটা বিশ্বাস আছে, আস্থা আছে। কাজে ওটা ভালই হবে বলে আমার মনে হয়।”

কেবল ‘অপরাজিত’ নয়। পরিচালক অনীক দত্তর একাধিক বাংলা ছবিতে পূর্বেও পাওয়া গিয়েছে সত্যজিৎ রায়ের ছাপ। সে ‘ভূতের ভবিষ্যৎ’ হোক কিংবা ‘ভবিষ্যতের ভূত’। রে ছিলেন তাঁর ছবিতে। সন্দীপ আমাদের বলেছেন, “অনীক বাবার অন্ধ ভক্ত। তিনি খুব সিরিয়াস ফিল্ম মেকার। তাঁর প্রত্যেক ছবিতেই সেই ছাপ আমি লক্ষ্য করি।”

ছবিতে সত্যজিৎ রায়ের স্ত্রী বিজয়া রায়ের চরিত্রে অভিনয় করছেন অভিনেত্রী সায়নী ঘোষ। ছবির কিছু অংশের শুটিং হয়েছে। বীরভূমের বোলপুরে হয়েছে শুটিং। বেশ কিছু শুটিং হবে কলকাতায়। লাইট-সাউন্ড-ক্যামেরা-অ্যাকশনের শব্দ শোনা যাবে নন্দনে, শিশির মঞ্চেও। মোনোক্রোমে (সাদা-কালোয়) হবে ছবির শুটিং। একমাসের মধ্যেই শুটিং শেষ করার টার্গেট নিয়েছেন অনীক দত্ত।

আরও পড়ুন: Ditipriya-Sreelekha: “যা হচ্ছে ঠিক হচ্ছে না”, শ্রীলেখার উদ্দেশে কেন এই কথা দিতিপ্রিয়ার?