Breastfeeding: নতুন মা হলে স্তন্যপান করানোর সময় যে সব বিষয় অবশ্যই মাথায় রাখবেন…
নিজের জন্য এবং সন্তানের শরীর সুস্থ রাখতে স্তন্যপান আবশ্যক। সেই সঙ্গে সন্তানের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে ওঠে মায়ের দুধ থেকেই
সন্তানকে স্তন্যপান করাবেন কিনা এই নিয়ে অনেকের মনে অনেক রকম প্রশ্ন থাকে। অনেক মা সন্তানকে স্তন্যপান করাতে চান না। কিন্তু জানেন কি সন্তানকে বুকের দুধ খাওয়ানোর উপকারিতা অনেক! সম্প্রতি একটি গবেষণায় দেখা গিয়েছে স্তন ক্যানসারের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে বুকের দুধ। সন্তানের জন্ম দেওয়ার পর যে কোনও মায়ের কাছেই দারুণ অভিজ্ঞতা হল স্তন্যপান কমানো। এই স্তন্যপানের মধ্যে দিয়ে যেমন সন্তানের মধ্যে রোগ প্রতিরোধক্ষমতা গড়ে ওঠে তেমনই কিন্তু মায়ের শরীরের জন্যও খুব ভাল। তবে যাঁরা সদ্য মা হয়েছেন তাঁদের কাছে এই স্তন্যপান ( breastfeeding) নিয়ে নানা প্রশ্ন থাকে। কী ভাবে স্তন্যপান করাবেন, বাচ্চার পেট ভরছে কিনা, কখন খাওয়াবেন এই সব। আর তাই আজকের এই প্রতিবেদন রইল সমস্ত নতুন মায়েদের জন্য।
*সন্তানকে স্তন্যপান করানোর মধ্যে যেমন দারুণ একটা রোমাঞ্চ থাকে তেমনই কিন্তু ধৈর্য রাখতে হয়। স্তন্যপান করানোটাও একরকম চ্যালেঞ্জ। আর তাই তাড়াহুড়ো করবেন না। সন্তানকেও অভ্যস্ত হতে হবে।
*স্তন্যপানের সময় মা হিসেবে আপনাকেও সতর্ক থাকতে হবে। সন্তান যাতে ঠিকমতো খেতে পারে সেদিকে খেয়াল রাখুন। যাতে বাচ্চার বুকে না আটকে যায় সেদিকেও অবশ্যই খেয়াল রাখবেন। মায়ের দুধের মধ্যে দিয়েই শিশুর শরীরে তৈরি হয় অ্যান্টিবডি। তৈরি হয় রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা। এছাড়াও স্তন্যপান করানোর সময় কিন্তু যাবতীয় স্বাস্থ্যবিধিও বজায় রাখবেন।
*মায়ের থেকেই যেহেতু পুষ্টি পায় শিশু তাই মাকে সুষম খাবার খেতে হবে। বাইরের খাবার তেল, মশলা কিন্তু একেবারেই এড়িয়ে চলতে হবে। মায়ের স্বাস্থ্য ভাল থাকলে তবেই কিন্তু শিশুর স্বাস্থ্য ভাল থাকবে।
*প্রচুর পরিমাণে জল খেতে হবে। শরীরের আর্দ্রতা বজায় রাখাও খুব জরুরি। সেই সঙ্গে পর্যাপ্ত বিশ্রাম জরুরি। মাকে শারীরিকভাবে ফিট থাকতে হবে। নিজের যত্ন কিন্তু নিজেকেই নিতে হবে।
*যে কোনও ওষুধ খাওয়ার আগে অবশ্যই চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করে নেবেন। যে কোনও অবস্থাতেই নিজের মত করে ওষুধ খাবেন না। সেই সঙ্গে গ্যাস-অম্বলের সমস্যা থেকে কিন্তু দূরে থাকার চেষ্টা করবেন।
যে সব কিছু অবশ্যই বাদ দেবেন-
*আপনি যদি সদ্য মা হয়ে থাকেন এবং সন্তানকে বুকের দুধ খাওয়ান তাহলে কিন্তু অ্যালকোহল, সিগারেট থেকে দূরে থাকতে হবে। কারণ নিকোটিন মা ও বাচ্চার জন্য খুবই ক্ষতিকর।
*জাঙ্ক ফুড থেকে দূরে থাকুন। প্রসেসড ফুড একদম নয়। নুন, চিনি এসবও যতটা সম্ভব কম খাওয়ার চেষ্টা করুন। অতিরিক্ত ফ্যাটও না। এতে কিন্তু মায়ের স্বাস্থ্যের উপরও প্রভাব পড়ে। মা আর সন্তানের স্বাস্থ্য অঙ্গাঙ্গিক ভাবে জড়িত।
*যদি সংক্রমণজনিত কোনও সমস্যায় ভোগেন তাহলে কিন্তু সেই সময়টুকু সন্তানকে বুকের দুধ খাওয়াবেন না। এ বিষয়ে অবশ্যই চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করে নেবেন।
*বুকের দুধ খাওয়ানোর সময় যেমন তাড়াহুড়ো করবেন না তেমনই সন্তানকে শক্ত কিছু খাওয়ানোর জন্যও জোরজার করবেন না। সময়ের সঙ্গে সব হবে। মায়ের দুধেই কিন্তু সবচেয়ে বেশি পুষ্টি থাকে।
*স্তন্যপানের সময় যদি কোনও ব্যথা বা অস্বস্তি অনুভব করেন তাহলে কিন্তু চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে ভুলবেন না। হতে পারে অন্য কোনও সমস্যা হচ্ছে। তাই যত তাড়াতাড়ি সম্ভব চিকিৎসকের কাছে যান।
Disclaimer: এই প্রতিবেদনটি শুধুমাত্র তথ্যের জন্য, কোনও ওষুধ বা চিকিৎসা সংক্রান্ত নয়। বিস্তারিত তথ্যের জন্য আপনার চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করুন।
আরও পড়ুন: Omicron effect on Pregnant women: সদ্যজাত থেকে গর্ভবতী, ওমিক্রন কতটা ক্ষতি করছে তাদের শরীর? জানুন…