Covid cough: কোভিড মুক্তির পরও ভোগাচ্ছে কফ-কাশি? ভরসা কি অ্যান্টিবায়োটিক নাকি অন্য কিছু, জানুন…
After covid issues: যাঁরা ওমিক্রনে আক্রান্ত হচ্ছেন তাঁদের ক্ষেত্রে দীর্ঘদিন থেকে যাচ্ছে কফ, কাশির সমস্যা। এছাড়াও থাকছে ক্লান্তি। আর তাই ক্লান্তি এড়াতে পর্যাপ্ত বিশ্রাম প্রয়োজন। তেমনই কফের সমস্যায় চিকিৎসকের পরামর্শ নিন
শীত মানেই সর্দি-কাশি-জ্বর এসব লেগেই থাকে। এছাড়াও ভাইরাস ঘটিত যে কোনও সংক্রমণই বাড়ে এই শীতে। বিশেষত টনসিল, কফের (Cough) সমস্যা। আবহাওয়ার খামখেয়ালিপনার জেরে এবারে সর্দি-কফের সমস্যা ঘরে ঘরে। সেই সঙ্গে রয়েছে কোভিড(Covid-19)। বড়দিনের পর থেকেই হুড়মুড়িয়ে বাড়ছে কোভিডের গ্রাফ। প্রচুর মানুষ আক্রান্ত হচ্ছেন। কোভিডের উপসর্গ আর সাধারণ ফ্লু এর উপসর্গের মধ্যে এত বেশি মিল থাকায় সমস্যা আরও জোরদার হচ্ছে। যাঁরা কোভিডে ভুগছেন তাঁদের জ্বর বা অন্যান্য সমস্যা না থাকলেও দীর্ঘদিন( Post covid problems) থেকে যাচ্ছে কফ কাশির সমস্যা।
গলা চুলকোনো, গলায় ব্যথা, কাশিএসব থেকেই যাচ্ছে। আছে অতিরিক্ত কফও। কাশির চোটে অনেকেই বুকে ব্যথার মত সমস্যাতেও পড়েছেন। ছোট, বড় সকলের ক্ষেত্রেই থাকছে কোভিড পরবর্তী এই অতিরিক্ত কফের সমস্যা। তবে সময়মতো এই কফের কিন্তু চিকিৎসা করা দরকার। পরামর্শ চিকিৎসকদের। নইলে থেকে যায় পরবর্তীকালে শ্বাসকষ্টের সমস্যা।
তবে ওমিক্রন আক্রান্তদের শ্বাসকষ্টের সমস্যা কিংবা শরীরে অক্সিজেনের মাত্রা কমে যাওয়ার মত সমস্যা নেই। Interventional Pulmonology and Lung Transplantation, Aster RV Hospital, জে পি নগর, বেঙ্গালুরুর চিকিৎসক পবন যাদব যেমন বলছেন, প্রথম ও দ্বিতীয় তরঙ্গের তুলনায় তৃতীয় তরঙ্গে শ্বাসকষ্টের সমস্যা কম। তবুও যে সব বয়স্করা এবার কোভিডে আক্রান্ত হচ্ছেন তাঁদের যত্নে থাকার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসক।
SARs-COV-2 ভাইরাস মূলত শ্বাসযন্ত্রের উপরই প্রভাব ফেলে। তবে এবার তুলনায় সেই প্রভাব কম। কিন্তু গলা ব্যথা, চুলকানি এসব সমস্যাই রয়েছে মূলত। তবে শুষ্ক কাশি নয় এবার কফ-কাশির সমস্যাই বেশি। অনেকের বিভিন্ন অ্যালার্জি কারণ জমিত সমস্যায় কাশি-কফ হয়। তবে কোভিড পরবর্তী সময়ের এই কফ দূর করার জন্য গার্গল, অ্যান্টি অ্যালার্জিক ওষুধ অবশ্যই রাখবেন।
এছাড়াও জল বেশি করে খান। শরীর যাতে শুকিয়ে না যায় সেদিকে খেয়াল রাখুন। পুষ্টিকর খাবার খান। এছাড়াও মেনে চলুন ঘরোয়া কিছু টোটকা। চিকিৎসকের পরামর্শ মত কিন্তু অবশ্যই চলবেন। তিনি যদি ইনহেলার নেবার পরামর্শ দেন তাও নেবেন। সম্প্রতি দ্য টাইমস অফ ইন্ডিয়ায় প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে এমনটাই বলা হয়েছে। অ্যান্টিবায়োটিরক চিচিৎসক যতটুকু দেবেন তত টুকুই খান। খুব বেশি না খাওয়া ভাল। অ্যান্টিবায়োটিক বেশি খেলেই মাথা ঘোরা, বমি, গা গোলানোর সমত সমস্যা আসতে পারে। তবে যে যে বিষয়গুলি একেবারেই করবেন না
চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া ওষুধ কিংবা রক্ত পরীক্ষা নয়।
অকারণে বুকের সিটি স্ক্যান নয়। এক্স রেও নয়।
নিজে থেকে স্টেরয়েড খাবেন না। যদি খুব প্রয়োজন হয় এবং চিকিৎসক খাবার পরামর্শ দেন তবেই খান। কিন্তু তাও বেশিদিন খাওয়া ঠিক নয়। এতে কিন্তু জটিলতা বাড়ে।
Disclaimer: এই প্রতিবেদনটি শুধুমাত্র তথ্যের জন্য, কোনও ওষুধ বা চিকিৎসা সংক্রান্ত নয়। বিস্তারিত তথ্যের জন্য আপনার চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করুন।