শুটিং মাঝেই নীল হয়ে ওঠে মাধুরীর ঠোঁট, পরিচালকের চোখে পড়তেই…
Madhuri Dixit: এখন যে এমনটা ঘটে না এমন নয় তবে সেই সময় এটাই ছিল ট্রেন্ড। যে ট্রেন্ডে গা ভাসিয়ে রীতিমতো সমস্যার সম্মুখীন হতে হয় অভিনেত্রীদের। অভিনেতাদের গায়ে মোটা মোটা জ্যাকেট বুট সবই থাকতো অভিনেত্রীদের দেখা যেত স্লিভ লেজ ব্লাউজ, পাতলা শিফন শাড়িতে।
বাণিজ্যিক ছবি মানেই তাতে বেশ কিছু দৃশ্য খুব চেনা পরিচিত হয়ে ওঠে। অন্তত একটা সময় সেই ছকে বেঁধেই ছবিগুলোকে তৈরি করা হতো। যেখানে নায়ক নায়িকার প্রেম থাকবে, প্রেমের মাঝে সমস্যা থাকবে, ভিলেন থাকবে, বেশ কয়েকটি বিদেশে শুটিং হওয়া গান থাকবে, কিংবা কোনও পাহাড় কোলে আঁচল উড়িয়ে অভিনেত্রীদের রোম্যান্স থাকবে, থাকবে আইটেম সং। যার ফলে ৯০ দশকের অধিকাংশ অভিনেত্রীদেরই এমন প্লটে দেখা গিয়েছে। এখন যে এমনটা ঘটে না এমন নয় তবে সেই সময় এটাই ছিল ট্রেন্ড। যে ট্রেন্ডে গা ভাসিয়ে রীতিমতো সমস্যার সম্মুখীন হতে হয় অভিনেত্রীদের। অভিনেতাদের গায়ে মোটা মোটা জ্যাকেট বুট সবই থাকতো অভিনেত্রীদের দেখা যেত স্লিভ লেজ ব্লাউজ, পাতলা শিফন শাড়িতে।
মাইনাস ডিগ্রী তাপমাত্রায় হাসিমুখে সেই গানগুলোও শুটিং করতে ঠিক কতটা কষ্ট হত তাঁদের নানান সাক্ষাৎকারে বিভিন্ন অভিনেত্রীরা শেয়ার করেছে। একই পরিস্থিতিতে পড়তে হয়েছিল মাধুরী দীক্ষিতকে। অনিল কাপুরের সঙ্গে পুকার ছবির শুটিংয়ে একটি গানের দৃশ্যের জন্য তারা গিয়েছিলেন আলাস্কা। আর সেখানে এতটাই ঠাণ্ডা ছি, যে প্রথম দিন রীতিমতো শুটিং করতে পারেননি মাধুরী দীক্ষিত। তাঁর কথায় প্রথম দিন যখন আমি ওখানে যাই কোনওভাবেই নিজেকে ওই পরিস্থিতির সঙ্গে মানিয়ে নিতে পারছিলাম না ঠাণ্ডায় রীতিমতো জমে যাচ্ছিলেন।
যদিও আমাদের কোরিওগ্রাফার ফারাহ খান বারবার সবাইকে বলেছিলেন একসঙ্গে গান গাইতে, আমাকে অনুপ্রাণিত করছিলেন কিন্তু কোনওভাবেই ওই ঠাণ্ডা আমি সহ্য করতে পারছিলাম না। এমন সময় এক মেকআপ ম্যান আমার কাছে আসতেই তিনি চিৎকার করে বলেন প্যাকআপ। দ্রুত শুটিং বন্ধ করতে হবে ঠান্ডায় জমে গিয়ে নাকি আমার ঠোঁট নীল হয়ে গিয়েছিল। যদিও সেখানে উপস্থিত ছিলেন ডাক্তার। তড়িঘড়ি আমাকে নিয়ে যাওয়া হয় এবং সেদিন আর শুটিং হয় না। পরের দিন অনেকটাই ধাতস্থ হওয়ার চেষ্টা করি সকলে এসে আমাকে চাদর দিয়ে দিয়ে ঢেকে দিয়েছিলেন বারবার আর খুব ছোট ছোট অংশের শুটিং করা হচ্ছিল।