Post COVID-19 complications: ওমিক্রন থেকে সেরে ওঠার পর যে সব শারীরিক জটিলতা দেখা যাচ্ছে…
কোভিড থেকে সেরে ওঠার পরও থেকে যাচ্ছে বেশ কিছু শারীরিক সমস্যা। যার মধ্যে ক্লান্তি, পিঠে ব্যথা এসব সমস্যাই বেশি
ক্রমশই বাড়ছে কোভিড। শুক্রবার নতুন করে ২,৬৮, ৮৩৩ মানুষ নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন। মৃত্যু হয়েছে ৪০২ জনের। বাড়ছে ওমিক্রন আক্রান্তের সংখ্যাও। দেশে ওমিক্রন (Omicron) আক্রান্তের সংখ্যা পার করেছে ৬ হাজারের গণ্ডি। ওমিক্রনের রোগ-জটিলতা হয়ত তেমন বেশি নয়, কিন্তু ডেল্টার তুলনায় তা অনেক দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে। প্রতিদিন প্রচুর সংখ্যক মানুষ আক্রান্ত হচ্ছেন। ওমিক্রনের উপসর্গ আর সাধারণ ফ্লু এর মধ্যে তেমন কোনও ফারাক না থাকায় অনেকেউ বুঝতে পারছেন না যে তাঁরা আদৌ কোভিড (Covid-19) আক্রান্ত কিনা। ফলে বাড়ছে উপসর্গহীন আক্রান্তের সংখ্যা।
জ্বর, সর্দি, কাশি মাথাধরা এই হল ওমিক্রনের উপসর্গ। তবে এবার বেশিরভাগের ক্ষেত্রেই মুখ্য উপসর্গ হল গলা ব্যথা, কাশি আর কফ। যাঁরা আক্রান্ত হচ্ছেন তাঁরা বাড়িতে থেকেই সুস্থ হয়ে উঠছেন। জ্বর তিনদিনের বেশি থাকছে না। মোটামুটি ৭ থেকে ১০ দিনের মধ্যেই সকলে সুস্থ হয়ে উঠছেন। কিন্তু করোনা থেকে সেরে ওঠার পরও বেশ কিছু সমস্যা থেকে যাচ্ছে। সেরে ওঠার পর বেশিরভাগই অতিরিক্ত ক্লান্তি, কফ, গলা ব্যথা, সর্দি এবং পেটের সমস্যা কিন্তু রয়ে যাচ্ছে। কফ-কাশি সারতে বেশ কিছুটা সময় লাগছে। যে কারণে কোভিড থেকে সেরে ওঠার পর ভিড় বাড়ছে ডাক্তারের চেম্বারে।
এছাড়াও কিছুজনের ক্ষেত্রে থাকছে ব্যাক পেইনের সমস্যাও। কোমর থেকে পিঠ এমনই অসহ্য ব্যথা হচ্ছে যে অনেকেই বেশিক্ষণ বসে থাকতে পারছেন না। গত দু সপ্তাহ ধরেই পোস্ট কোভিড (post covid complications) রোগীরা নানা সমস্যা নিয়ে আসছেন। খুব জটিল কোনও সমস্যা না থাকলেও কিছু না কিছু সমস্যা লেগেই রয়েছে সকলের।
মুম্বই মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশনের সেভেন হিলস হাসপাতালের চিকিৎসক (Seven Hills Hospital of Municipal Corporation)বালকৃষ্ণ আদসুল যেমন জানান, ‘তৃতীয় ঢেউয়ে যাঁরা আক্রান্ত হচ্ছেন তাঁদের সকলের মধ্যেই ভীষণ পরিমাণ ক্লান্তি রয়েছে। সেই সঙ্গে নিজেকে পরিশ্রান্ত (restless) মনে হচ্ছে। এখন ৫ থেকে ৭ দিনের আইসোলেশনই যথেষ্ট। সেই ৭ দিনের আইসোলেশন পর্বের পর মানুষ যখন কাজে ফিরছেন তখনও কিন্তু পিছু ছাড়ছে না ক্লান্তি। এবং এই সমস্যা থেকে যাচ্ছে বেশ কয়েকদিন পর্যন্ত’।
বেশ কিছু সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে ওমিক্রনের স্থায়িত্ব তিন দিনের বেশি নয়। উপসর্গ দেখা যাওয়ার তিন থেকে চারদিন পর্যন্তই তা শরীরে স্থায়ী হচ্ছে। ডেল্টার ক্ষেত্রে সেই সময়টা কিছুটা বেশি ছিল। এছাড়াও সমীক্ষায় আরও দেখা গিয়েছে ওমিক্রন ফুসফুসের তেমন ক্ষতি করছে না। কারণ সংক্রমণ ফুসফুস অবধি যাচ্ছে না। এমনকী রোগ জটিলতাও ডেল্টার থেকে অনেক কম। শ্বাসকষ্টের সমস্যার কথাও কেউ বলেননি।
আদসুল যেমন আরও জানান, ‘ওমিক্রন থেকে সেরে ওঠার ৭ দিন পর দেখা দিচ্ছে এই সব জটিলতা। কারোর ক্ষেত্রে COPD, হাঁপানির সমস্যা থেকে যাচ্ছে দীর্ঘ সময়ের জন্য। অনেকের লিভার, কিডনির সমস্যাও আসছে। তাঁদের কিন্তু নিয়মিত চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে থাকতে হবে। এছাড়াও যাঁদের এই পিঠ ব্যথা থাকে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই তাঁদের শরীরে ভিটামিন ডি এর অভাব দেখা যাচ্ছে। তবে কোভিড পরবর্তী যে সব জটিলতা আসছে তা নিয়ে কিন্তু আরও বিশদে গবেষণার প্রয়োজন রয়েছে’। আবার মাসিনা হাসপাতালের চিকিৎসক তৃপ্তি গিলাদা যেমন বলেন,’গলা ব্যথা, কোমরের ব্যথা এবং ক্লান্তি কিন্তু এবার কোভিডে বেশ দীর্ঘস্থায়ী। তা সারতেও সময় লাগছে বেশি’।
Disclaimer: এই প্রতিবেদনটি শুধুমাত্র তথ্যের জন্য, কোনও ওষুধ বা চিকিৎসা সংক্রান্ত নয়। বিস্তারিত তথ্যের জন্য আপনার চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করুন।
আরও পড়ুন: Omicron effect on Pregnant women: সদ্যজাত থেকে গর্ভবতী, ওমিক্রন কতটা ক্ষতি করছে তাদের শরীর? জানুন…