Esophageal Cancer: মুখ পোড়া চা-কফি, খাবার না হলে চলে না? কোন সাংঘাতিক বিপদ ডেকে আনছেন জানেন?
মেটা-বিশ্লেষণে দেখা গিয়েছে যাঁরা গরম চা পান করেন তাঁদের মধ্যে oesophagal squamous cell carcinoma (ESCC) হওয়ার ঝুঁকি উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়ে যায়।
সকালে ঘুম থেকে উঠে বিছানায় বসেই হোক বা সন্ধে বেলা আড্ডা দিতে দিতেই হোক, মুখ পোড়া গরম চা না খেলে মন ভরে না বাঙালি বা ভারতীয়দের। গরম তেল থেকে সিঙারা তুলেই তা খেতে হবে। মোটমাট গরম খাবার না হলে মুখে রোচে না বাঙালির। কিন্তু এই গরম খাওয়ার অভ্যেসই কোন মারণরোগ ডেকে আনছেন জানেন?
সম্প্রতি এক গবেষণায় দেখা গিয়েছে মুখ পোড়া গরম খাওয়ার ফলেই বাড়ছে খাদ্যনালীর ক্যানসারে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা। গবেষণা বলছে যদি খাদ্য বস্তুর মধ্যে কোনও ক্যানসার জাতীয় রাসায়নিক নাও থাকে, তবু নিয়মিত এই গরম খাবার খাওয়ার ফলেই কিন্তু বাড়ছে খাদ্যনালীর ক্যানসারের ঘটনা।
মেটা-বিশ্লেষণে দেখা গিয়েছে যাঁরা গরম চা পান করেন তাঁদের মধ্যে oesophagal squamous cell carcinoma (ESCC) হওয়ার ঝুঁকি উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়ে যায়।
চিকিৎসকদেরও দাবি যাঁদের প্রতিদিন, বারবার বা খুব ঘন ঘন অসম্ভব গরম চা বা কফি পান করার অভ্যেস রয়েছে, তাঁদের ক্যানসারে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা বেশি।
কী বাড়ে ক্যানসারের ঝুঁকি?
আমাদের শরীরের খাদ্যনালী মুখ থেকে পেট অবধি সংযোগ স্থাপন করে। এর মাধ্যমে খাবার পেটে যায়। এবার আমরা যখন খুব গরম কিছু খাই বা পান করি তখন এই খাদ্যনালীর উপরের অংশ পুড়ে মতো যায়। দীর্ঘদিন ধরে এই ঘটনা বার বার ঘটতে থাকলে ক্যানসার কোষ ডেভেলপ করে, ফলে ক্যানসার রোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা বাড়ে।
‘বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা’র ‘ইন্টারন্যাশানাল এজেন্সি ফর রিসার্চ অন ক্যানসার’ বা আইএআরসি বলছে ৬৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের উপর যে কোনও পানীয়ই নিয়মিত খেলে তা ক্যানসারের কারণ হতে পারে।
সিএমআই হসপিতাল ব্যাঙ্গালুরুর চিকিৎসক সোমশেখর এস পি জানান উচ্চ তাপের কারণে খাদ্য নালীতে যে ক্ষতি হয় সেখান থেকেই কোষের পরিবর্তন ঘটে। ফলে সেখান থেকেই ক্যানসারের কোষের বিকাশ ঘটে।”
নয়াদিল্লির স্যার গঙ্গারাম হাসপাতালের ক্যানসার ডিপার্টমেন্টের চেয়ারম্যান অধ্যাপক চিন্তামনি বলেন, “কফির সঙ্গে ধূমপান বা হাই স্যাচুরেটেড ফ্যাট জাতীয় খাবার কিন্তু ক্যানসারের কারণ হতে পারে। গরম খাবার খেলেও সেই একই ঝুঁকি আরও বেড়ে যায়।”
কিন্তু তাই বলে কি গরম খাবার খাবেন না?
বিশেষজ্ঞরা জানান, গরম খাবার খেতে পারেন, তবে অতিরিক্ত গরম খাবার খাওয়া উচিত নয়। ঈষদূষ্ণ খাবার স্বাস্থ্যের জন্য সবচেয়ে ভাল। এতে ঠান্ডা হয়ে যাওয়ার পরে খাবারে জীবাণু জন্মানোর ভয়ও থাকে না।