World Hepatitis Day: লিভার সুস্থ রাখতে এবং হেপাটাইটিসের সম্ভাবনা এড়াতে যা খাওয়া জরুরি…
How to make your liver healthy: যেখানে নুনের পরিমাণ বেশি থাকে সেই সব খাবারও একেবারেই নয়। কারণ এতে রক্তচাপ বাড়ে, রক্ত জল হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। এতে তাপ বাড়ে লিভারে...
বর্ষায় বাড়ে যে কোনও পেটের সমস্যা। সেই সঙ্গে লিভারের নানা রোগ, হেপাটাইটিসের জটিলতাও বাড়ে এই বর্ষাতেই। হেপাটাইটিস বি রুখতে রয়েছে টিকাও। তবুও আক্রান্তের সংখ্যা নেহাত কম নয়। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই কারণ হল অসচেতনতা। হেপাটাইটিসের বেশ কয়েকটি টাইপ থাকে। আর তাই লিভার এবং হেপাটাইটিস সম্বন্ধে সতর্ক করতেই প্রতি বছর ২৮ জুলাই দিনটি বিশ্ব হেপাটাইটিস দিবস হিসেবে পালন করা হয়। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, বিশ্বব্যাপী প্রায় ৩৩ কোটিরও বেশি মানুষ আক্রান্ত হেপাটাইটিস বি এর সি-এ। তবুও মানুষ বিষয়টি নিয়ে সেভাবে ভাবিত নন। আর তাই ২০২২ সালে হেপাটাইটিস দিবসের উদ্দেশ্য হল মানুষকে এ বিষয়ে আরও বেশি সচেতন করা।
মুম্বাইয়ের ওয়াকহার্ট হাসপাতালের গ্যাস্ট্রোএন্টারোলজিস্ট ডাঃ মৃদুল ধরোদের মতে, হেপাটাইটিস লিভারের রোগ, যাতে লিভার দুর্বল হয়ে পড়ে। লিভার দুর্বল হয়ে গেলে হজমও ঠিকমত হয় না। সেখান থেকে আসে আরও একাধিক সমস্যা। তাই হেপাটাইটিস হলে খাবার আর পানীয় বিষয়ে বিশেষ যত্নের প্রয়োজন হয়। কোনও ভাবেই যাতে হজমে ব্যাঘাত না ঘটে সেদিকেই নজর রাখার কথা বলা হয়। বাইরের খাবার, তেল-মশলাদার খাবার একেবারেই চলবে না। বাড়ির তৈরি খাবার খেতে হবে। সেই সঙ্গে বাইরের জলও একদম নয়। কী খাচ্ছেন সেই ব্যাপারে সব সময় সতর্ক থাকতে হবে। নইলে মারাত্মক আকার নিতে পারে হেপাটাইটিস। পাশাপাশি নিয়মিত ভাবে চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে খাবার খেতে হবে।
সেই সঙ্গে ডায়েটে যে সব খাবার অবশ্যই রাখবেন-
১.ফাইবার, ফোলেট, ভিটামিন এ, সি, বি৬ এসব অবশ্যই রাখবেন। এছাড়াও পটাশিয়াম সমৃদ্ধ খাবার, ফল, শাকসবজি, টমেটো, দুধ, পালং শাক, ব্রকোলি, মিষ্টি আলু, স্ট্রবেরি বা ভিটামিন সি জাতীয় ফল, কমলা লেবু, কলা, এপ্রিকট, খেজুর, টকদই এসব রাখুন রোজের ডায়েটে।
২.এছাড়াও গোটা শস্য অবশ্যই খান। ওটস, ডালিয়া, বিভিন্ন শস্যদানা এসব অবশ্যই রাখবেন ডায়েটে। রোজ একমুঠো করে কুমড়ো বীজ, সূর্যমুখীর বীজ এবং চিয়া সিডস খাওয়া দরকার।
৩.এছাড়াও প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার খান। আর তাই লিভারের সিরোসিস হলে এমন কিছু খাবার খান যার মধ্যে প্রোটিন বেশি থাকে। এছাড়াও দুধ, দই, পনির, এসবও রাখুন ডায়েটে। এসব ক্যালশিয়াম সমৃদ্ধ কাবার প্রোটিনের খুব ভাল উৎস।
৪.জল, ডাবের জল এসব রোজ বেশি পরিমাণে খান। ব্ল্যাকস কফি খান, দুধ-চিনি ছাড়া। তবে ঠাণ্ডা পানীয়, কার্বোনেটেড পানীয় এসব এড়িয়ে চলতেই হবে। এছাড়াও মিষ্টি দেওয়া খাবার, আইসক্রিম, ফলের রস, অ্যালকোহল এবং বেশি কার্বোহাইড্রেটযুক্ত খাবার থেকে দূরে থাকুন।
৫.মশলাদার, তৈলাক্ত খাবার, প্যাকেটজাত খাবার, প্রক্রিয়াজাত খাবার থেকে দূরে থাকুন। যেখানে নুনের পরিমাণ বেশি থাকে সেই সব খাবারও একেবারেই নয়। কারণ এতে রক্তচাপ বাড়ে, রক্ত জল হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। যা সিরোসিসে আক্রান্ত ব্যক্তিদের জন্য একেবারেই ঠিক নয়। পরিবর্তে নুন ছাড়া রান্না খান। প্রয়োজনে কোনও ভেষজ ব্যবহার করতে পারেন।