Warm Jaggery Water: গুড়-বাতাসা নয়, খান গুড়-জল! এই শীতে খালি পেটে ঈষদুষ্ণ জলে গুড় মিশিয়ে খেলেই পাবেন আশ্চর্য উপকার
Health Benefits of Warm Jaggery Water: জানেন কী, খালি পেটে ঈষদুষ্ণ জলে গুড় মিশিয়ে খাওয়ার রয়েছে আশ্চর্য স্বাস্থ্যগুণ। বিশেষ করে হজম ক্ষমতা বাড়াতে বিরাট ভূমিকা নিতে পারে গুড় জল! কীভাবে তৈরি করবেন এই হজমে সহায়ক এই পানীয়?
শীত (Winter Season) মানেই গুড় (Jaggery) খাওয়ার বেলা ! প্রাকৃতিক এই মিষ্টি খাদ্যটি নানা আকারে ও নানা স্বাদে পাওয়া যায়। বহু মানুষ চা, ডেজার্ট, রুটি, পায়েস ও নানা সুস্বাদু খাদ্যবস্তুতে গুড় মিশিয়ে খান। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, উচ্চ মানের পটাশিয়ামের উৎস গুড়। দেহে ইলেকট্রোলাইটস-এর ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করে গুড়। এছাড়া রয়েছে গুড়ে রয়েছে একাধিক খনিজ যেমন ক্যালশিয়াম, জিঙ্ক, ফসফরাস এবং তামা। শীতে গুড় উৎপাদন বাড়ে। ফলে শীতকালে টাটকা গুড় খেলে তার ইতিবাচক প্রভাব পড়ে স্বাস্থ্যেও। শীতকালে স্বাস্থ্যকরভাবে গুড় সেবনের একটি পদ্ধতি হল, গরম জলে গুড় (Warm Jaggery Water) মিশিয়ে খাওয়া।
আয়ুর্বেদেও সুস্থ থাকতে গরম জলে গুড় মিশিয়ে খাওয়ার পক্ষে সওয়াল করা হয়েছে। আয়ুর্বেদ বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই প্রাকৃতিক পানীয়টি ন্যাচারাল ডিটক্স এজেন্ট হিসেবে কাজ করতে পারে। হজম ক্ষমতাও বাড়াতে সাহায্য করে গুড়-জল। বিশেষ করে যাঁরা ওজন ঝরাতে চান বা ডায়াবেটিসের সমস্যায় ভুগছেন তাঁরাও গুড় সেবন থেকে উপকার পেতে পারেন। রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণেও গুড় সাহায্য করে।
পুষ্টিবিদরাও বলছেন, সকাল বেলায় খালি পেটে ঈষদুষ্ণ জলে গুড় মিশিয়ে পান করলে তা একদিকে যেমন দ্রুত এনার্জি দিতে পারে তেমনই হজমের নানা সমস্যাও দূর করতে সক্ষম। রয়েছে আরও নানা উপকার।
কীভাবে তৈরি করবেন গুড়-জল?
একগ্লাস গরম জল নিয়ে গরম করুন। এবার এক টুকরো গুড় যোগ করুন জলে। এবার একটা চামচ দিয়ে জলে গুড় গুলুন। এবার জল ঠান্ডা করতে দিন। পান করার মতো উষ্ণতায় গুড়-জল পৌঁছে গেলে পান করুন। এবার দেখা যাক প্রতিদিন খালি পেটে গুড় জল পান করলে কী কী উপকার পাওয়া যায়—
• হাড়ের স্বাস্থ্য
হাড় মজবুত করতে সাহায্য করে গুড়। অস্থিসন্ধির ব্যথা কমায়। হাড়ের নানা সমস্যা যেমন আর্থ্রাইটিসের ব্যথা দূর করতেও কাজে আসে গুড়। কারণ গুড়ে রয়েছে উচ্চ মাত্রায় পটাশিয়াম এবং সোডিয়াম। ঈষদুষ্ণ জলে গুড় মিশিয়ে পান করলে তা দেহে রক্তচাপ স্বাভাবিক করতে সাহায্য করে।
• আয়রনের ঘাটতি কমায়
আপনার রক্তে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা কম থাকলে অতিঅবশ্যই গুড় খান। কারণ গুড়ে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে আয়রন ও ফোলেট যা হিমোগ্লোবিনের মাত্রা বাড়াতে সাহায্য করে। ফলে রক্তাল্পতার মতো সমস্যা দূর হয়। অ্যানিমিয়ার সমস্যায় ভোগা মহিলাদের জন্য গুড় অত্যন্ত উপযোগী খাদ্য।
• শরীর ডিটক্সিফাই করতে সাহায্য করে
আমাদের শরীর থেকে টক্সিন বেরিয়ে যেতে সাহায্য করে গুড়। ঈষদুষ্ণ জলে গুড় মিশিয়ে খেলে তা রক্ত পরিশুদ্ধ করতে সাহায্য করে। লিভারের স্বাস্থ্যও ভালো রাখে। আর আমরা জানি লিভার ভালো থাকলে তার প্রভাব পড়ে ত্বকেও। নিয়মিত ঈষদুষ্ণ জলে গুড় মিশিয়ে খেলে তা ত্বকেও আনে আলাদা দীপ্তি। ত্বকে বলিরেখা পড়াও প্রতিরোধ করে।
• ইলেকট্রোলাইটস-এর ভারসাম্য
পটাশিয়ামের খুব ভালো উৎস গুড়। নিয়মিত গুড় খেলে শরীরে ইলেকট্রোলাইটস-এর ভারসাম্য বজায় থাকে। শরীরে জল জমার মাত্রা কমে ও ওজন বৃদ্ধিও প্রতিরোধ করা সম্ভব হয়। তবে ওজন ঝরাতে চাইলে গুড় খেতে হবে একদিন অন্তর।
• রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি
গুড় ম্যাগনেশিয়ামের অত্যন্ত ভালো উৎস। এছাড়া রয়েছে ভিটামিন বি১, বি৬ এভং ভিটামিন সি। এছাড়া গুড়ে রয়েছে প্রচুর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং খনিজ। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সবকটি ভিটামিন খনিজের বিশেষ ভূমিকা রয়েছে। তাই মনে করে নিয়মিত খালিপেটে খান গুড় জল!
(Disclaimer: এই প্রতিবেদনটি শুধুমাত্র তথ্যের জন্য, কোনও ওষুধ বা চিকিৎসা সংক্রান্ত নয়। বিস্তারিত তথ্যের জন্য আপনার চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করুন।)