ভারতের রান্না ঘরে এমন অনেক উপাদান থাকে, যা শরীরের ওপর দারুণ প্রভাব ফেলে। এমনই একটি উপাদান হল রসুন। রসুনের উপকারিতা সম্পর্কে কম বেশি আমরা সকলেই জানি। কিন্তু হিমালয়ের রসুনের স্বাস্থ্য উপকারিতা সম্পর্কে জানেন কি?
হিমালয়ান রসুন কোলেস্টেরল হ্রাস থেকে শুরু করে ভাইরাল সংক্রমণ নিরাময় করতে পরিচিত। এছাড়াও কাশ্মীরি রসুন বা জম্মু রসুন নামেও এটি পরিচিত।এটি হিমালয়ের ওপরে বছরে একবার কাটা হয় এবং হিন্দিতে একে পোথি লাহসুন বলা হয়। এর স্বাস্থ্য উপকারিতা এবং কী এটিকে এত পুষ্টিকর করে তোলে চলুন জানা যাক।
কোলেস্টেরল কমায়- এটি শরীরে উচ্চ কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে বলে জানা যায়। এটা প্রমাণিত হয়েছে যে হিমালয়ের রসুন শরীরে প্রায় ২০ মিলিগ্রাম /ডিএল ‘ভাল’ কোলেস্টেরল এবং ট্রাইগ্লিসারাইডের মাত্রা হ্রাস করতে পারে।
সর্দি ও কাশি কমায়- বিশেষজ্ঞদের মতে, হিমালয়ের রসুন কাশি এবং সর্দি নিরাময়ে কার্যকর। এটি অন্যান্য রোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা হ্রাস করতে সাহায্য করে। এটা প্রমাণিত হয়েছে যে এতে অ্যালিনাস এবং অ্যালিন নামক রাসায়নিক যৌগ রয়েছে যা অ্যালিসিন নামে একটি শক্তিশালী যৌগ তৈরি করতে সহায়তা করে।
ক্যান্সারের সঙ্গে লড়াই করতে সাহায্য করে- এতে ডায়ালিল ট্রাইসালফাইড নামে একটি অর্গানোসালফার যৌগ রয়েছে যা ক্যান্সারের ক্ষতিকর কোষগুলিকে হত্যা করতে সহায়তা করে এবং ক্যান্সারের বিরুদ্ধে লড়াই করতে সহায়তা করে। ন্যাশনাল ক্যান্সার ইনস্টিটিউট অনুযায়ী, এই রসুন ভেরিয়েন্ট নিয়মিত খেলে বিভিন্ন ক্যান্সারের ঝুঁকি ৫০% হ্রাস করে।
ডায়বেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখে- গবেষকদের মত, নিয়মিত ভাবে হিমালয়ের রসুনের ২-৩ খোয়া খাওয়া রক্তে শর্করার মাত্রা হ্রাস এবং নিয়ন্ত্রণ করতে সহায়তা করে। এতে অ্যালিসিন রয়েছে, যা ভিটামিন বি এবং থিয়ামিনের সাথে মিলিত হয় এবং অগ্ন্যাশয়কে শরীরে ইনসুলিন উৎপন্ন করতে ট্রিগার করে এবং এর ফলে শরীরকে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করতে সহায়তা করে।
হার্টের স্বাস্থ্য বজায় রাখে- এটা প্রমাণিত হয়েছে যে, হিমালয়ের রসুন শরীরে এলডিএল কোলেস্টেরল এবং ট্রাইগ্লিসারাইড হ্রাস করে। এটি ও প্রমাণিত হয়েছে যে এটি রক্তের ঘনত্ব হ্রাস করে প্লাক এবং জমাট বাঁধার গঠনে প্রতিরোধ করে। এতে হাইড্রোজেন সালফাইড নামে একটি রাসায়নিক যৌগ রয়েছে যা পেশীগুলিকে শিথিল করতে সহায়তা করে এবং এর ফলে রক্তচাপের মাত্রা হ্রাস করতে সহায়তা করে।
আরও পড়ুন: জল পান করার পরও তৃষ্ণার্ত বোধ করেন? এটি কোনও রোগের লক্ষণ নয় তো, জেনে নিন
আরও পড়ুন: মন খারাপ? হ্যাপি হরমোনের মাত্রা বৃদ্ধি করবেন কীভাবে, জেনে নিন
আরও পড়ুন: বয়স বৃদ্ধির সঙ্গে কোন খাবারগুলি অবশ্যই খাবেন জানেন? পরামর্শ দিলেন বিশিষ্ট পুষ্টিবিদ