উত্তমকুমার ফুলশয্যার রাতে দরজা-জানালা খুলে রেখেছিলেন কেন?
Uttam Kumar Secrets: মহানায়কের ফুলশয্যা। তা নিয়েও কৌতূহলের শেষ ছিল না লোকজনের মধ্যে। ছোটবেলার প্রেমিকা এবং পাড়ার মেয়ে গৌরীদেবীকে বিয়ে করেছিলেন উত্তমকুমার। তাঁদের বিয়ের প্রথম রাতে যা ঘটে। সেই রহস্যের কথা ফাঁস করেছেন মহানায়কের ভাই তরুণকুমার চট্টোপাধ্যায়।

উত্তমকুমারের ছোটবেলা কেটেছে মধ্য কলকাতার ভবানীপুরে। কৈশোরের প্রেমিকা পাড়ার মেয়ে গৌরীকেই মন দিয়ে বসেছিলেন উত্তমকুমার। তার বিয়ে হয়েছিল অল্প বয়সেই। সেই সময় উত্তমকুমার মহানায়ক হয়ে ওঠেননি। অল্প অভিনয় করতেন মাত্র। কিন্তু তাঁর বিয়েতে জাঁকজমকের অভাব ছিল না। গৌরীদেবীর বাবা যখন উত্তমকুমারের বাড়িতে মেয়ের সম্বন্ধ নিয়ে এসেছিলেন, আলোচনা করেছিলেন দুই গুরুজনে। বিয়েতে পণ দেওয়া-নেওয়া নিয়েও কথা হয়েছিল। উত্তমের বাবা সাতকড়ি চট্টোপাধ্যায় বলেছিলেন, “বাড়িতে মেয়ের বড্ড অভাব। আমার বড় মেয়ের মৃত্যু হয়েছে। তাঁর বিয়েটা তো দিতে পারিনি। ফলে এটাও জানিন না বিয়েতে কী দিতে হয় না হয়। আমাদের কিছু লাগবে না। তবে মেয়েকে কিছু দিতে চাইলে দিতে পারেন।”
উত্তমকুমারের সঙ্গে বিয়ের পর বাড়িতে কন্যার অভাব ঘুঁচিয়ে দিয়েছিলেন গৌরীদেবী। ধার করা বহুমূল্যবান ডেলমার গাড়িতে চেপে গৌরীর বাড়িতে তাঁকে বিয়ে করতে গিয়েছিলেন উত্তমকুমার। তাঁদের ফুলশয্যায় এক অভাবনীয় কাণ্ডও ঘটেছিল।
‘আমার দাদা উত্তমকুমার’ বইতে উত্তমের ভাই তরুণকুমার লিখেছিলেন অনেক কথাই। মহানায়ক উত্তমকুমার ব্যক্তি হিসেবে কেমন ছিলেন, এই বই তার শ্রেষ্ঠ দলিল। তরুণকুমার বইতে লিখেছিলেন উত্তমের ফুলশয্য়ার ঘটনাও। তাদেরই এক বউদি এবং তাঁর এক ননদ উত্তমকুমারের ফুলশয্যার ঘরে ট্রাঙ্কের পিছনে লুকিয়ে ছিলেন। বিষয়টির আভাস উত্তমকে দিয়েছিলেন এক আত্মীয়। ফ্রাঙ্কের কাছেই তিনি একটি গেলাস ফেলে ভেঙেছিলেন। বউদি এবং তাঁর ননদটি বেরিয়ে এসেছিলেন ট্রাঙ্কের পিছন থেকে। ফুলশয্যার ঘরে কি ঘটছে, তা জানার আগ্রহ দেখে উত্তম মনে-মনে হেসেছিলেন খুব। বলেছিলেন, “তোমরা পারো কিন্তু। এই নাও জানালা-দরজা সব খুলে দিচ্ছি। ফুলশয্যায় আমরা কী-কী করছি, সব তোমরা দেখো। ট্রাংকের পিছনে তোমাদের লুকিয়ে থাকতে হবে না।” মহানায়কের মুখে এই কথা শুনে ঘর ফাঁকা হয়ে যায় লহমায়।
