Dehydration: কাজের মধ্যে জল খেতে ভুলে যান? মৃত্যুর ঝুঁকি বাড়তে পারে ২০%

Side Effects: পর্যাপ্ত পরিমাণে জল পান না করার কারণে শরীরে নানা রোগের ঝুঁকি তৈরি হয়। পাশাপাশি মৃত্যুর ঝুঁকিও বেড়ে যায়।

Dehydration: কাজের মধ্যে জল খেতে ভুলে যান? মৃত্যুর ঝুঁকি বাড়তে পারে ২০%
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jan 09, 2023 | 2:48 PM

শরীরে জলের ঘাটতি তৈরি হলে রোগও বাড়ে। নতুন গবেষণা বলছে, শরীর জলশূন্য হয়ে গেলে রোগের সঙ্গে আপনার বয়সও বাড়বে। মেডিকেল জার্নাল দ্য ল্যানসেটে সম্প্রতি একটি গবেষণা প্রকাশ করা হয়েছে। সেখানেই উল্লেখ করা হয়েছে, যে সব প্রাপ্তবয়স্করা পর্যাপ্ত পরিমাণে জল পান করেন না, তাঁদের বয়স দ্রুত বেড়ে যায়। অর্থাৎ আপনার বয়স ধরুন ৩৫, জল পান না করার জন্য আপনাকে ৪৫-এর মনে হতে পারে। পাশাপাশি শরীরে নানা রোগের ঝুঁকি তৈরি হবে। সব মিলিয়ে আপনি মৃত্যুর দিকে এগিয়ে যাবেন।

ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ হেলথের গবেষকরা ২৫ বছর ধরে এই গবেষণাটি করে। আমেরিকার ৪৫ থেকে ৬৬ বছর বয়সি এগারো হাজার মানুষদের নিয়ে এই সমীক্ষা করেন। সেই গবেষণার ফলাফল বলছে, শরীরে পর্যাপ্ত জলের অভাব অকালমৃত্যু ডেকে আনতে পারে। আর এ কথা অস্বীকার করার কোনও জায়গা নেই যে, শরীর ডিহাইড্রেটেড হয়ে গেলে রোগের ঝুঁকিও বেড়ে যায়। গবেষকদের মতে, শরীর ডিহাইড্রেট থাকলে বার্ধক্যের লক্ষণ সময়ের আগে প্রকাশ পায়।

এই গবেষণায় অংশগ্রহণকারীদের রক্তে সোডিয়ামের মাত্রা নিয়েও পরীক্ষা করা হয়। সেখানে দেখা গিয়েছে, রক্তে সোডিয়ামের মাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে অনেকটাই বেশি। এর অর্থ শরীরে জলের অভাব রয়েছে। সোডিয়ামের মাত্রা যত বেশি, ব্যক্তির শরীরে তত বেশি জলের প্রয়োজন রয়েছে। অর্থাৎ, সোডিয়ামের মাত্রা বেড়ে যাওয়ার অর্থ আপনার শরীর ডিহাইড্রেটেড।

ওই গবেষণায় দেখা গিয়েছে, ১১ হাজার অংশগ্রহণকারীদের শরীর স্বাভাবিক মাত্রা হাইড্রেটেড ছিল। রক্তে সোডিয়ামের মাত্রা ছিল লিটার প্রতি ১৩৫ থেকে ১৪৬ মিলিমোলস। যাদের শরীরে এই মাত্রা ১৪৪-এর বেশি ছিল তাঁদের শরীরে ৫০% বেশি বার্ধক্যের লক্ষণ দেখা গিয়েছে। এই বার্ধক্যের লক্ষণগুলো ছিল উচ্চ কোলেস্টেরল, উচ্চ রক্তচাপ, রক্তে শর্করার মাত্রা বেড়ে যায় এবং শুষ্ক ত্বকের সমস্যা, দৃষ্টি আবছা হয়ে যাওয়া ইত্যাদি।

এই গবেষণা থেকে জানা গিয়েছে, শরীরে জলের ঘাটতি থাকলে এটি অকালমৃত্যুর ঝুঁকি ২০ শতাংশ বাড়িয়ে দেয়। এছাড়াও হার্ট ফেলিয়র, স্ট্রোক, ডায়াবেটিস, ডিমেনশিয়া এবং ফুসফুসের রোগের ঝুঁকি বেড়ে যায়। ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ হেলথ’স হার্ট, লাং অ্যান্ড ব্লাড ইনস্টিটিউটের গবেষক এবং এই গবেষণার প্রধান উপদেষ্টা নাতালিয়া দিমিত্রিভা বলেছেন, বয়স বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে শরীরে ক্ষতিগ্রস্ত টিস্যুর সংখ্যাও থাকে। এতেই এ সব রোগ ও মৃত্যুর ঝুঁকি বাড়ে।

বিশেষজ্ঞদের মতে, দিনে ৮-১০ গ্লাস জল পান করা উচিত। কিন্তু ২০২০-এর একটি সমীক্ষা বলছে, মাত্র ২০% মানুষ দিনে ৮-১০ গ্লাস জল পান করে। ২০২০-এর এই সমীক্ষা আমেরিকার দু’হাজার জন প্রাপ্তবয়স্কের মধ্যে হয়েছিল। সব মিলিয়ে সুস্থ থাকতে গেলে দিনে ৮-১০ গ্লাস জল পান করতেই হবে। কোনওভাবেই শরীরে জলের ঘাটতি হতে দেওয়া যাবে না।