Skipped Periods: এ মাসে পিরিয়ডের ডেট মিস করেছেন? প্রেগন্যান্সি ছাড়া আর যে ৫ কারণে এমনটা হতে পারে
Menstrual Health: অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায় ২৮ দিনের বদলে ৪০ দিন পেরিয়ে গিয়েছে, পিরিয়ড হয়নি। অথচ, আপনি সেক্স করেননি, গর্ভবতী হওয়ার সম্ভাবনা নেই। কিংবা প্রেগন্যান্সি টেস্ট নেগেটিভ এসেছে। সময়মতো ঋতুস্রাব না হলে কিংবা পিরিয়ডের ডেট মিস করলেই যে আপনি অন্তঃসত্ত্বা, এমনটা ভেবে নেওয়ার কোনও কারণ নেই।

ঋতুচক্রের স্বাভাবিক সময় হল ২৮ দিন। কিন্তু প্রতিটা মহিলার এই ২৮ দিনের ব্যবধানে ঋতুস্রাব হয় না। কারও ২০ দিনের ব্যবধানে হয়। আবার কারও ৩৫ দিনের ব্যবধানে। দুটো অবস্থাই স্বাভাবিক। কিন্তু অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায় ২৮ দিনের বদলে ৪০ দিন পেরিয়ে গিয়েছে, পিরিয়ড হয়নি। অথচ, আপনি সেক্স করেননি, গর্ভবতী হওয়ার সম্ভাবনা নেই। কিংবা প্রেগন্যান্সি টেস্ট নেগেটিভ এসেছে। সময়মতো ঋতুস্রাব না হলে কিংবা পিরিয়ডের ডেট মিস করলেই যে আপনি অন্তঃসত্ত্বা, এমনটা ভেবে নেওয়ার কোনও কারণ নেই। এমন ৫টি কারণ রয়েছে, যার জেরে পিরিয়ড ডেট মিস হতে পারে। সেগুলো কী-কী দেখে নিন।
মানসিক চাপ: মানসিক চাপকে হালকাভাবে নেবেন না। এটি যেমন আপনার জীবনে ডায়াবেটিস, ইনসমনিয়া ডেকে আনতে পারে, তেমনই ঋতুস্রাবের তারিখ পিছিয়ে দিতে পারে। মানসিক চাপে থাকলে কর্টিসল ও অ্যাড্রিলিন হরমোন অত্যধিক পরিমাণে নির্গত হয়। এই হরমোনগুলো ঋতুচক্রের উপর প্রভাব ফেলতে পারে। অত্যধিক মানসিক চাপে থাকলে ঘুমের সমস্যা বাড়ে, যা মেন্সট্রুয়াল হেলথের উপর প্রভাব ফেলে। মানসিক চাপ কমানোর জন্য যোগব্যায়াম করতে পারেন।
ওজন বেশি: ওবেসিটির সমস্যা এখন ঘরে-ঘরে। দেহের অতিরিক্ত ওজন আপনাকে ঋতুস্রাবের তারিখ পিছিয়ে দিতে পারে। দেহের ওজন বেশি হলে হরমোনের ভারসাম্যহীনতা দেখা দেয়। বডি ফ্যাট দেহে ইট্রোজেন উৎপন্ন করে। এর জেরেই ঋতুস্রাব সময়মতো হয় না। ওজন কমালে এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে পারেন।
পলিসিস্টিক ওভারি সিন্ড্রোম: ওভারিতে সিস্টের সমস্যা থাকলে পিরিয়ড সময়মতো হয় না। পিসিওএস থাকলে বেশিরভাগ মহিলাই অনিয়মিত ঋতুস্রাবের সমস্যায় ভোগে। এই অবস্থায় ওজন বেড়ে যাওয়া, ত্বকে রোমের আধিক্যের মতো আরও উপসর্গ দেখা দেয়। এক্ষেত্রে আপনাকে স্বাস্থ্যকর লাইফস্টাইল মেনে চলতে হবে। তবেই, পিরিয়ড হবে নিয়ম মতো।
থাইরয়েড: পুরুষদের তুলনায় মহিলারাই থাইরয়েডের সমস্যায় বেশি ভোগেন। থাইরয়েড হরমোন মেটাবলিজম এবং ইমিউনিটি সিস্টেমকে বজায় রাখতে সাহায্য করে। যখনই থাইরয়েড গ্রন্থি ঠিকমতো কাজ করে না, দেহে একাধিক সমস্যা দেখা দেয়। যার মধ্যে অনিয়মিত ঋতুস্রাবও রয়েছে। এমনকি ঋতুস্রাবের সময় বেশি বা কম রক্তপাতের কারণও থাইরয়েড হরমোনের ভারসাম্যহীনতা হতে পারে। থাইরয়েডের ওষুধ খেলে ঋতুস্রাবের সমস্যাও এড়াতে পারবেন।
পেরিমেনোপজ: ৪৫ থেকে ৫৫ বছরের মধ্যে মেনোপজ আসতে পারে আপনার জীবনে। মেনোপজের আগে অনেক সময়ই পিরিয়ড ডেট মিস হয়ে যায়। এই পেরিমেনোপজ সময় দেহে অত্যধিক পরিমাণে ইস্ট্রোজেন ও প্রোজেস্টেরন হরমোন উৎপাদিত হয়। এর প্রভাব পড়ে ঋতুচক্রের উপর। পেরিমেনোপজ নারী দেহের একটি স্বাভাবিক প্রক্রিয়া। সুতরাং, এটা নিয়ে ভয় পাওয়ার কিছু নেই।
