Himalayan Pink Salt: সাধারণ লবণের পরিবর্তে‌ হিমালয়ান পিংক সল্টকে খাদ্যতালিকায় রাখুন! মিলবে একাধিক স্বাস্থ্য উপকারিতা

হিমালয়ের পাদদেশের কাছে পাকিস্তানের অঞ্চলে এই লবণ পাওয়া যায়। এই লবণ কম পরিশোধিত হয়। বিজ্ঞানীদের মতে, এতে ক্ষতিকর রাসায়নিক পদার্থ নেই। এটি একটি প্রাকৃতিক লবণ। এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নগণ্য।

Himalayan Pink Salt: সাধারণ লবণের পরিবর্তে‌ হিমালয়ান পিংক সল্টকে খাদ্যতালিকায় রাখুন! মিলবে একাধিক স্বাস্থ্য উপকারিতা
হিমালয়ান পিংক সল্ট
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Dec 09, 2021 | 7:00 AM

জল ও নুন- শরীরের ক্ষেত্রে ভীষণ উপকারী দুটো বস্তু। কিন্তু কাঁচা নুন বা সাদা নুন বেশি পরিমাণে খেতে বারণ করে ডাক্তাররা। কারণ এতে ঝুঁকি থাকে রক্তচাপ বেড়ে যাওয়ার। আবার শরীরে নুনের পরিমাণ কমে গেলে, সেখানেও অসুস্থ হয়ে পড়ার ঝুঁকি থাকে। এমন অবস্থা তাহলে কী করণীয়! সাধারণ নুনের বদলে বেছে নিন হিমালয়ান পিংক সল্ট।

হিমালয়ের পাদদেশের কাছে পাকিস্তানের অঞ্চলে এই লবণ পাওয়া যায়। এই লবণ কম পরিশোধিত হয়। বিজ্ঞানীদের মতে, এতে ক্ষতিকর রাসায়নিক পদার্থ নেই। এটি একটি প্রাকৃতিক লবণ। এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নগণ্য। এই লবণকে হিমালয়ান পিংক সল্টও বলা হয়। এই লবণ আপনার ত্বককে ভালো রাখতে এবং অনেক রোগ থেকে রক্ষা করতে সাহায্য করে।

এই লবণের মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে পুষ্টিযুক্ত উপাদান। হিমালয়ান পিংক সল্ট আয়ুর্বেদিক চিকিৎসা শাস্ত্রেও ব্যবহার করা হয়। এই নুনের একাধিক স্বাস্থ্য উপকারিতা রয়েছে। কিন্তু এই নুনকে খাদ্যতালিকায় যুক্ত করার আগে এর স্বাস্থ্য উপকারিতাগুলি সম্পর্কে জেনে নিন…

হিমালয়ান পিংক সল্টে চিনি, কার্বোহাইড্রেট, ফাইবার, ক্যালোরি, প্রোটিন এবং চর্বি থাকে না। এতে রয়েছে বিশুদ্ধ সোডিয়াম।

পটাসিয়াম – ২.৮ মিলিগ্রাম ম্যাগনেসিয়াম – ১.০৬ মিলিগ্রাম আয়রন – ০.০৩৬৯ মিগ্রা সোডিয়াম – ৩৬৮ মিলিগ্রাম

এই হিমালয়া পিংক সল্টের স্বাস্থ্য উপকারিতাগুলি দেখে নিন এক নজরে…

-হিমালয়া পিংক সল্ট এলডিএল অর্থাৎ খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমায়। যদি আপনার কোলেস্টেরলের পরিমাণ বেড়ে যায় তবে আপনি হিমালয়া পিংক সল্ট খেতে পারেন। আপনি সাধারণ লবণের পরিবর্তে এটি ব্যবহার করতে পারেন। -ওজন কমাতে হিমালয়া পিংক সল্ট খাওয়া যেতে পারে। এর জন্য হালকা গরম জলে এই লবণ ও লেবুর রস মিশিয়ে নিতে হবে। এটি খেলে ওজন দ্রুত কমে যায়। -হিমালয়া পিংক সল্ট ও লেবু খেলে মেটাবলিক রেট ভালো থাকে। এটি পরিপাকতন্ত্রকেও সুস্থ রাখে। -এছাড়াও আপনি রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে হিমালয়া পিংক সল্ট খেতে পারেন। এটি রক্তচাপের ওপর দারুণ প্রভাব ফেলে। -স্ট্রেস এবং বিষণ্নতা কমাতে হিমালয়া পিংক সল্টও খাওয়া যেতে পারে। -হিমালয়া পিংক সল্ট শরীরের ব্যথা এবং হাড়ের ব্যথার জন্যও উপকারী। -প্রতিদিন হিমালয়া পিংক সল্ট খেলে রক্তে শর্করার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে থাকে। এটি ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য উপকারী। -অ্যাজমা এবং আর্থ্রাইটিস রোগীদের সাধারণ লবণের পরিবর্তে এই লবণ খাওয়া উচিত। এটি একটি আয়ুর্বেদিক ওষুধের মতো কাজ করে। -এটি আপনার শরীরে জলের অভাব হতে দেয় না। এটি আপনাকে হাইড্রেটেড রাখে। -এটি আপনার শক্তি বাড়ায়। কারণ এই লবণে রয়েছে শক্তি বৃদ্ধিকারী খনিজ উপাদান। -এটি হার্টকেও সুস্থ রাখে। এটি হার্ট অ্যাটাক এবং স্ট্রোকের ঝুঁকিও কমায়।

আরও পড়ুন: সিগারেট ছাড়তে চাইছেন? এই সহজ টিপস ফলো করলেই মিলবে উপকার