খুল্লামখুল্লা পার্নোকে বই লেখার কথা কেন বলেন মিমি!
এবছর ভোটের মাসখানেক আগে গোয়া ঘুরতে গিয়েছিলেন মিমি-পার্নো। চুটিয়ে মজা করেছিলেন দু'জনে।
সম্প্রতি দিল্লি গিয়েছেন যাদবপুরের তৃণমূল সাংসদ ও অভিনেত্রী মিমি চক্রবর্তী। পার্লামেন্টের সেশনে অংশগ্রহণ করতেই রাজধানীতে গিয়েছেন তিনি। গোটা মাসটাই সেখানে থাকবেন। অনেকেই হয়তো জানেন, যে মিমির পায়ের তলায় সর্ষে। কোথাও কাজে গেলেও আশপাশটা ঘুরে দেখা তাঁর স্বভাব। তাই কাজের ফাঁকে সুযোগ বুঝে একটু বেরু বেরু করলেন অভিনেত্রী-সাংসদ। বৃহস্পতিবার ছবিও পোস্ট করেছেন সোশ্যাল মিডিয়ায়।
দিল্লির আশপাশে অবস্থিত সৌধ-সমাধী ও বেশকিছু ঐতিহাসিক স্থাপত্য ঘুরে দেখেছেন মিমি। সেরকমই একটি সৌধর সামনে বসে ছবি তুলে পোস্ট করেছেন নিজের অফিশিয়াল পেজে। ক্যাপশনে লিখেছেন, “এতদিনে আপনারা বুঝে গিয়েছেন সূর্যাস্ত আমার প্রিয়। এই জায়গাটিও অসাধারণ সুন্দর। চারদিকে ময়ূর নেচে বেড়াচ্ছে। ফোনের ব্যাটারি ফুরিয়ে গিয়েছিল বলে ছবি তুলে রাখতে পারিনি। কিন্তু সেই ছবি আমার মস্তিষ্কে ফ্রেমবন্ধি হয়ে থেকে যাবে। জায়গাটিতে গার্ড ছাড়া কোনও টুরিস্ট (আমি নিজেকে টুরিস্ট বলেই পরিচয় দিতে ভালবাসি) ছিলেন না।
View this post on Instagram
মিমির এই পোস্ট মুহূর্তের মধ্যে ভাইরাল। ঝাঁকে ঝাঁকে বন্যা কমেন্টের। মিমির প্রিয় বান্ধবী অভিনেত্রী পার্নো মিত্রও কমেন্ট করেছেন সেখানে। কলকাতায় বোর পার্নো লিখেছেন, “কী রে? খুব ঘুরছিস? সব মনে রাখব?”
পালটা মজা করে মিমিও উত্তরে লিখেছেন, “কেন মনে রেখে কি বই লিখবি?” প্রসঙ্গত বলে রাখা ভাল, পার্নো ও মিমি দু’জনেই ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে বহু বছর কাটিয়ে দিয়েছেন। তবে তাঁরা দু’জন ভিন্ন দুটি রাজনৈতিক দলের সদস্য। ২০১৯ সালে লোকসভা নির্বাচনে যাদবপুরের তৃণমূল প্রার্থী হিসেবে জিতে সাংসদ হয়েছেন মিমি। পার্নো বিজেপিতে অনেক আগে যোগদান করেছিলেন। ২০২১-এর বিধানসভা নির্বাচনে বরাহনগর থেকে ভোটে দাঁড়িয়ে হেরেছেন তিনি। তবে অনেক আগে থেকেই মিমি-পার্নো বন্ধু। এবছর ভোটের মাসখানেক আগে গোয়া ঘুরতে গিয়েছিলেন তাঁরা। চুটিয়ে মজা করেছিলেন দু’জনে। অন্যদিকে নুসরতের সঙ্গে মিমির বন্ধুত্বে চির ধরা নিয়েও সরগরম টলিপাড়া। অগাস্টে কলকাতায় ফিরছেন মিমি। ফিরেই শুরু করবেন অরিন্দম শীলের ‘খেলা যখন’ ছবির শুটিং।
আরও পডু়ন: ‘দাবাং ৪’ আসছে? ভাই আরবাজের শোতে পর্দা ফাঁস সলমনের