Coronavirus: ভ্যাকসিনের সম্পূর্ণ ডোজ নেওয়ার পরও আক্রান্ত ওমিক্রনে! প্রধানত যে সব সমস্যা এবং উপসর্গ দেখা যাচ্ছে…
ভ্যাকসিনের দুটো ডোজ নিয়েও অনেকে আক্রান্ত হচ্ছেন। কিন্তু তাঁদের সকলের মধ্যেই মৃদু সংক্রমণ হয়েছে। কেউ বা উপসর্গহীন। যাঁরা কোভিডের কোনও টিকাই নেননি তাঁদেরই হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়েছে
ক্রমশই বেড়ে চলেছে কোভিড আক্রান্তের সংখ্যা। যাঁরা ভ্যাকসিনের (Covid vaccine) সম্পূর্ণ ডোজ নিয়েছেন তাঁরাও পুনরায় আক্রান্ত হচ্ছেন কিন্তু রোগ-তীব্রতা কম। গত কয়েক সপ্তাহ ধরে দাপট বেড়েছে ওমিক্রনের। বিশ্বজুড়ে প্রচুর মানুষ আক্রান্ত হচ্ছেন। বেশিরভাগই বাড়িতে থেকে সুস্থ হয়ে উঠছেন। এমনকী রোগ-লক্ষণ তেমন তীব্র নয়। শরীরে অক্সিজেনের মাত্রা কমে যাচ্ছে এরকমটাও শোনা যায়নি। বেশিরভাগই সর্দি-জ্বরের সমস্যায় ভুগেছেন। তবে কোভিড মৃত্যুর ঝুঁকি কমানো এবং হাসপাতালে ভর্তির ভিড় এড়াতে পারার জন্য বিশেষজ্ঞরা আশার আলো দেখেছেন কোভিড ভ্যাকসিনেই (Covid-19)। যে কারণে বিশ্বজুড়ে শুরু হয়েছে কোভিড টিকার বুস্টার ডোজ। সম্প্রতি বেশ কিছু সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, করোনার এই নতুন ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রন (Omicron) থেকে মানুষকে রক্ষা করছে ভ্যাকসিনই। স্পাইক প্রোটিন ৩০ বারেরও বেশি মিউটেশন হয়েছে। যে কারণে ভাইরাসে আক্রান্ত হলেও ঝুঁকি কম থাকছে।
তবে আমাদের দেশে এখনও অনেকেই আছেন যাঁরা কোভিড টিকার কোনও ডোজ নেননি। তাঁরা ওমিক্রনে আক্রান্ত হয়েছেন এবং শারীরিক জটিলতা বেড়েছে। কোভিডের তৃতীয় ঢেউয়ে যাঁদের হাসপাতালে রেখে চিকিৎসা করতে হচ্ছে, অক্সিজেনের সাপোর্ট লাগছে তাদের বেশিরভাগেরই কোভিড টিকার কোনও ডোজ নেওয়া নেই।
সেন্টার ফর ডিজিজি কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশের দেওয়া তথ্য অনুসারে, যাঁরা ভ্যাকসিনের দুটো ডোজ নিয়েছেন তাঁদের মধ্যে সংক্রমণের সম্ভাবনা কম। কিংবা সংক্রমণ হলেও তা খুব মৃদু। ভ্যাকসিনের প্রভাবের জন্যই এবার কোভিড মৃত্যু কিংবা হাসপাতালে রেখে চিকিৎসা অনেকখানিই রুখে দেওয়া গিয়েছে। তবে সম্প্রতি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে, কোভিডের বিরুদ্ধে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে তুলতে ভ্যাকসিনও আপডেট করা প্রয়োজন। কোভিডের বর্তমান টিকা কতটা ওমিক্রন এবং পরবর্তী ভ্যারিয়েন্টকে ঠেকাতে পারবে সেই বিষয়ে আরও অনেক গভীরে গবেষণার প্রয়োজন। এবারে যাঁরা কোভিডে আক্রান্ত হয়েছেন তাঁদের বেশিরভাগেরই সংক্রমণ মৃদু। হালকা উপসর্গ রয়েছে। এবং কোনও রকম চিকিৎসা ছাড়াই অনেকে নিজের থেকে সুস্থ হয়ে গিয়েছেন।
গলা ব্যথা এবং গলা চিরে যাওয়া এবার কোভিডের অন্যতম লক্ষণ। যাঁরা আক্রান্ত হচ্ছেন তাঁদের বেশিরভাগের মধ্যেই কিন্তু প্রথমে এই লক্ষণ দেখা দিচ্ছে। পরবর্তীতে ক্লান্তি, জ্বর, কাশি, শরীরে ব্যতা, সর্দি, রাতের দিকে খাম, খিদে কমে যাওয়া, বমি বমি ভাব এইসব উপসর্গ দেখা দিয়েছে। যাঁদের মধ্যে উল্লিখিত উপসর্দের মধ্যে কোনও একটি রয়েছে তাঁরা কিন্তু যত দ্রুত সম্ভব কোভিডের পরীক্ষা করান। ৫ দিন আইসোলেশনে থাকুন। কিন্তু যাঁদের দুটো টিকা নেওয়া, কোভিডের কোনও উপসর্গ নেই শুধুই হাঁচি-কাশি রয়েছে তাদেরকে উপসর্গবিহীন বলা হচ্ছে। এক্ষেত্রে তাঁদের সবসময় মাস্ক পরে থাকার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।
Disclaimer: এই প্রতিবেদনটি শুধুমাত্র তথ্যের জন্য, কোনও ওষুধ বা চিকিৎসা সংক্রান্ত নয়। বিস্তারিত তথ্যের জন্য আপনার চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করুন।
আরও পড়ুন: Post COVID-19 complications: ওমিক্রন থেকে সেরে ওঠার পর যে সব শারীরিক জটিলতা দেখা যাচ্ছে…