AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

‘রাখে হরি মারে কে’, দাউ-দাউ করে জ্বলছে বিমান, কান ঘেঁষে বেঁচে গেলেন জিতেন্দ্র!

শেষ মুহূর্তে তিনি মতো পরিবর্তন করেছিলেন। আর তিনি বারবার তাঁর স্ত্রী শোভা কাপুরকে ধন্যবাদ জানান। কারণ তাঁর স্ত্রীর করবাচৌথ পুজোর জন্য সেদিন বিমান যাত্রা বাতিল করে বাড়ি ফেরেন। আর অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচে যান।

'রাখে হরি মারে কে', দাউ-দাউ করে জ্বলছে বিমান, কান ঘেঁষে বেঁচে গেলেন জিতেন্দ্র!
| Edited By: | Updated on: Jun 17, 2025 | 2:52 PM
Share

গত কয়েকদিন ধরেই আহমেদাবাদ বিমান দুর্ঘটনায় শোকস্তব্ধ গোটা দেশ। এ মৃত্যু যেন অবিশ্বাস্য। কিছু মুহূর্ত আগে প্রতিটা যাত্রীর মুখে হাসি। ভাগ্যের কী নির্মম পরিহাস, সোশ্যাল মিডিয়া এমনই শোকবার্তায় ভরে উঠছে। জীবন বড়ই অনিশ্চিত। কার ভাগ্যে কী লেখা আছে, তা জানা নেই কারও। তাই অনেকেই সোশ্যাল মিডিয়ায় জীবনের প্রতিটা মুহূর্তকে বাঁচার আর্জি জানিয়ে চলেছেন। যাঁরা ভাগ্যে বিশ্বাস করেন, তাঁরা আজ সেই দুই মানুষকে নিয়ে কথা বলে চলেছেন, যিনি ১০ মিনিটের দেরি হওয়ার কারণে বিমান ধরতে পারেননি, আর যিনি সেই অভিশপ্ত বিমানে থেকেও বেঁচে ফিরেছেন।

ভাগ্যের জোরে এমনই একবার বেঁচে গিয়েছিলেন জিতেন্দ্র। বহু বছর আগে এমনই এক বিমান দুর্ঘটনার মুখ থেকে ফেরেন তিনি। সত্তর ও আশির দশকের সুপারস্টার জিতেন্দ্র তাঁর আশিতম জন্মদিন উপলক্ষে কপিল শর্মা শো-য়ে এসে সেই বিমান দুর্ঘটনার থেকে বেঁচে যাওয়ার ভয়ানক অভিজ্ঞতার কথা জানিয়েছিলেন।

ঠিক কী ঘটেছিল?

সত্তরের দশকে বলিউডের পাশাপাশি দক্ষিণের ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে চুটিয়ে সিনেমা করতেন জিতেন্দ্র। মাসের বেশিরভাগ সময় চেন্নাইতে কাটাতেন। এমনও হয়েছে, সেই সময় জিতেন্দ্রর স্ত্রী ছুটির দিনে বাচ্চাদের নিয়ে জিতেন্দ্রর সঙ্গে সময় কাটাতে দক্ষিণ ভারতে পৌঁছে যেতেন।

জিতেন্দ্রর কথা অনুযায়ী, ১৯৭৬ সালে সিনেমার শ্যুটিং-এ চেন্নাই পৌঁছনোর কথা ছিল তাঁর। তবে ওই দিনটি ছিল ‘করবাচৌথ’। সেই কারণেই বেশ কয়েকবার জিতেন্দ্রকে বাড়ি থেকে না বেরতে অনুরোধ করেছিলেন জিতেন্দ্রর স্ত্রী শোভা কপুর। তবে শ্যুট-এর ডেট দেওয়া ছিল বলে স্ত্রীর অনুরোধ রাখতে পারেননি অভিনেতা। তিনি সঠিক সময়ে পৌঁছে যান বিমান বন্দরে। ওখানে পৌঁছে দেখেন সন্ধ্যা সাতটার ইন্ডিয়ান এয়ারলাইস-এর সেই বিমান দু’ঘন্টা দেরিতে ছাড়বে। এটা শোনা মাত্র জিতেন্দ্র ঠিক করেন তিনি বাড়ি পৌঁছে শোভার উপোস ভাঙার পর আবার ফিরবেন। সেই মতো তিনি বাড়ি ফিরে যান। পুজো শেষ হলে স্ত্রীর অনুরোধে ঠিক করেন আজ আর তিনি চেন্নাই যাবেন না।

এর কিছুক্ষণের মধ্যেই নাকি তিনি দেখেন তাঁর বাড়ির উপর দিয়ে একটি বিমান জলন্ত অবস্থায় উড়ছে। খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন, ইন্ডিয়ান এয়ারলাইস-এর এই বিমানেই তিনি চেন্নাই যেতেন। শেষ মুহূর্তে তিনি মতো পরিবর্তন করেছিলেন। আর তিনি বারবার তাঁর স্ত্রী শোভা কাপুরকে ধন্যবাদ জানান। কারণ তাঁর স্ত্রীর করবাচৌথ পুজোর জন্য সেদিন বিমান যাত্রা বাতিল করে বাড়ি ফেরেন। আর অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচে যান।

তিনি জানিয়েছিলেন, ওই দিন একের পর এক ফোন আসতে থাকে বাড়িতে, কারণ সবাই জানতো যে তিনি ওই বিমানের যাত্রী ছিলেন। ১৯৭৬ সালের চেন্নাইগামি বিমান দুর্ঘটনায় ৯৬ জনের প্রাণ চলে যায়। তবে বলিউডের সুপারস্টার জিতেন্দ্র প্রাণে বেঁচে যান, এখনও প্রতিটি জন্মদিনে তিনি ওই দিনটি মনে করেন আর তাঁর স্ত্রীকে ধন্যবাদ জানান।