Health Tips: এবার ওষুধ ছাড়াই হবে কেল্লাফতে, হরমোনের সমস্যা তাড়ান এই সহজ উপায়ে

Signs and Symptoms: অস্বাস্থ্যকর খাবার, দূষণের, ব্যায়াম না করার কারণে হরমোনের ভারসাম্যহীনতা দেখা দেয়। যদি হরমোনের ভারসাম্যহীনতা লক্ষ্য করা যায়, তাহলে টাকা ব্যয় করে ওষুধ খাওয়ার প্রয়োজন নেই, প্রাকৃতিকভাবে এই সমস্যা মেটানো সম্ভব।

Health Tips: এবার ওষুধ ছাড়াই হবে কেল্লাফতে, হরমোনের সমস্যা তাড়ান এই সহজ উপায়ে
ছবিটি প্রতীকী
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Feb 09, 2023 | 11:48 AM

চিকিত্‍সাশাস্ত্রে,হরমোনের ভারসাম্যহীনতাকে ( Hormonal Imbalance) নীরব ঘাতকও বলা হয়। হরমোনের গণ্ডগোলের জেরে মহিলাদের শরীরে (Womens Health)  নানা ধরনের সমস্যা তৈরি হয়। অনেক সময় শরীরে হরমোনের ভারসাম্যহীনতার কারণে খিটখিটে ভাব ও মেজাজের পরিবর্তনও দেখা যায় মহিলাদের মধ্যে। ৪০ থেকে ৫০ বছর বয়সে, মহিলাদের প্রকৃতির পরিবর্তনও শুরু হয়। আজকের দিনে অস্বাস্থ্যকর জীবনধারার কারণে, ২০ থেকে ৩০ বছর বয়সী মহিলাদের মধ্যে মেজাজের পরিবর্তন লক্ষ্য করা গিয়েছে। শুধুমাত্র হরমোনের ভারসাম্যহীনতার কারণে এই ধরনের সমস্যা ঘটে। ব্যস্ত জীবন ও পরিবর্তিত জীবনযাত্রার কারণে মহিলারা ডায়েট (Diet) মেনে খাদ্যাভ্যাসের সঙ্গে সংযুক্ত হতে পারছেন না। দৈনন্দিন রুটিনও ব্যাহত হয় তাতে। অস্বাস্থ্যকর খাবার, দূষণের, ব্যায়াম না করার কারণে হরমোনের ভারসাম্যহীনতা দেখা দেয়। যদি হরমোনের ভারসাম্যহীনতা লক্ষ্য করা যায়, তাহলে টাকা ব্যয় করে ওষুধ খাওয়ার প্রয়োজন নেই, প্রাকৃতিকভাবে এই সমস্যা মেটানো সম্ভব। কীভাবে নিয়ন্ত্রণ করবে, তার জন্য কয়েকটি নিয়ম মেনে চললেই হবে কেল্লাফতে।

হরমোনের ভারসাম্যহীনতার লক্ষণ

– উদ্বিগ্ন, চাপ ও একাকী বোধ,

– ঘন ঘন মেজাজ পরিবর্তন

– দ্রুত চুল পড়া

– অনিদ্রা, যৌন ইচ্ছা হ্রাস

– ওজন বৃদ্ধি, অনিয়মিত পিরিয়ড ও পিরিয়ড নিয়ে নানা সমস্যা সৃষ্টি

– মুখে অবাঞ্ছিত চুল বা ব্রণ

ওষুধ ছাড়াই হরমোনের ভারসাম্যহীনতা রোধ করবেন কীভাবে

উপরের লক্ষণগুলির মধ্যে যদি আপনার শরীরে দেখা যায় তাহলে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নেবেন। তবে ওষুধের উপর নির্ভর করার আগে বেশ কিছু নিয়ম মেনে চলতে পারেন। বেশি সমস্যা হলে চিকিৎসকের পরামর্শও নিতে হবে। হরমোনের ভারসাম্যহীনতা এড়াতে আপনি কী খাচ্ছেন তা জানা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ডায়েটে কোন জিনিসগুলি অন্তর্ভুক্ত করা উচিত এবং কোন জিনিসগুলি এড়িয়ে চলবেন, তা জেনে নিন একনজরে…

ডায়েটে রাখুন এই জিনিসগুলো

– চা, কফি, চকলেট, কোল্ড ড্রিংক বেশি খেলে মহিলাদের অ্যাড্রিনাল গ্রন্থি বেশি সক্রিয় থাকে। এর ফলে হরমোন নিঃসৃত হতে থাকে।

– খাদ্যতালিকায় বেশি করে পুষ্টিকর খাবার অন্তর্ভুক্ত করুন, যাতে শরীর ভিটামিন, মিনারেল, প্রোটিনের মতো পুষ্টি পায়।

– খাদ্যতালিকায় গাজর, ব্রকলি এবং বাঁধাকপির মতো তাজা ফল ও সবুজ সবজির পরিমাণ বাড়ান।

– থিয়েনাইন একটি প্রাকৃতিক উপাদান যা গ্রিন টি-তে পাওয়া যায়, এটি হরমোনের ভারসাম্য বজায় রাখতে সহায়ক।

– ওটস ও দই খান, তাতে হরমোনের ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করবে।

– শরীরে জলের ঘাটতি যেন কোনওভাবেই না ঘটে। তাই মাঝে মাঝে জল পান করতে থাকুন।

– ডায়েটে সূর্যমুখী বীজ, ডিম, শুকনো ফল এবং মুরগির মাংস অন্তর্ভুক্ত করুন। এর মধ্যে ওমেগা ৩ ও ৬ পাওয়া যায়, যা হরমোনের ভারসাম্য তৈরি করে।

– প্রতিদিন নারকেলের জল পান করুন। এতে অনেক উপকার পাবেন।

কী কী খাবেন না কোনও মতে

– হরমোনের ভারসাম্যহীনতার সমস্যা থাকলে বেগুন, লঙ্কা, আলু ও টমেটোর মতো সবজি এড়িয়ে চলতে হবে।

– রেড মিট, স্যাচুরেটেড এবং হাইড্রোজেন ফ্যাট সমৃদ্ধ খাবার খাওয়া এড়িয়ে চলুন।

– টিনজাত মাংস খাওয়া থেকে বিরত থাকুন।

– যদি কোনও মহিলা গর্ভবতী হন এবং হরমোনের সমস্যায় ভোগেন তবে স্টেভিয়া এড়িয়ে চলুন। স্টেভিয়া একটি প্রাকৃতিক মিষ্টি, যা ক্ষতিকারক।

– সয়া জাতীয় পণ্য খাওয়া এড়িয়ে চলুন। হরমোনের ভারসাম্যহীনতার কারণে দুগ্ধজাত খাবার খাবেন না।

(Disclaimer: এই প্রতিবেদনটি শুধুমাত্র তথ্যের জন্য, কোনও ওষুধ বা চিকিৎসা সংক্রান্ত নয়। বিস্তারিত তথ্যের জন্য আপনার চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করুন।)