Frequent Urination: ঘন ঘন প্রস্রাবের কারণ শুধু ইউটিআই নয়, এই ছয়টি রোগও হতে পারে আপনার

ক্লিভল্যান্ড ক্লিনিক বিশ্বাস করে যে দিনে চার থেকে আট বার প্রস্রাব করা আসলে সম্পূর্ণ স্বাভাবিক। আপনি যদি এর চেয়ে বেশি প্রস্রাব করতে বাথরুমে যান তবে আপনাকে সতর্ক হতে হবে।

Frequent Urination: ঘন ঘন প্রস্রাবের কারণ শুধু ইউটিআই নয়, এই ছয়টি রোগও হতে পারে আপনার
ক্লিভল্যান্ড ক্লিনিক বিশ্বাস করে যে দিনে চার থেকে আট বার প্রস্রাব করা আসলে সম্পূর্ণ স্বাভাবিক।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Feb 08, 2022 | 2:16 PM

প্রস্রাব (Urine) শুধু শরীর থেকে বিষাক্ত পদার্থই বর্জন করে না, বরং আপনার স্বাস্থ্য (Health) সম্পর্কেও অনেক কিছু ইঙ্গিত দেয়। প্রস্রাবের রং ও গন্ধ দেখে শরীরে বেড়ে ওঠা অনেক রোগ (Diseases) শনাক্ত করা যায়। এই কারণেই ডাক্তাররা অভ্যন্তরীণ রোগগুলি পরীক্ষা করার জন্য প্রস্রাব পরীক্ষার পরামর্শ দেন। আমাদের দিনে কতবার প্রস্রাব করা উচিত? এই প্রশ্নের উত্তরে, ক্লিভল্যান্ড ক্লিনিক বিশ্বাস করে যে দিনে চার থেকে আট বার প্রস্রাব করা আসলে সম্পূর্ণ স্বাভাবিক। আপনি যদি এর চেয়ে বেশি প্রস্রাব করতে বাথরুমে যান তবে আপনাকে সতর্ক হতে হবে। আপনি যে পরিমাণ জল পান করেন সেই অনুযায়ী প্রস্রাব করালে ঠিক আছে। তবে আপনার যদি অতিরিক্ত প্রস্রাব হয় বা খাওয়ার পরপরই সবসময় প্রস্রাব হয়, তবে এটি কিছু অভ্যন্তরীণ রোগের লক্ষণ হতে পারে, যা উপেক্ষা করা উচিত নয়।

প্রস্রাবের সমস্যা কোথায় দেখা দেয়? বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, কারোর যদি ঘনঘন প্রস্রাব হয় বা কিছু খাওয়া বা পান করার পরপরই টয়লেটে যাওয়ার প্রয়োজন হয়, তাহলে তা কোনও না কোনও রোগের লক্ষণ হতে পারে। এছাড়া প্রস্রাবের সঙ্গে জ্বর হলে, প্রস্রাবের নিয়ন্ত্রণ না থাকলে, পেটে ব্যথা বা অস্বস্তি হলে তা মূত্রনালীর সংক্রমণের (ইউটিআই) লক্ষণ হতে পারে।

ডায়বেটিজ়- অস্বাভাবিকভাবে ঘন ঘন প্রস্রাব টাইপ ১ এবং টাইপ ২ ডায়বেটিজ়ের প্রাথমিক লক্ষণ। কারণ শরীর প্রস্রাবের মাধ্যমে গ্লুকোজ পরিত্রাণ করতে চেষ্টা করে। এমন পরিস্থিতিতে, আপনার সন্ধ্যায় অতিরিক্ত জল এবং ক্যাফেইন খাওয়া এড়িয়ে চলা উচিত।

প্রোস্টেটের সমস্যা- বর্ধিত প্রোস্টেট মূত্রনালীতে চাপ দিতে পারে (যে টিউবটি শরীর থেকে প্রস্রাব বহন করে)। এটি প্রস্রাবের প্রবাহকে আটকাতে পারে। এটি মূত্রাশয়ের প্রাচীরেরও ক্ষতি করতে পারে। অল্প পরিমাণে প্রস্রাব থাকলেও মূত্রাশয় সংকুচিত হতে শুরু করে, যার ফলে ঘন ঘন প্রস্রাব হয়।

ইন্টারস্টিশিয়াল সিস্টাইটিস- ইন্টারস্টিশিয়াল সিস্টাইটিস একটি গুরুতর অবস্থা যা মূত্রাশয় এবং শ্রোণী অঞ্চলে ব্যথা সৃষ্টি করতে পারে। এই রোগের লক্ষণগুলির মধ্যে ঘন ঘন প্রস্রাব হওয়াও অন্তর্ভুক্ত। এই অবস্থায় প্রস্রাব করার তাগিদ থাকে কিন্তু প্রস্রাব সহজে হয় না।

স্ট্রোক বা অন্যান্য স্নায়ুবিক রোগ- কখনও কখনও মূত্রাশয় সরবরাহকারী স্নায়ুর ক্ষতি মূত্রাশয়ের কার্যকারিতা নিয়ে সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে। এই কারণে ঘন ঘন এবং হঠাৎ প্রস্রাব করার তাগিদ হয়। এটি একটি গুরুতর অবস্থা যার দ্রুত এবং সঠিক চিকিৎসা প্রয়োজন।

হাইপারক্যালসেমিয়া- এর মানে হল আপনার রক্তে ক্যালসিয়ামের মাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি। হাইপারক্যালসেমিয়া প্রায়ই ঘাড়ের চারটি ছোট গ্রন্থির একটির (প্যারাথাইরয়েড গ্রন্থি) অতিরিক্ত সক্রিয়তা বা ক্যান্সারের কারণে ঘটে। হাইপারক্যালসেমিয়ার লক্ষণগুলি হালকা থেকে গুরুতর হয়। এগুলির মধ্যে রয়েছে তৃষ্ণা এবং প্রস্রাবের বৃদ্ধি, পেটে ব্যথা, বমি বমি ভাব, হাড়ের ব্যথা, পেশীর দুর্বলতা এবং ক্লান্তি।

পেলভিক ফ্লোর ডিসঅর্ডার- এটি এমন একটি অবস্থা যেখানে পেলভিক পেশী দুর্বল হয়ে পড়ে। এই পেশীগুলি মূত্রাশয় এবং প্রজনন অঙ্গকে সাপোর্ট দেয়। এর উপসর্গের মধ্যে রয়েছে কোষ্ঠকাঠিন্য, মলত্যাগের সমস্যা, ঘন ঘন প্রস্রাব করার তাগিদ অনুভব করা ইত্যাদি। এর বিভিন্ন কারণ থাকতে পারে, যেমন প্রসব, যা পেলভিক ফ্লোরের ক্ষতি করতে পারে, বা বার্ধক্য যা মূত্রাশয়ের পেশীকে দুর্বল করে দিতে পারে।

আরও পড়ুন: খিদের মুখে দুধ ও কলা খেয়ে নেন? আয়ুর্বেদে এই সংমিশ্রণকে ‘বিষ’ বলা হয় জানেন?