Eye Twitching : শুভ-অশুভ নয়, এই তিন মারাত্মক রোগ হল ঘন ঘন চোখ কাঁপার আসল কারণ
Eye Twitching Causes: চোখের এই পলক পড়া অর্থাৎ চোক কাঁপাকে ডাক্তারি পরিভাষায় বলা হয়, মায়োকাইমিয়া। যখন চোখের পেশি বেশি সংকুচিত হতে শুরু করে তখন চোখও জ্বালা করে
শরীরে অঙ্গ, প্রত্যঙ্গ নিয়ে ঘটে যাওয়া ছোটখাটো ক্রিয়াকলাপগুলির বেশিরভাগই একাধিক কুসংস্কারের সঙ্গে জড়িত। চোখের পলক ফেলা, চোখ বারবার পিটপিট করাও কিন্তু একরকম অসুখ। কোনও রকম কুসংস্কার নয়। অধিকাংশ মানুষ এই চোখের পলক ফেলাকেই শুভ-অশুভ কারণ হিসেবে ধরেন। কেউ বলেন বাঁ চোখ খাঁপলে শুভ আবার কেউ ভাবেন ডান চোখ কাঁপলে অশুভ। চোখ খাঁপা খুবই সাধারণ একটি ব্যাপার। সাধারণত চোখের পাতার পেশীর খিঁচুনির কারণেই চোখ বেশি কাঁপতে থাকে। যে কারণে চোখের উপরের পাতাই বেশি কাঁপে। নীচের পাতা কখনই কাঁপে না। চোখের পাতা কয়েক মিনিট কাঁপলেও নিজের থেকেই তা বন্ধ হয়ে যায়। দু-একদিন এই চোখ কাঁপা কোনও অসেবাভাবিক ব্যাপার নয়। তবে তা যদি সপ্তাহের পর সপ্তাহ ধরে চলতে থাকে বা এক মাসের বেশি স্থায়ী হয় তা হলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নেবেন। কারণ তা গুরুতর অসুস্থতারই লক্ষণ।
চোখের এই পলক পড়া অর্থাৎ চোক কাঁপাকে ডাক্তারি পরিভাষায় বলা হয়, মায়োকাইমিয়া। যখন চোখের পেশি বেশি সংকুচিত হতে শুরু করে তখন চোখও জ্বালা করে। এই চোখের পাতা কাঁপার একাধিক কারণ রয়েছে। এধিকাংশ ক্ষেত্রেই মানসিক চাপ এর প্রধান কারণ। এছাড়াও ঘুম কম হওয়া, চোখে অতিরিক্ত চাপ পড়া, অতিরিক্ত মদ্যপান এই চোখ কাঁপার অন্যতম কারণ। যাঁদের দৃষ্টির সমস্যা রয়েছে, দূরে বা কাছে দেখতে সমস্যা হয় তাঁদের ক্ষেত্রেও এই একই সমস্যা হতে পারে। এই চোখ কাঁপার ঘটনার তিনটি স্টেজ আছে। মায়োকিমিয়া, ব্লেফারোস্পাজম এবং হেমিফেসিয়াল স্প্যাজম।
মায়োকেমিয়া
চোখের সবচেয়ে সাধারণ সমস্যা হল এই মায়োকেমিয়া। মূলত রোজকার জীবনযাত্রার সঙ্গেই সম্পর্কিত এই সমস্যা। এই সমস্যা মাঝে মধ্যেই হতে পারে। তবে আবার নিজের থেকে তা ভালও হয়ে যায়। মানসিক চাপ, চোখের ক্লান্তি, বেশি পরিমাণ কফি খেলে এই সমস্যা সবচাইতে বেশি হয়। এছাড়াও যাঁরা মোবাইল, কম্পিউটার বেশি ব্যবহার করেন তাঁদের ক্ষেত্রেও এই সমস্যা দেখা যায়।
ব্লেফারোস্পাজম
এটি কিন্তু চোখের গুরুতর সমস্যা। চোখের পেশি সঙ্কুচিত হলে এই সমস্যা বেশি হয়। এতে চোখের ক্ষতি হতে পারে। চোখে ঝাপসা দেখা, চোখে ব্যথাও হয়। চোখ খুলতে অসুবিধে হয়। চোখে ফোলা ভাবও থেকে যায়। চোখের পাতা আর শুধু নয়, তখন মনে হয় চোখের আশপাশের পেশীতেও ব্যথা হয়।
হেমিফেসিয়াল
এই রোগে মুখের অর্ধেক অংশই কুঁচকে থাকে। প্রথমে চোখ কাঁপতে থাকে। পরবর্তীতে গাল, মুখের পেশীও কাঁপতে থাকে। স্নায়ুর সংকোচনের কারণেই এই সমস্যা বেশি হয়। বেইন পালসি, সার্ভিকাল ডাইস্টোনিয়া, ডাইস্টোনিয়া, মাল্টিপল স্ক্লেরোসিস এবং পারকিনসন্সের মতো সমস্যার লক্ষণ হল এই চোখ কাঁপা।