AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Sleeping Pills: ঘুম আসে না রাতে, স্লিপিং পিল খাওয়া কি নিরাপদ? জানুন…

Side Effects Of Sleeping Pills: যাদের জটিল কোনও সার্জারি হয়েছে, শরীরে অসহ্য ব্যথা আছে তাদেরকেই কিন্তু ঘুমের ওষুধ দেওয়া হয়

Sleeping Pills: ঘুম আসে না রাতে, স্লিপিং পিল খাওয়া কি নিরাপদ? জানুন...
যে কারণে স্লিপিং পিল খাবেন না
| Edited By: | Updated on: May 26, 2022 | 5:53 AM
Share

কম ঘুম বা অনিদ্রায় এখন অনেকেই ভুগছেন। সারারাত দু’চোখের পাতা এক করতে না পারাটা কিন্তু কোনও স্বাভাবিক ঘটনা নয়। কিংবা রাতে বার বার ঘুম ভেঙে যাওয়াটাও ঠিক নয়। এভাবেই শরীরে জেঁকে বসে নানা রোগ, ইনসমনিয়াও। কম ঘুমের সমস্যাও যে একটা রোগ এবং এই সমস্যায় চিকিৎসকের পরামর্শ প্রয়োজন তা বুঝতে চান না অনেকেই। বরং মামুলি বিষয় ভেবে এড়িয়ে যান। কম ঘুমের সমস্যায় সঠিক সময়ে চিকিৎসা শুরু হওয়া প্রয়োজন। ঘুম কম হলেই সেখান থেকে ওবেসিটি, উচ্চ রক্তচাপ। বাড়ে ডায়াবেটিসের ঝুঁকিও। তবে আজকাল অনিদ্রাকে সাধারণ অসুখ বলেই ব্যখ্যা করলেন কোচি অমৃতা হাসপাতালের ইন্টারন্যাল মেডিসিনের সহকারী অধ্যাপক ডাঃ সুভাষ চন্দ্র। বর্তমানে মোট জনসংখ্যার ১০-৩০ % কিন্তু এই সমস্যার শিকার। মানসিক চাপের কারণেই বাড়ছে অনিদ্রা। এছাড়াও বিভিন্ন শারীরিক সমস্যা থেকেও অনেকে এই কম ঘুমের সমস্যায় ভুগছেন। লিভারের সমস্যা, শ্বাসকষ্ট থাকলে, রাতে বার বার বাথরুম পেলে, শরীরে কোথাও ব্যথা থাকলে এবং জটিল কোনও মানসিক সমস্যা থাকলে সেখান থেকেই কিন্তু এই কম ঘুমের সমস্যা হয়। তবে ব্যক্তিভেদে কিন্তু অনিদ্রার কারণও ভিন্ন হয়।

কাদের ঘুমের ওষুধ দেওয়া হয়? 

যাদের জটিল কোনও সার্জারি হয়েছে, শরীরে অসহ্য ব্যথা আছে তাদেরকেই কিন্তু ঘুমের ওষুধ দেওয়া হয়। এছাড়াও যাঁরা সম্প্রতি সময়ে খুব উদ্বেগের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছেন, শরীরে একাধিক সমস্যা রয়েছে, শ্বাস প্রশ্বাসের সমস্যা রয়েছে তখনই কিন্তু চিকিৎসকেরা এই ওষুধ দেন। আর খুব সতর্কতার সঙ্গে এই ওষুধ দিতে হবে। যদি চূড়ান্ত প্রয়োজন হয় তখনই লিভার, কিডনি রোগীদেরও এই ঘুমের ওষুধ দেওয়া হয়। ঘুমের ওষুধ খানিকটা ব্যথা নাশকও হয়। যে কারণে এই ওষুধ বেশি ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। তবে চিকিৎসকেরা এটাও বলছেন যে ঘুমের ওষুধ না খেতে পারলেই ভাল। কারণ এই ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াতে তন্দ্রাচ্ছন্নতা. মাথাব্যথা, কোষ্ঠকাঠিন্য, ডায়ারিা, পেশির দুর্বলতা, যৌন ইচ্ছা কমে যাওয়ার মতো একাধিক সমস্যা আসতে পারে।

তবে ঘুমের ওষুধেরও নানা ডোজ রয়েছে। রয়েছে প্রকারভেদও। শারীরিক সমস্যা অনুসারে এই ওষুধ দেওয়া হয়। রেনাল ফাংশান, নিভার ফাংশন দেখে যদি খুব প্রয়োজন মনে হয় তবেই কিন্তু চিকিৎসক প্রেসস্ক্রাইব করেন। আর তাই চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া ভুল করেও কিন্তু ঘুমের ওষুধ খাবেন না।

ঘুমের ওষুধ সংক্রান্ত যে সব প্রশ্ন থাকে সকলের মনেই- 

ঘুমের ওষুধ কি ক্ষতিকারক? 

ঘুমের ওষুধের একাধিক পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া থাকে। আর তাই চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া এই ওষুধ কিন্তু কোনও ভাবেই ব্যবহার করবেন না। নানা রকম পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া থাকে। নির্দিষ্ট ডোজ মেপে তবেই খান।

ঘুমের ওষুধ টানা ২ সপ্তাহ খেলেই একরকম আসক্তি তৈরি হয়। আর তাই একটানা এই ওষুধ একেবারেই খাবেন না।  ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া দীর্ঘমেয়াদি ঘুমের ওষুধ দেওয়া হয় না।

তথ্যসূত্র- দ্য টাইমস অফ ইন্ডিয়া

Disclaimer: এই প্রতিবেদনটি শুধুমাত্র তথ্যের জন্য, কোনও ওষুধ বা চিকিৎসা সংক্রান্ত নয়। বিস্তারিত তথ্যের জন্য আপনার চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করুন।