বাংলার সিপিএম নেত্রীর মনে ‘শান্ত ঝড়’ , অক্ষয় খান্নার সঙ্গে অতীতের যোগাযোগ সামনে এল
২০২৪ এর লোকসভা নির্বাচনে সিপিআইএমের টিকিটে দক্ষিণ কলকাতার বালিগঞ্জ লোকসভা কেন্দ্র থেকে ভোটে দাঁড়িয়ে ছিলেন সায়রা। সেই সায়রাই পড়তেন লরেন্স স্কুল লাভডেল স্কুলে, যেখানে পড়তেন বলিউড অভিনেতা অক্ষয় খান্না। অক্ষয় খান্না তাঁর থেকে অনেকটাই সিনিয়র ছিলেন স্কুলে।

বক্স অফিসে সুপারহিট রণবীর সিংয়ের ধুরন্দর। তবে রণবীরকে ‘টেক্কা’ দিয়ে এই ছবির গোটা স্পটলাইট কেড়ে নিয়েছেন রহমান ডাকাত ওরফে অক্ষয় খান্না। বলিউডের যে নায়ককে রীতিমতো ভুলতে বসেছিলেন সিনেপ্রেমীরা, সেই নায়কের ধুরন্দর কামব্যাক এখন টক অফ টাউন। তাঁর প্রেম, তাঁর ব্যক্তিগত জীবন, বাবা বিনোদ খান্নার সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক, সব নিয়েই এখন নেটিজেনদের আগ্রহ তুঙ্গে। ঠিক এরই মাঝখানে স্কুল জীবনে অক্ষয় খান্না কেমন ছিলেন, তা জানিয়ে দিলেন তাঁর স্কুলেরই জুনিয়র তথা বামনেত্রী সায়রা শাহ হালিম।
২০২৪ এর লোকসভা নির্বাচনে সিপিআইএমের টিকিটে দক্ষিণ কলকাতার বালিগঞ্জ লোকসভা কেন্দ্র থেকে ভোটে দাঁড়িয়ে ছিলেন সায়রা। সেই সায়রাই পড়তেন লরেন্স স্কুল লাভডেল স্কুলে, যেখানে পড়তেন বলিউড অভিনেতা অক্ষয় খান্না। অক্ষয় খান্না তাঁর থেকে অনেকটাই সিনিয়র ছিলেন স্কুলে। তবুও বেশ কাছ থেকেই দেখেছেন ধুরন্দর অভিনেতাকে। সম্প্রতি সোশাল মিডিয়ায়, অক্ষয়কে নিয়ে মন খুলে লিখলেন সায়রা। জানালেন, স্কুলে পড়ার সময় অক্ষয়কে কীভাবে দেখেছেন সায়রা।
সোশাল মিডিয়ায় সায়রা তাঁর পোস্টে লিখেছেন, “যেদিন অক্ষয় স্কুলে ভর্তি হন, স্কুলের লবিতে দারুণ উত্তেজনা ছিল। শোনা গিয়েছিল বিনোদ খান্নার ছেলে একাদশ শ্রেণিতে ভর্তি হতে আসছে। আমরা সবাই খুব কৌতূহলী ছিলাম তাকে দেখতে কেমন হবে তা নিয়ে।” এরপর পরবর্তী দুই বছর সায়রা ও তাঁর সহপাঠীরা প্রতিদিন অক্ষয়কে ক্যাম্পাসে দেখতেন। সায়রার কথায়, “টাক শপে (টিফিন ঘর) যাওয়া-আসার পথে মাঝেমাঝেই তাঁর সঙ্গে দেখা হতো। এক কথায় তিনি ছিলেন আমাদের স্কুলের ‘ন্যাশনাল ক্রাশ’!মাঠ কাঁপানো ফুটবল দলের ক্যাপ্টেন নন, অক্ষয়ের আকর্ষণ ছিল তাঁর নিভৃতচারী স্বভাবে। সায়রা স্মৃতিচারণা করে লিখলেন, “অক্ষয় খুব একটা হইহুল্লোড় করতেন না, বরং তিনি ছিলেন এক শান্ত ঝড়। খুবই স্বল্পভাষী আর গম্ভীর প্রকৃতির।”
View this post on Instagram
সায়রা আরও জানান, অক্ষয়কে কখনই বড় কোনও বন্ধুদের আড্ডায় দেখা যেত না, এমনকী, স্কুলের সোশ্যাল বা পার্টিগুলোতেও তিনি থাকতেন না। স্কুলের লনে একা বসে চা খাওয়া কিংবা নির্জনে ঘুরে বেড়াতেই তিনি স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করতেন। প্রথাগত অর্থে যাকে ‘লেডিস ম্যান’ বলা হয়, অক্ষয় তা ছিলেন না। তবুও তিনি ছিলেন ক্যাম্পাসের সবচেয়ে জনপ্রিয় সিনিয়রের একজন।
সেই দিনগুলোর কথা মনে করে সায়রা লেখেন, “অক্ষয়ের বাবা বিনোদ খান্না ও তাঁর সৎ মা প্রায়ই স্কুলে দেখা করতে আসতেন। অক্ষয় যখন পরে সিনেমায় অভিনয় করা শুরু করলেন, একদম অবাক হইনি। তাঁর কিছু ছবি চলল, কিছু চলল না, কিন্তু একটা জিনিস আজ পর্যন্ত বদলায়নি, অক্ষয় সেই দিনগুলোর মতই আজও রহস্যময় এবং প্রচারের অন্তরালে থাকতে ভালোবাসেন। অবশেষে তিনি তাঁর যোগ্য সম্মান পাচ্ছেন দেখে আমি সত্যিই খুশি।”
