কত সময়ের ব্যবধানে ‘রুটিন চেকআপ’-এর জন্য ডাক্তারের কাছে যাওয়া উচিত?

সকলের ক্ষেত্রে রুটিন চেকআপের প্রয়োজন হলেও, একই সময়ের ব্যবধানে সকলকে ডাক্তারের কাছে যেতে হবে, এমন কিন্তু নয়। যার যেমন প্রয়োজন, তিনি সেভাবেই চিকিৎসকের কাছে গিয়ে পরামর্শ নেবেন। এক্ষেত্রে বয়সও একটা বড় ফ্যাক্টর।

কত সময়ের ব্যবধানে 'রুটিন চেকআপ'-এর জন্য ডাক্তারের কাছে যাওয়া উচিত?
কোনও ক্রনিক রোগ রয়েছে কি না এবং রোগীর বয়স কত, তার উপরেই মূলত ডাক্তারের কাছে যাওয়ার বিষয়টা নির্ভর করে।
Follow Us:
| Updated on: May 11, 2021 | 1:00 PM

কথায় বলে স্বাস্থ্যই সম্পদ। আর এই সম্পদ ঠিকভাবে রাখার দায়িত্ব কিন্তু আমাদেরই। তাই নিয়মিত শরীরচর্চা, সঠিকভাবে খাওয়াদাওয়া করার পাশাপাশি মাঝে মাঝে ডাক্তারের কাছে গিয়ে রুটিন চেকআপ করানোও কিন্তু প্রয়োজন। যাঁরা ভাবেন, ডাক্তারের কাছে না যাওয়া বিশাল বাহাদুরির কাজ, তাঁরা হয়তো নিজের অজান্তেই কী মারাত্মক ভুল করছেন, সেটা আন্দাজ করতে পারেন না।

তবে সকলের ক্ষেত্রে রুটিন চেকআপের প্রয়োজন হলেও, একই সময়ের ব্যবধানে সকলকে ডাক্তারের কাছে যেতে হবে, এমন কিন্তু নয়। যার যেমন প্রয়োজন, তিনি সেভাবেই চিকিৎসকের কাছে গিয়ে পরামর্শ নেবেন। এক্ষেত্রে বয়সও একটা বড় ফ্যাক্টর।

কারা কখন ডাক্তারের কাছে চেকআপের জন্য যাবেন?

১। যদি আপনার কোনও ক্রনিক ডিজিজ বা রোগ থাকে যেমন হাইপ্রেশার, হাইসুগার, তাহলে অতি অবশ্যই মাঝে মাঝে ডাক্তারের কাছে যেতে হবে।

২। যদি আপনি হার্ট পেশান্ট হন, অর্থাৎ হৃদযন্ত্রের কোনও রকম সমস্যা থাকলে, তাহলে একটু কম সময়ের ব্যবধানে চিকিৎসকের কাছে যেতে হবে।

৩। যাঁদের বয়স ৬০- এর গণ্ডী পেরিয়েছে, তাঁরা বছরে অন্তত এক বার একটা রুটিন হেলথ ভেকআপ করান।

৪। যাঁদের বয়স ৩০ থেকে ৪০ বছর, তাঁদের ক্ষেত্রে দু থেকে তিন বছরে একবার হেলথ চেকআপ করালেই হবে।

৫। যদি ৪০ থেকে ৫০ বছর বয়সী কারও মধ্যে কোনও ক্রনিক ডিজিজ যেমন প্রেশার বা সুগারের সমস্যা থাকে তাহলে তাঁদের ক্ষেত্রে নিয়মে কিছুটা বদল আসবে। সেক্ষেত্রে বছরে অন্তত দু থেকে তিনবার রুটিন হেলথ চেকআপ করান।

৬। অর্থাৎ ডায়াবেটিস, কোলেস্টেরল, হার্টের সমস্যা, হাইপ্রেশারের ফলে হাইপারটেনসনের সমস্যা থাকলে, সেটা যে বয়সেই হোক না কেন, আপনাকে ডাক্তারের কাছে একটু বেশি বা ঘনঘন যেতে হবে।

আরও পড়ুন- করোনা জয়ীদের শরীরে থাবা বসাচ্ছে ‘ব্ল্যাক ফাঙ্গাস’, কীভাবে সতর্ক হবেন?

সুস্বাস্থ্য বজায় রাখার প্রথম শর্ত হল অসুস্থতা এড়িয়ে না যাওয়া। শরীর খারাপ হলে ডাক্তারের পরামর্শ নিতেই হবে। নিজের ইচ্ছেমতো ওষুধ একেবারেই খাবেন না। এর ফলে হিতে বিপরীত হওয়ার সম্ভাবনা প্রবল।