Diet-Depression: পিৎজ়া-চাউমিনেই মজে থাকে জিভ? নিজের অজান্তেই ডেকে আনছেন ভয়াবহ ডিপ্রেশন
Mental Health-Food: ভুল খাদ্যাভ্যাস আপনাকে যেমন শারীরিক সমস্যা এনে দিতে পারে, তেমনই ডিপ্রেশনের মতো মানসিক স্বাস্থ্যেরও ক্ষতি করতে পারে। আবার সুষম আহার আপনাকে মানসিক স্বাস্থ্যকে সুস্থও করে তুলতে পারে। তাই কীভাবে সুস্থ থাকবে দেখে নিন...

আজকাল মানুষের মধ্যে ফাস্ট ফুড ও প্রক্রিয়াজাত খাবার খাওয়ার চল বেশি। এগুলো অবশ্যই আপনার সামগ্রিক স্বাস্থ্যের উপর প্রভাব ফেলে। পুষ্টি ও শারীরিক স্বাস্থ্যের মধ্যে সম্পর্ক রয়েছে। একইভাবে, পুষ্টির সঙ্গে যোগসূত্র রয়েছে মানসিক স্বাস্থ্যের। তাই ভুল খাদ্যাভ্যাস আপনাকে যেমন শারীরিক সমস্যা এনে দিতে পারে, তেমনই ডিপ্রেশনের মতো মানসিক স্বাস্থ্যেরও ক্ষতি করতে পারে। আবার সুষম আহার আপনাকে মানসিক স্বাস্থ্যকে সুস্থও করে তুলতে পারে।
গবেষণায় দেখা গিয়েছে, চিনিযুক্ত পানীয়, প্রক্রিয়াজাত মাংস ও রিফাইন্ড কার্বোহাইড্রেট যুক্ত খাবার খেলে দেহে দীর্ঘস্থায়ী প্রদাহ তৈরি হয়। এই ধরনের খাবার ফ্যাট লিভারের সমস্যা বাড়িয়ে তোলে। ফ্যাটি লিভারে আক্রান্ত হলে, যকৃতের কোষগুলো মরে যায়। এই মৃত কোষ আপনার অন্ত্রের স্বাস্থ্যকেও ক্ষতি করে। অন্ত্রেও প্রদাহ তৈরি হয়। এই প্রদাহ আপনার মস্তিষ্কেও ছড়ায়। এর জেরে সেরোটোনিনের ক্ষতি হয়, যা ডিপ্রেশনের অন্যতম কারণ। তাই যেসব ব্যক্তি ফ্যাটি লিভারে আক্রান্ত হন, তাঁদের মধ্যে ডিপ্রেশনের ঝুঁকি বেশি।
মস্তিষ্কের কার্যকারিতার জন্য ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড, ভিটামিন বি ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের মতো প্রয়োজনীয় পুষ্টি দরকার। এসব পুষ্টি নিউরোট্রান্সমিটার উৎপাদন ও মেজাজকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। তাই এসব পুষ্টির অভাব থাকলে মেজাজও বিগড়ে যায় এবং ডিপ্রেশনের মতো মানসিক অবস্থা তৈরি হয়। অস্বাস্থ্যকর ডায়েটে প্রক্রিয়াজাত খাবারের পরিমাণ বেশি, ফাইবারের পরিমাণ কম। পাশাপাশি ডাসবায়োসিস নামক অন্ত্রের ব্যাকটেরিয়ার ভারসাম্যও নষ্ট হয়। এটি ডিপ্রেশন ও অ্যানজাইটির মতো মুড ডিসঅর্ডারের সঙ্গে যুক্ত।
ডায়েটের কারণে ডিপ্রেশন দেখা দিলে, সুষম আহারের মাধ্যমে মানসিক স্বাস্থ্যকে ভালও রাখতে পারেন। এমন খাবার খান যা প্রদাহ কমাতে সহায়ক। ফ্যাটি অ্যাসিডে সমৃদ্ধ মাছের তেল, অলিভ অয়েল প্রদাহ কমাতে সহায়ক। এছাড়া তাজা ফল, সবজি, ডাল ও গোটা শস্য খান। এই ধরনের খাবার ডিপ্রেশনের ঝুঁকি কমাতে সহায়ক। পাশাপাশি রেড মিট থেকে দূরে থাকুব। স্যাচুরেটেড ফ্যাট, চিনিযুক্ত খাবার কমিয়ে ফেলুন। এতেই ভাল থাকবে আপনার মন।





