Ginger Oil: পুজোর আগে সুস্থ থাকুন, ওবেসিটি ডায়াবেটিস স্থূলতা কমবে এই তেলের গুণেই
Health Tips: আদার তেলের মধ্যে রয়েছে একাধিক উপাদান। যা আমাদের শ্লেষ্মা, জ্বর, কাশি, হাঁপানি ইত্যাদির হাত থেকে রক্ষা করে
সর্বঘটে কাঁঠালি কলা হল আদা। রান্না থেকে চা- আদার ব্যবহার সর্বত্র। এছাড়াও আদার আছে এমন কিছু উপকারিতা যা অন্য কোনও সবজির মধ্যে নেই। প্রাচীন কাল থেকেই স্বাস্থ্যরক্ষায় ব্যবহার হয়ে আসছে আদা। কেউ খান থেঁতো করে, কেউ বেটে, কেউ শুকিয়ে আবার কেউ পাউডার বানিয়ে। বাইরের দেশগুলোতে আদা পাউডারের ভীষণ চল রয়েছে। তেমনই আয়ুর্বেদও বরাবর জোর দেয় আদার তৈরি এই পাউডারেই। আদা হল Zingiberaceae পরিবারের একটি সপুষ্পক উদ্ভিদ। আদার মূলই আমরা ব্যবহার করি। চিন এবং ভারতে ৪,৭০০ বছরেরও বেশি সময় ধরে বিভিন্ন চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়ে আসছে আদা। আদার ঔষধি গুণের জন্যই রোমে যখন বাণিজ্য করা গত তখন সবচাইতে বেশি কদর ছিল আদার। এশিয়া, আফ্রিকা, ইউরোপ আর ভারত জুড়েই কদর রয়েছে আদার।
আদার মধ্যে রয়েছে এমন কিছু উপাদান যা আমাদের দ্রুত হজম করায়। আর সেই কারণেই যে কোনও রান্নায় আদা ব্যবহার করা হয়। গ্যাস-অম্বল হয়ে গেলেও বলা হয় আদা জল খেতে। আদা শুকনো করে যেমন পাউডার বানানো হয় তেমনই আদার নির্যাস কাজে লাগিয়ে তেলও বানানো হয়। এই তেল কিন্তু আমাদের স্বাস্থ্য চর্চায় ভীষণ ভাবে উপকারী। এছাড়াও অ্যান্টিসেপটিক, টনিক হিসেবেও কার্যকরী আদার তেল। আদার মধ্যে রয়েছে নানা অ্যান্টিসেপটিক গুণ। আছে সুগন্ধও। যে কারণে এই তেল আমাদের শরীর-স্বাস্থ্যের জন্য এত বেশি উপকারী। এছাড়াও আগার তেলের মধ্যে রয়েছে একাধিক উপকারিতা-
পেট খারাপ হলে- পেটের যে কোনও সমস্যায় কার্যকরী হল আদা। আদার মবলে থাকে শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। থাকে অ্যান্টি ইনফ্ল্যামেটরি উপাদান। যা আমাদের একাধিক কাজে লাগে। বদহজম, ডায়রিয়া, খিঁচুনি, পেটব্যথায় ভীষণ রকম কার্যকরী হল আদা। আদার তেলে গ্যাস্ট্রোপ্রোটেক্টিভ উপাদান রয়েছে। যা আলসারের মত চিকিৎসার কাজেও ব্যবহার করা হয়। নেক্রোসিস, পেটের দেওয়ালে কোনও ক্ষত হলেও তা কমাতে সাহায্য করে আদার তেল।
সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে- শরীরের যে কোনও ছোটখাটো সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে রাখতেও উপকারী আদার তেল। অন্ত্রের সংক্রমণ রুখতেও কিন্তু তা কার্যকরী। বিভিন্ন অণুজীব আর ব্যাকটেরিয়াকে মেরে ফেলতেও উপকারী এই তেল।
শ্বাসযন্ত্রের সমস্যায়- আদার তেলের মধ্যে রয়েছে একাধিক উপাদান। যা আমাদের শ্লেষ্মা, জ্বর, কাশি, হাঁপানি ইত্যাদির হাত থেকে রক্ষা করে। হাঁপানি, ব্রঙ্কাইটিস এবং শ্বাসকষ্টের চিকিৎসাতেও ব্যবহার করা হয় এই তেল। যাঁদের হাঁপানির সমস্যা রয়েছে তারা রোজ ব্যবহার করতে পারলে খুব ভাল।
ওবেসিটির সমস্যায়- আজকাল অধিকাংশই অতিরিক্ত ওজন জনিত সমস্যায় ভুগছে। এক্ষেত্রেও কিন্তু কাজে লাগাতে পারেন আদার তেলকে। অনেকের ক্ষেত্রেই হরমোনের ভারসাম্যহীনতা দেখা যায়। হরমোনের অসামঞ্জস্যতার কারণেও ওজন বাড়ে। তাই এক্ষেত্রে কাজে লাগাতে পারেন আদার তেল। শরীরের যে কোনও প্রদাহ, ফোলা ভাব, জ্বালা কমাতেও কিন্তু কার্যকরী আদার তেল।
যে ভাবে ব্যবহার করবেন
আদার তেল হাতে ভাল করে মালিশ করলে চামড়া থাকে টানটান। কুঁচকে যায় না। বজায় থাকে উজ্জ্বলতাও।
এছাড়াও আদার তেল নিয়ম করে পেটে মালিশ করুন। এতে ফ্যাট গলবে। বদহজম, পেটখারাপের মত একাধিক সমস্যাও দূর হয়ে যাবে।
আদার তেল, লেবুর রস আর মধু মিশিয়ে মুখে লাগান। এতে মুখ থাকবে পরিষ্কার। ব্রণর সমস্যা থাকবে না। এই ফেসপ্যাক ফেসিয়ালের কাজ করে।