Fibroids Treatment: জরায়ুতে ফাইব্রয়েডের সমস্যা এখন ঘরে-ঘরে, আয়ুর্বেদের এই টোটকা মানলে লাগবে না কোনও ওষুধ!
Women Health: কী কারণে ফাইব্রয়েড হয় তা এখনও জানা যায়নি, তবে মনে করা হয় ওবেসিটি, হরমোনের পরিবর্তন, গর্ভাবস্থা এবং জিনগত কিছু কারণের জন্যই হয় ফাইব্রয়েডের সমস্যা

ফাইব্রয়েড মহিলাদের খুব সাধারণ একটি সমস্যা। আজকাল অধিকাংশ মেয়েরই পিরিয়ডসের নানা সমস্যা থাকে। কারোর পরিমাণে কম হয়, কারোর বেশি। সবথেকে বেশি অনিয়মিত পিরিয়ডসের সমস্যা। আবার কিছুজনের ক্ষেত্রে রক্তপাতের পরিমাণও বেশি। এই সবের নেপথ্য কারণ হিসেবে অনেক সময়ই থাকে ফাইব্রয়েডের সমস্যা। ফাইব্রয়েড হল জরায়ুতে মাংস পিণ্ড। ৩০ বছরের ঊর্ধ্বে এই ফাইব্রয়েডের সমসযা থাকে সবচাইতে বেশি। কী কারণে ফাইব্রয়েড হয় তা এখনও জানা যায়নি, তবে মনে করা হয় ওবেসিটি, হরমোনের পরিবর্তন, গর্ভাবস্থা এবং জিনগত কিছু কারণের জন্যই হয় ফাইব্রয়েডের সমস্যা। ফাইব্রয়েডের সমস্যা থাকলে তা বোঝা যায় এই সব লক্ষণে। তলপেটে ব্যথা, অতিরিক্ত রক্তপাত, যৌন মিলনের সময় ব্যথা, গর্ভধারণে সমস্যা ইত্যাদি। সময়মতো রোগ নির্ণয় এবং চিকিৎসা হলে অনেক রকম ঝুঁকি এড়িয়ে চলা যায়। যদিও ওষুধ আর সার্জারির মাধ্যমেও অনেকে ফাইব্রয়েডের চিকিৎসা করেন। তবে ফাইব্রয়েড রুখতে সবচেয়ে ভাল হল ঘরোয়া চিকিৎসা। আয়ুর্বেদ তার বেশ কিছু নিদানও দিয়েছে।
আয়ুর্বেদ চিকিৎসক শরদ কুলকার্নি জানান, কিছু ভেষজ রয়েছে যা ফাইব্রয়েডের ক্ষেত্রে দারুণ টোটকা হিসেবে কাজ করে। নিয়মিত ভাবে সেই টোটকা মেনে চলতে পারলে যে কেউ ফল পাবেন, তা একরকম জোর দিয়েই বলেন আয়ুর্বেদ বিশেষজ্ঞ।
ত্রিফলা- ফাইব্রয়েডের সমস্যা রুখতে খুব ভাল হল ত্রিফলা। যাঁদের সমস্যা রয়েছে তাঁদের নিয়মিত ভাবে ত্রিফলা খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন তাঁরা। ত্রিফলার মধ্যে রয়েছে অ্যান্টিনিওপ্লাস্টিক এজেন্ট। যা ফাইব্রয়েডের জমা রক্তকে অনেক সময় তরল করে দিতে পারে। ত্রিফলা চূর্ণ জলে ভিজিয়ে খেতে পারলে উপকার সবচাইতে বেশি।
আমলার জুস- আমলার মধ্যে রয়েছে অ্যান্টি ফাইব্রোটিক প্রভাব। আমলার মধ্যে থাকে মনোসোডিয়াম গ্লুটামেট। যা জরায়ুর নিওপ্লাসিয়ার জন্য ভাল। এছাড়াও থাকে ফেনোলিক এবং অ্যান্টি অক্সিডেন্ট বৈশিষ্ট্য। যা আমাদের ফাইব্রয়েডের জন্য উপকারী।
কাঁচা হলুদ- কাঁচা হলুদের মধ্যে রয়েছে কারকিউমিন নামের একরকম পলিফেনল। যার অ্যান্টিফাইব্রোটিক গুণ রয়েছে। এই গুণের কারণেই তা টিউমারের হাত থেকে আমাদের রক্ষা করে। টিউমারের বৃদ্ধিতে বাধা দেয়।
গিলয়- আয়ুর্বেদে গিলয় একাধিক রোগের চিকিৎসাতে ব্যবহার করা হয়। ফাইব্রয়েডের ক্ষেত্রেও উপকারী এই গিলয়। গিলয়ের কাথ্থ ফাইব্রয়েডের লক্ষণ কমাতে সাহায্য করে। সেক্ষেত্রে রোজ খেতে পারলে খুবই ভাল।
তবে ফাইব্রয়েড বা এই সংক্রান্ত সমস্যায় প্রথমেই চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করুন। তিনি যা কিছু পরামর্শ দেবেন তা মেনে চলুন। যদি তিনি পরামর্শ দেন যে অপারেশন করা জরুরি তাহলে তাই-ি মেনে চলতে হবে।
