AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

‘আমার লজ্জা নেই…’, পোশাক-চেহারা বিতর্কে যখন বিস্ফোরক বিদ্যা

ঠাকুরকে ডাকতেন, যেন কোনও ফোটোগ্রাফার না আসেন। যদিও তাতে লাভের লাভ কিছুই হতো না। ভয়ে লুকিয়ে থাকতেন বিদ্যা। তবে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে সবটাই ঠিক হয়ে যায় বলেও দাবি করেন তিনি।

'আমার লজ্জা নেই...', পোশাক-চেহারা বিতর্কে যখন বিস্ফোরক বিদ্যা
| Edited By: | Updated on: Apr 20, 2025 | 4:54 PM
Share

বর্তমানে সেলেবদের পাপারাৎজিরা যেভাবে ফলো করে থাকেন, তাতে এক প্রকার দিনের প্রতিটা সময়ই নিজেকে পারফেক্ট লুকে তাঁদের বজায় রাখতে হয়। জিম লুক, এয়ারপোর্ট লুক ছাড়াও আরও যে কত কী। কেরিয়ারের শুরুতে সকলেই এই বিষয়গুলোকে গুরুত্ব দিয়ে ফেলেন তাই প্রয়োজনের থেকে বেশি। যার জেরে রীতিমত নাজেহাল হতে হয়েছিল অভিনেত্রী বিদ্যা বালানকে। ঝড়ের গতিতে ভাইরাল হয়ে সেই খবর। একবার এই প্রসঙ্গে মুখ খুলেছিলেন অভিনেত্রী। জানিয়েছিলেন, সমস্যাটা ঠিক কোথায়? তাঁর বয়স এখন ৪৫ পেড়িয়েছে, নিজের ছকভাঙা ফ্যাশন, মেদবহুল চেহারাতেই তিনি দিব্যি আছেন। বিদ্যার কথায়, সুস্থ থাকাটা বেশি জরুরি। তবে তিনি যে প্রথম থেকেই এই ধ্রুব সত্যি মেনে নিতে পারেননি, তাও স্বীকার করেন।

জানিয়েছিলেন, তিনি রীতিমত ভয়ে-ভয়ে থাকতেন এয়ারপোর্ট লুক নিয়ে। ঠাকুরকে ডাকতেন, যেন কোনও ফোটোগ্রাফার না আসেন। যদিও তাতে লাভের লাভ কিছুই হতো না। ভয়ে লুকিয়ে থাকতেন বিদ্যা। তবে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে সবটাই ঠিক হয়ে যায় বলেও দাবি করেন তিনি।

ইন্ডাস্ট্রির তথাকথিত ‘সাইজ কনসেপ্ট’কে গুঁড়িয়ে দিয়েছেন তিনি। শাড়িতেই তিনি স্বচ্ছন্দ, শাড়িতেই তিনি খুশি। কিন্তু জীবনের কোনও না কোনও সময় বডি হাগিং পোশাক তিনি পরে দেখেননি এমনটা নয়। পরেছেন, চেয়েছেন অন্য অভিনেত্রীর মতো দেখতে লাগুক তাঁকে। কিন্তু বিদ্যার মনে হয়েছে, তাঁকে নাকি অদ্ভুত দেখাচ্ছে । এই বিষয়ে অভিনেত্রী মুখ খুলেছিলেন এক চ্যাট শো’য়ে।

রেড কার্পেটের বেশিরভাগ সময়ই শাড়িতে দাপানো, নিঃসন্দেহে চ্যালেঞ্জ। আর সেই চ্যালেঞ্জে বেশ ভাল ভাবেই পাশ করেছেন বিদ্যা। ট্রেন্ড সেটার কি বলা যায় তাঁকে? বিদ্যার উত্তর, “আমার কাছে তো কোনও চয়েজই ছিল না। ওই সব পোশাকে আমি ফিট হতাম না। আমি একটা জিনিস বুঝতে পারি, হয় সারাজীবন ওঁদের মতো হওয়ার বাসনা করে যাব আর নয়তো আমি যা আমি তাই হয়েই থাকতে পারব।” বিদ্যা আরও বলেন, “যে মুহূর্তে আমি অন্যের মতো হওয়ার চেষ্টা বন্ধ করে দিলাম, দর্শকও আমাকে আরও কাছ থেকে পেতে চাইল।” কোনও দিন অন্য কোনও অভিনেত্রীর স্টাইল স্টেটমেন্ট অনুসরণ করার ইচ্ছে হয়নি তাঁর? বিদ্যার সাফ জবাব, “আমি চেষ্টা করেছি ওঁদের মতো পোশাক পরতে। আমায় অদ্ভুত দেখাত। নিজেও কমফোর্টেবল হতে পারতাম না একেবারেই। আমি খুশি, আমি যা ভালবাসি, আমি তাই পরতে পারি। যা ইচ্ছে তাই করতে পারি। আমি মুক্ত…আমি স্বাধীন। মানুষের কাছে তোমার প্রশংসা করা ছাড়া আর কোনও উপায় নেই। কারণ, তাঁরা নিজেরাও বুঝে গিয়েছেন আমার লজ্জা নেই।”