তামার পাত্রে জল খেলে কী কী উপকার পাবেন?
শরীরের অতিরিক্ত মেদ ঝরাতেও সাহায্য করে তামা।

সাধারণত বাড়িতে আমরা স্টিলের বা কাচের গ্লাসে জল খেয়ে থাকি। তবে আয়ুর্বেদ শাস্ত্রে বলা হয় তামার পাত্রে জল খেলে শরীর থাকে সুস্থ, সতেজ এবং ঝরঝরে। দূর হয় অনেক রোগ।
১। তামার পাত্রে জল খেলে হজম শক্তি ভাল হয়। অ্যাসিডিটির সমস্যা থাকলে তা চলে যায়। শরীরে থাকা ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়াদের নিঃশেষ করে তামা সাহায্য করে। পাকস্থলী, কিডনি এবং লিভার ভাল রাখে তামা। শরীরে থাকা দূষিত পদার্থও নির্দিষ্ট সময়ে বের করে দেয় এই তামা। তাই তামার পাত্রে জল খাওয়া অত্যন্ত প্রয়োজন।
২। শরীরের অতিরিক্ত মেদ ঝরাতেও সাহায্য করে তামা। তাই ডায়েট এবং শরীরচর্চার পাশাপাশি তামার পাত্রে রাখা জল খান। অল্পদিনে কমবে আপনার শরীরে অতিরিক্ত মেদ।
৩। যেকোনও রকমের ক্ষতস্থান তাড়াতাড়ি শুকোতে সাহায্য করে তামা। এছাড়াও আপনার শরীরের প্রতিরোধ ক্ষমতাকেও বাইরে থেকে সুদৃঢ় করে। বিভিন্ন রকমের সংক্রমণ থেকে আপনার শরীরকে রক্ষা করে তামা।
আরও পড়ুন- দৈনন্দিন ঘরোয়া রূপচর্চায় অপরিহার্য গ্রিন টি, বিশ্ব চা দিবসে রইল তারই খুঁটিনাটি
৪। বয়সের ভারে মুখে বলিরেখা দেখা দিলেও সমাধান করবে তামা। কারণ তামায় থাকে প্রচুর পরিমাণ অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট। এছাড়াও তামায় থাকা বিভিন্ন উপাদান ত্বককে টানটান রাখতে সাহায্য করে।
৫। যাঁরা হার্টের রোগী এবং উচ্চ রক্তচাপ জনিত সমস্যায় ভোগেন তাঁদের জন্য অব্যর্থ ওষুধ তামা। এছাড়াও ক্যানসারের প্রবণতা কমাতেও সাহায্য করে তামা বা কপার।
৬। আর্থ্রারাইটিস এবং থাইরয়েডের সমস্যাও কমাতে সাহায্য করে তামা। অনিদ্রার সমস্যায় ত্রাতা হয় তামা। অ্যানিমিয়া বা রক্তাল্পতা থাকলেও কাজ করে তামা। এছাড়া ত্বকের মধ্যে পিগমেন্টেশন, মেচেতা, কালো দাগ-ছোপ দেখা দিলে সেটা কমাতেও সাহায্য করে এই তামা।
৭। মস্তিষ্কের কর্মক্ষমতা বৃদ্ধিতেও সহায়তা করে তামা। অতএব এবার থেকে স্টিলের গ্লাস, প্লাস্টিকের বোতল বা কাচের গ্লাসের বদলে বাড়িতে তামার গ্লাস কিংবা জগে জল খাওয়া অভ্যাস করুন। শরীরের তামার ঘাটতি পূরণ হলে একাধিক উপকার পাবেন আপনি।
