AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

সুগার কমাতে রাত ১০টা পর্যন্ত অপেক্ষা না করে সন্ধেবেলাই সেরে নিন ডিনার

Early Dinner Benefits: সবার লাইফস্টাইল সমান হয় না। কারও দিন শুরু হয় ভোর-ভোর। আবার কারও কাজ সেরে বাড়ি ফিরতেই রাত ১০টা। সেখানে কীভাবে আপনি ৭টায় ডিনার সারবেন? বাঙালিদের মধ্যে সন্ধেবেলা জলখাবার খাওয়ার চল রয়েছে। সন্ধের আড্ডাতে চপ-মুড়ি, চা-শিঙারা আপনার স্বাস্থ্যের জন্যই ক্ষতিকারক।

সুগার কমাতে রাত ১০টা পর্যন্ত অপেক্ষা না করে সন্ধেবেলাই সেরে নিন ডিনার
Follow Us:
| Updated on: Jan 04, 2024 | 2:02 PM

অফিস সেরে কেউ বাড়ি ফেরেন রাত ৯টায়। তারপর খেতে বসেন। আবার কারও ডিনার সারতে-সারতে রাত ১২টা বেজে যায়। ১০টার আগে রাতের খাবার খেয়ে নেন, এমন বাঙালি খুঁজে পাওয়া কঠিন। কিন্তু নতুন বছরে যদি সন্ধে ৭টার আগে ডিনার করে নেওয়ার রেজোলিউশন নেন, লাভ আপনারই। জার্নাল অফ ক্লিনিকাল এন্ডোক্রিনোলজি ও মেটাবলিজমে ২০২০ সালে প্রকাশিত একটি গবেষণা অনুযায়ী, রাতে দেরি করে খাবার খেলে ওজন ও সুগার লেভেল বাড়তে পারে। তবে, অনেকেই বুঝতে পারেন না, যে ডিনার করার আদর্শ সময় কখন? সুস্বাস্থ্য বজায় রাখতে গেলে আপনাকে সন্ধে ৭টা বাজার আগেই খানাপিনা সেরে ফেলতে হবে।

সবার লাইফস্টাইল সমান হয় না। কারও দিন শুরু হয় ভোর-ভোর। আবার কারও কাজ সেরে বাড়ি ফিরতেই রাত ১০টা। সেখানে কীভাবে আপনি ৭টায় ডিনার সারবেন? বাঙালিদের মধ্যে সন্ধেবেলা জলখাবার খাওয়ার চল রয়েছে। সন্ধের আড্ডাতে চপ-মুড়ি, চা-শিঙারা আপনার স্বাস্থ্যের জন্যই ক্ষতিকারক। সন্ধেবেলা এই জলখাবার খাওয়ার বদলে একদম রাতের খাবারটা খেয়ে নিন। এতে কী-কী উপকার পাবেন, দেখে নিন।

১) সন্ধে ৭টায় রাতের খাওয়া-দাওয়া সেরে নিলে মেটাবলিজম উন্নত করা থেকে শুরু করে লিভারকে বিশ্রাম দেওয়া ও ডিটক্সিফাই করার মতো একাধিক কাজ সুষ্ঠুভাবে হয়। এতে অন্ত্রের স্বাস্থ্য ভাল থাকে এবং হজম ক্ষমতা উন্নত হয়।

২) তাড়াতাড়ি ডিনার করলে ইনসুলিন সংবেদনশীলতা উন্নত হয়। এতে রক্তে শর্করার মাত্রা বজায় থাকে এবং টাইপ-২ ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমে।

৩) রাত ১১টায় খাবার খেয়েই ঘুমিয়ে পড়ার অভ্যাস? এতে খাবার ঠিকমতো হজম হয় না। পাশাপাশি বদহজমের কারণে ঘুমও ঠিকভাবে হয় না। কিন্তু সন্ধেবেলাই ডিনার সেরে ফেললে ঘুমের মানও উন্নত হয়।

৪) রাতে বিরিয়ানি, মাটন কারির মতো উচ্চ ক্যালোরিযুক্ত ও অস্বাস্থ্যকর খাবার খেলে হার্টের স্বাস্থ্যের উপর প্রভাব পড়ে। কিন্তু আপনি যদি চটজলদি এই ধরনের খাবার খান, তাহলে স্বাস্থ্যের উপর খুব একটা প্রভাব পড়ে না। এতে শরীর অনেকটা সময় পেয়ে যায় খাবার হজম করার।

৫) দেহে হরমোনের ভারসাম্য বজায় রাখা ভীষণ জরুরি। ইনসুলিন ও কর্টি‌সলের মতো হরমোনের ভারসাম্য বজায় রাখার জন্য সঠিক সময়ে খাওয়া-দাওয়া করা জরুরি। মেটাবলিজম বাড়াতে এবং হরমোনের ভারসাম্য বজায় রাখতে সন্ধে ৭টায় রাতের খাবার খেয়ে নিন।