Happiness Hormones: মন খারাপ? হ্যাপি হরমোনের মাত্রা বৃদ্ধি করবেন কীভাবে, জেনে নিন

হরমোন মূলত রাসায়নিক বার্তাবাহক, যা আপনার শরীর জুড়ে বেশ কয়েকটি গ্রন্থি দ্বারা নিঃসৃত হয়। প্রতিটি হরমোন শরীরের সামগ্রিক কার্যকারিতায় তার নিজস্ব ও অনন্য ভূমিকা আছে।

Happiness Hormones: মন খারাপ? হ্যাপি হরমোনের মাত্রা বৃদ্ধি করবেন কীভাবে, জেনে নিন
শরীরে হ্যাপি হরমোনের গুরুত্ব জেনে নিন
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Nov 28, 2021 | 7:00 AM

হরমোন মূলত রাসায়নিক বার্তাবাহক, যা আপনার শরীর জুড়ে বেশ কয়েকটি গ্রন্থি দ্বারা নিঃসৃত হয়। প্রতিটি হরমোন শরীরের সামগ্রিক কার্যকারিতায় তার নিজস্ব ও অনন্য ভূমিকা আছে। আমাদের মেজাজ এবং অনুভূতিও এই হরমোনের উপর অত্যন্ত নির্ভরশীল। চারটি মৌলিক হরমোন আছে যা আমাদের মেজাজ নিয়ন্ত্রণ এবং আমাদের খুশি রাখার জন্য দায়ী। এগুলিকে বলা হয় হ্যাপি হরমোন:

ডোপামিন- ডোপামিন সমস্ত আনন্দদায়ক সংবেদন, স্মৃতি, শিক্ষা এবং অন্যান্য সিস্টেমের সঙ্গে যুক্ত। এটি ‘ফিল-গুড’ হরমোন হিসাবেও পরিচিত। আমাদের রক্তপ্রবাহে ডোপামিন নিঃসরণ হলে এটি তাৎক্ষণিকভাবে আমাদের মেজাজকে উন্নত করে এবং আমরা সুখী বোধ করে।

সেরোটোনিন- আরেকটি হ্যাপি হরমোন হল সেরোটোনিন, যা শুধু আমাদের মেজাজ নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে না, বরং তার সঙ্গে আমাদের ঘুম, হজম ক্ষমতা, শিক্ষা এবং একটি ভাল খিদে বজায় রাখতেও সহায়তা করে।

অক্সিটোসিন- অক্সিটোসিন হরমোনের অন্য নাম ‘লাভ হরমোন’। এটি সন্তান প্রসবের পর থেকে মা বাবা ওসন্তানের বন্ধন তৈরিতে একটি ভূমিকা পালন করে। এছাড়াও এই হরমোনটি আলিঙ্গন বা চুম্বনের সময়ও ট্রিগার হয়ে যায় এবং একটি সম্পর্কের উপর বিশ্বাস এবং ভালবাসাকেও প্রচার করে।

এন্ডোরফিন- এন্ডোরফিন যখন আপনার রক্তে মুক্তি পায়, তখন আপনি উৎপাদনকারী ক্রিয়াকলাপে জড়িত হন, যেমন খাওয়া, মদ্যপান বা যোগব্যায়াম ইত্যাদি। এটি আমাদের শরীরের প্রাকৃতিক ব্যথা উপশম করে এবং যখন আমরা ব্যথা বা অস্বস্তির মুখোমুখি হই তখন এটি ট্রিগার হয়।

এই হ্যাপি হরমোনের পরিমাণ বৃদ্ধি করবেন কীভাবে-

  • যোগব্যায়াম শুধু আমাদের শরীরকে ফিট রাখতে সাহায্য করে না। এটি আমাদের শরীরের পাশাপাশি মস্তিষ্ক ও মনের ওপরও প্রভাব ফেলে। তার কারণ যোগব্যায়ামের সময় প্রচুর পরিমাণে নিঃসৃত হয় হ্যাপি হরমোন, যার জন্য যোগব্যায়াম করলে মানসিক চাপ কমে।
  • জন হপকিন্স ইউনিভার্সিটি মেডিক্যাল স্কুলের একটি সাম্প্রতিক গবেষণায় দেখা গেছে হাসলে আয়ু বাড়ে, হার্ট ভাল থাকে, ওজন কমে, শরীরের প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়, হজম ক্ষমতা উন্নত হয় এবং তার সঙ্গে ভাল থাকে আপনার মন। সুতরাং মন খুলে হাসুন।
  • দাঁত ও হাড়ের স্বাস্থ্য মজবুত করতে প্রয়োজন ভিটামিন ডি। অন্যদিকে এই ভিটামিন ডি হ্যাপি হরমোন তৈরি করতে সাহায্য করে। তাই শরীরে ভিটামিন ডি-এর চাহিদা পূরণ করতে সূর্যের আলোর নীচে থাকুন কিছুক্ষণ।
  • সপ্তাহে ১-২ বার চকোলেট খেলেও বাড়বে হ্যাপি হরমোনের পরিমাণ।
  • প্রিয়জনের আলিঙ্গনে এবং চুম্বনেও বাড়তে পারে হ্যাপি হরমোনের পরিমাণ।

আরও পড়ুন: অল্প বয়সেই হাড়ের জয়েন্টে ব্যথা হচ্ছে? জেনে নিন কোন কোন অভ্যেস আপনার এই সমস্যার জন্য দায়ী…

আরও পড়ুন: চোখের কি ক্লান্তি আর ফোলাভাব গ্রাস করছে ধীরে ধীরে? সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে রইল জরুরি টিপস