Monkeypox in India: মাঙ্কিপক্স হলে দ্রুত সেরে উঠতে কোন ধরনের খাবার খাবেন? বিশেষজ্ঞ পরামর্শ জানুন

Monkeypox diet: এই রোগ থেকে সেরে উঠতে প্রোটিন হল সবচেয়ে বেশি জরুরি। তাতে শরীরে পেশিগুলি পুনরায় শক্তি ফিরে পায়, কোষের ক্ষতি মেরামত করতে সাহায্য করে। যার ফলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা আরও দ্বিগুণ বাড়িয়ে তোলে।

Monkeypox in India: মাঙ্কিপক্স হলে দ্রুত সেরে উঠতে কোন ধরনের খাবার খাবেন? বিশেষজ্ঞ পরামর্শ জানুন
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jul 20, 2022 | 10:28 AM

করোনার (COVID 19 Pandemic) দাপট এখনও অব্য়াহত। তার মধ্য়ে বিশ্বজুড়ে আতঙ্ক ছড়িয়েছে মাঙ্কিপক্স ভাইরাস (Monkeypox Virus)। যে হারে ছড়িয়ে পড়ছে, তাতে উদ্বেগ প্রকাশ করে নির্দেশিকা জারি করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO)। নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে ভারতেও। কারণ ইতোমধ্যে এ দেশেও জুনোটিক ভাইরাল রোগটি প্রবেশের ঘটনা সামনে এসেছে। এখনও পর্যন্ত কেরালায় ২জনের শরীরের পাওয়া গিয়েছে বলে খবর রয়েছে। যদিও এই রোগটি নিয়ে বিশেষ চিন্তার কিছু নেই, এটি একটি মৃদু ও স্ব-সীমাবদ্ধ বলে পরিচিত। উপসর্গ দেখা দেওয়ার পর প্রায় ২-৪ সপ্তাহ পর্যন্ত স্থায়ী থাকে। কিন্তু অনেকের কাছে আবার বেশ কষ্টকর ও যন্ত্রণাদায়কও হয়ে ওঠে। প্রচণ্ড ব্যথা-সহ গুরুতর আকার নিলে রোগীকে হাসপাতালে বিশেষ পরিষেবা দেওয়ার ব্যবস্থার কথা বলা হয়েছে।

যদি আপনার শরীরে মাঙ্কিপক্সের উপসর্গ দেখা যায়, তবে সম্পূর্ণভাবে সুস্থ হতে একটি সুষম খাদ্য, তরল খাওয়া ও বিশ্রাম নেওয়ার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। পুষ্টিবিদরা জানিয়েছেন, হাই-অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, প্রোটিন, খনিজ ও ভিটামিনযুক্ত খাবারগুলি শরীরকে হাইড্রেট রাখতে ও শক্তি উত্‍পন্ন করতে সাহায্য করে।

প্রোটিন ও অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট-যুক্ত খাবার খাওয়া সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ

এই রোগ থেকে সেরে উঠতে প্রোটিন হল সবচেয়ে বেশি জরুরি। তাতে শরীরে পেশিগুলি পুনরায় শক্তি ফিরে পায়, কোষের ক্ষতি মেরামত করতে সাহায্য করে। যার ফলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা আরও দ্বিগুণ বাড়িয়ে তোলে। মাঙ্কিপক্সের জেরে কোষের ব্যপক ক্ষতি হয়। তাই মাঙ্কিপক্স থেকে সুস্থ হতে বীজ, আমন্ড-সহ বাদাম, মুসুর ডাল, দুগ্ধজাত দ্রব্য, মুরগির মাংস, ডিম ও মাছের মত খাবার খাওয়া জরুরি। কারণ এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন। আবার এমন কিছু খাবার রয়েছে যেগুলি প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট বৈশিষ্ট্য যুক্ত রয়েছে। শীতকালে সর্দি-কাশি থেকে রক্ষা পেতে প্রাকৃতিকভাবে খাওয়া হয়ে থাকে। তুলসি, আদা, কালো গোলমরিচ, লবঙ্গ, রসুনের মত খাবারগুলি অ্যান্টি-ভাইরাল খাদ্য় হিসেবে পরিচিত। এছাড়া খালি পেটে কাড়া খাওয়া বেশ উপকারে লাগে।

মাঙ্কিপক্স থেকে দ্রুত সেরে উঠতে তরলজাত কী কী খাবেন

শরীরের খনিজ ও ভিটামিন পুনরায় পূরণের জন্য চাই তরলজাত খাবার। যা শরীর থেকে টক্সিন বা বিষাক্ত পদার্থ করে দ্রুত সুস্থ হতে সাহায্য করে। নারকেল জল, আমলার জুস, লস্যি, ছাস, তাজা কমলালেবুর রস খাওয়া খুব উপকারী এই সময়। তার সঙ্গে দিনে প্রচুর পরিমাণে জল পান করা উচিত। নিজেকে হাইড্রেট রাখতে ৮-১০ লিটার পানীয় জল পান করুন।

– যে খাবার খান না কেন, ভালভাবে রান্না করে খাবার খাওয়ার কথা মনে রাখতে হবে। রান্না না করা খাবার বা মাংস খাওয়া এড়িয়ে চলুন। তাতে হজমপদ্ধতি স্বাভাবিক থাকে। যদি নরম কোনও খাবার খেতে পছন্দ হয়, তাহলে ম্যাশড পটেটো, মিষ্টি আলু সেদ্ধ, নরম গলে যাওয়া ভাত, ওটস খেতে পারেন। এছাড়া সবজি হিসেবে এর সঙ্গে গাজর, সিদ্ধ মটরশুটি, মুসুর ডাল যোগ করে খিচুড়ি খেতে পারেন।

মাঙ্কিপক্সে আক্রান্ত হলে কোন কোন খাবার খাবেন, কী কী বাদ দেবেন, জানুন…

– পেঁয়াজ, রসুন, কলার মত অন্ত্র নিরাময়কারী প্রিবায়োটিক যোগ করা সমাগ্রিক স্বাস্থ্যের উন্নতি করতে পারে। দই দিয়ে ভেজানো কিসমিস,ফ্যাট ছাড়া পনির, স্মুদি খাবার খেতে পারেন।

– বেরিজ, তরমুজ, শসা, পালংশাক, ব্রকলি, পিচের মত ফাইটোনিউট্রিয়েন্ট বৈশিষ্ট্য সরবরাহ করতে বিভিন্ন রঙের ফল ও সবজি ভালোভাবে ধুয়ে, রান্না করে খান।

– প্রোটিন জাতীয় খাবার যেমন সোয়া, পনির, দই, স্প্রাউট খাওয়ার পরিমাণ বাড়িয়ে দিতে হবে।

– প্রচুর পরিমাণে জল পান করলে শরীরকে হাইড্রেটেড থাকতে এবং শরীর থেকে টক্সিন দূর করতে সাহায্য করে। তবে এই সময় অতিরিক্ত কপি, চা, অ্যালকোহল, ধূমপান, সোজা, কোলা ও অন্যান্য এনার্জি ড্রিভ্কস এড়িয়ে চলুন।

– নোনতা মুখরোচক খাবার, যেমন চিপস, প্য়াকেটজাত নোনতা খাবার, রেডিমেড স্যুপ খাওয়া এড়িয়ে চলুন। মশলাদার খাবার যেমন গুঁড়ো লঙ্কা, গোলমরিচ পরিপাকতন্ত্রকে আরও অস্বস্তিতে পরিণত করে।