Eating Tips: খাবারই যখন সব রোগের একমাত্র ওষুধ! জানুন কীভাবে খাবেন
why healthy eating is important: ডিনার দেরি করে করা আজকাল ফ্যাশান হয়ে দাঁড়িয়েছে। কেউ যদি বলেন যে রাত ৯ টার মধ্যে রাতের খাওয়া সেরে ফেলেন তাহলে অধিকাংশই শুনে অবাক হই...
খাবারই আমাদের চালিকা শক্তি। বেঁচে থাকতে আমাদের রোজ নিয়ম করে খাবার খেতেই হবে। সেই খাবারের মধ্যে যাতে পর্যাপ্ত পরিমাণ পুষ্টি থাকে সে ব্যাপারেও আমাদের নজর রাখা প্রয়োজন। এদিকে আজকাল যাবতীয় শারীরিক সমস্যা আসছে খাবার থেকে। রোজ ভাজাভুজি, অতিরিক্ত তেলমশলা দেওয়া খাবার খেলে সেখান থেকে পেটের সমস্যা অবধারিত। পাশাপাশি আসছে সুগার, কোলেস্টেরল, ট্রাইগ্লিসারাইড, উচ্চরক্তচাপের মত সমস্যাও। আয়ুর্বেদ বলছে, শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্য বজায় রাখার প্রাথমিক শর্ত হল পুষ্টি। শরীর যদি সঠিক পরিমাণে পুষ্টি পায় তাহলে শরীরের অনেক সমস্যার সহজ সমাধান হয়ে যায়। বেদামৃতের প্রতিষ্ঠাতা এবং আয়ুর্বেদ বিশেষজ্ঞ তাই বিশেষ কিছু নিয়মের কথা বলেছেন। এই ভাবে নিয়ম মেনে খাবার খেলে খাবারই হবে সব সমস্যার একমাত্র মহৌষধ। সেই সঙ্গে পাবেন দীর্ঘদিন সুস্থ জীবন। তবে আয়ুর্বেদ খাবার খাওয়ার বিশেষ কিছু নিয়মের কথা বলছে। জানেন কি সেগুলি কী কী
যতটা খিদে পেয়েছে ততটা পরিমাণ খাবার খাবেন না– ধরা যাক আপনার চাগাড় দিয়ে খিদে পেয়েছে। যেহেতু অনেকটা সময় খাওয়া হয়নি। তখন মনে হতে পারেই যে একপ্লেট বিরিয়ানি মুহূর্তে খেয়ে ফেলতে পারবেন। কিন্তু দেখলেন যে কিছুটা খাওয়ার পর আর পারছেন না। তাই খিদে পেলে ১০০ শতাংশ পূরণ করে খাবেন না। ৭০-৮০ শতাংশ পর্যন্ত খান। ৩০ % অবশ্যই খালি রাখবেন।
দুপুরে পেট ভরে খান- ব্রেকফাস্ট হালকা করে দুপুরে পেট ভরে খান। কারণ হজমের জন্য সবচেয়ে ভাল হল দুপুর। সূর্যের আলো যখন চড়া থাকে আয়ুর্বেদ মতে তখন আমাদের হজম ক্ষমতা থাকে সবচাইতে বেশি। শরীর থেকে পর্যাপ্ত শক্তি শোষণ হয় সূর্যের আলোতেই। যত বিকেল হবে তত খাবার হালকা করে দিন।
রাতে দেরি করে খাবেন না- ডিনার দেরি করে করা আজকাল ফ্যাশান হয়ে দাঁড়িয়েছে। কেউ যদি বলেন যে রাত ৯ টার মধ্যে রাতের খাওয়া সেরে ফেলেন তাহলে অধিকাংশই শুনে অবাক হই। যত দেরিতে খাবার খাওয়া হয় খাবার হজম হতে তত সমস্যা হয়। হজম অনেক ধীর গতিতে হয়। ফলে অধিকাংশ ক্যালোরি অতিরিক্ত চর্বি হিসেবে রক্তে জমা হয়। এবার খাওয়ার পর ঘুমোলেই পোয়া বারো। তাতে আরও বেশি ফ্যাট জমার সম্ভাবনা থেকে যায়। তখন খাবার থেকে প্রয়োজনীয় শক্তিও পাওয়া যায় না। ঘুমনোর ঠিক ৩ ঘন্টা আগে খাবার সেরে নিন।
ফ্রেশ খাবার খান- গরম খাবার খাওয়া সব সময়ই বাঞ্ছনীয়। ফ্রিজ থেকে খাবার গরম করে খাওয়াতে সব সময় নিষেধ করেন আয়ুর্বেদ। কোনও খাবার ২ বার গরম করলে তার খাদ্যগুণ নষ্ট হয়ে যায়। দিনে তৈরি খাবার রাতেই খান। তারপর আর খাবেন না। ফ্রিজে খাবার রাখলেও তা একদিনের বেশি রাখবেন না।
হজম হলে তবেই খান- স্ন্যাক্স হোক বা লাঞ্চ- কোনও খাবার হজম হলে তবেই অন্য কোনও কিছু খাবার কথা ভাবুন। যদি দেখেন যে শরীরে অস্বস্তি রয়েছে তাহলে কিন্তু জোর করে কিছু খাবেন না। প্রয়োজনে গরম জলে আদা গ্রেট করে বার বার খান। এতে খাবার হজম হবে। মাঝেমধ্যেই নিজেকে উপবাসে রাখুন। এতে শরীর ভাল থাকবে।