Uric Acid: ইউরিক অ্যাসিডের কারণে গোড়ালি ফুলেছে? দুধে এক চিমটি হলুদ মেশালেই ব্যথা থেকে মুক্তি

Turmeric: ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা বেড়ে গেলে তার উপসর্গ শরীরে দেখা দেয়। গাউটের সমস্যা তখনই দেখা দেয়। পায়ের বুড়ো আঙুল ফুলতে থাকে। ব্যথা হতে থাকে।

Uric Acid: ইউরিক অ্যাসিডের কারণে গোড়ালি ফুলেছে? দুধে এক চিমটি হলুদ মেশালেই ব্যথা থেকে মুক্তি
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Feb 09, 2023 | 8:00 AM

কোলেস্টেরল, সুগারের মতোই এখন গাউটের সমস্যা খুব সাধারণত হয়ে উঠেছে। ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা বেড়ে গেলেই গাউটের সমস্যা মাথাচাড়া দিয়ে ওঠে। আর গাউটের ব্যথা ভোগায়ও বেশি। শরীরে পিউরিন ভেঙে ইউরিক অ্যাসিড উৎপন্ন হয়। ইউরিক অ্যাসিড রক্তে দ্রবীভূত হয়ে যায় এবং ফ্লিটার হয়ে প্রস্রাবের সঙ্গে শরীর থেকে বেরিয়ে যায়। যখন এই ইউরিক অ্যাসিডের শরীরের বাইরে বেরোতে পারে না, তখনই তা জমতে থাকে শরীরে। এভাবেই শরীরে ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা বেড়ে যায়।

ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা বেড়ে গেলে তার উপসর্গ শরীরে দেখা দেয়। গাউটের সমস্যা তখনই দেখা দেয়। পায়ের বুড়ো আঙুল ফুলতে থাকে। ব্যথা হতে থাকে। অনেক সময় পায়ের গোড়ালি লাল হয়ে ফুলে যায়। আবার অনেকের জয়েন্টে ব্যথা হতে থাকে। মূলত শরীরে ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা বেড়ে গেলে আর্থ্রাইটিস, গাউট, অস্টিওপোরোসিস এবং কিডনিতে পাথর হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়।

ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা বেড়ে গেলে ওষুধের সাহায্য নিতে হবে। পাশাপাশি খাদ্যতালিকার দিকে বিশেষ নজর দিতে হবে। এমন খাবার খাওয়া চলবে না, যার মধ্যে পিউরিনের মাত্রা বেশি। বাঁধাকপি, মটরশুঁটি, বীট, ক্যাপসিকাম, টমেটোর মতো খাবার এড়িয়ে চলতে হবে। আর যদি কোনও ঘরোয়া টোটকার খোঁজে থাকেন তাহলে আপনি হলুদের সাহায্য নিতে পারেন। হলুদ স্বাস্থ্যের জন্য দারুণ উপকারী। হলুদকে সুপারফুড বললেও কম বলা হয়। রোগের বিরুদ্ধে লড়াই করতে সাহায্য করে হলুদ।

হলুদের সবচেয়ে সক্রিয় উপাদান হল কারকিউমিন। এটি একটি শক্তিশালী প্রদাহরোধী উপাদান। আর্থ্রাইটিস রিসার্চ অ্যান্ড থেরাপিতে ২০১৯ সালের একটি প্রাণী গবেষণা অনুসারে, কারকিউমিন নিউক্লিয়ার ফ্যাক্টর-কাপ্পা বি (এনএফ-কাপ্পা বি) নামের একটি প্রোটিনকে নিয়ন্ত্রণ করে। এনএফ-কাপ্পা বি শরীরে প্রদাহ তৈরি করে। বাতের ব্যথা, জয়েন্টে যন্ত্রণার মতো সমস্যার গুলোর পিছনে এই উপাদানটি দায়ী। সুতরাং, হলুদ খেলে আপনি শারীরিক প্রদাহ দূর করতে পারবেন।

তাছাড়া হলুদের মধ্যে অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি এবং অ্যান্টিবায়োটিক বৈশিষ্ট্যও রয়েছে। অর্থাৎ হলুদ খেলে ইউরিক অ্যাসিড বা বাতের ব্যথা ছাড়াও যে কোনও সংক্রমণ থেকে আপনি দূরে থাকতে পারবেন। এটি ব্যাকটেরিয়াকে দূরে রেখে পরিপাকতন্ত্রকে সুস্থ রাখে। কিন্তু কীভাবে খেলে বেশি উপকার পাবেন, জানেন? আর্থ্রাইটিস ফাউন্ডেশনের মতে, অস্টিওআর্থারাইটিসের সমস্যায় দিনে তিনবার ৪০০-৬০০ মিলিগ্রাম হলুদ খাওয়া যায়। গরম দুধে হলুদ মিশিয়ে খেলে আপনি ইউরিক অ্যাসিড থেকে শুরু করে যে কোনও ধরনের প্রদাহ থেকে মুক্তি পাবেন।