Cannabis on Covid-19: গঞ্জিকা সেবনে সারছে করোনা? জানুন যা বলছেন বিশেষজ্ঞরা…
গাঁজার মধ্যে থাকা দুটি উপকরণ CBGA, CBDA কোভিড ভাইরাসের স্পাইক প্রোটিনের সঙ্গে মিশে ভাইরাসের সংক্রমণের হাত থেকে মানবদেহকে রক্ষা করে। যদিও গাঁজা সেবন কিন্তু বাড়িয়ে দেয় কোভিড ঝুঁকি। একাও বার বার বলেছেন বিশেষজ্ঞরা
দিনের পর দিন বেড়েই চলেছে কোভিড আক্রান্তের সংখ্যা। একদিনের মধ্যেই সংখ্যাটা দ্বিগুণ হয়ে যাচ্ছে। বৃহস্পতিবার কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে যে রিপোর্টে প্রকাশিত হয়েছে তাতে বলা হয়েছে সংক্রমণের নিরিখে এগিয়ে পশ্চিমবঙ্গ (West Bengal)। এখনও পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি আক্রান্তের খোঁজ মিলেছে কলকাতায়। রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের বুলেটিনে জানানো হয়েছে, এই মুহূর্তে রাজ্যে করোনা সংক্রমণের হার ৩২.১৩ শতাংশ (West Bengal Coronavirus Update)। শুধু সংক্রমণই না, গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে বেড়েছে করোনায় আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যাও (Omicron Update)। যদিও করোনার পরীক্ষা আগের তুলনায় বেড়েছে অনেকখানি।
সম্প্রতি মার্কিন গবেষকরা কিছু পরীক্ষার মাধ্যমে দেখেছেন গাঁজার মধ্যে যে যৌগ থাকে তা কিন্তু কোভিড রুখে দিতে পারে। ওরেগন স্টেট ইউনিভার্সিটির একদল গবেষক গাঁজার মধ্যে উপস্থিত ক্যানাবিস স্যাটিভা নামের একটি যৌগ শনাক্ত করেছেন। যা হেম্প নামে পরিচিত। এই হেম্পের মধ্যে থাকে প্রচুর পরিমাণ প্রোটিন। থাকে ফাইবার। যা মূলত পশুখাদ্য হিসেবে ব্যবহার করা হয়। শুধু তাই নয়, ময়েশ্চারাইজার তৈরি করতেও ব্যবহার করা হয় এই যৌগ। সেই গবেষণায় আরও দেখা গিয়েছে, গাঁজার মধ্যে থাকা ক্যানাবিনয়েড অ্যাসিড কোভিডের স্পাইক প্রোটিনের সঙ্গে মিশে সংক্রমণে বাধা দেয়। সম্প্রতি নেচার জার্নালে একটি গবেষণা প্রকাশিত হয়েছে।
সেখানেই বলা হয়েছে গাঁজার মধ্যে থাকা দু’টি উপাদান ক্যানাবিগেরলিক অ্যাসিড (CBGA) এবং ক্যানাবিডিওলিক অ্যাসিড (CBDA) কোভিড ভাইরাসকে আটকানোর ক্ষমতা রাখে। এমনকী ভ্যাকসিন ও অ্যান্টিবডি তৈরিতেও এই দুটি উপাদান সাহায্য করে। আলফা এবং বিটা ভ্যারিয়েন্টের প্রকোপের সময় দক্ষিণ আফ্রিকায় এই উপাদান ব্যবহার করে ফল পাওয়া গিয়েছে। তবে নিয়মিত গাঁজা সেবন বা ধূমপান কিন্তু মোটেই করোনা আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা থেকে বাঁচাতে পারে না। বরং এতে সংক্রামিত হবার সম্ভাবনা বেড়ে যায় অনেকখানি। এই CBDA এবং CBGA কিন্তু আরও নানা ওষুধ তৈরির কাজেও ব্যবহার করা হয়।
করেোনার সংক্রমণ ঠেকাতে একমাত্র পারে ভ্যাকসিনই। একথা বার বার জোর দিয়ে বলছেন সকলেই। সেই সঙ্গে মেনে চলতে হবে যাবতীয় কোভিডবিধিও। মাস্ক পরা, সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা এবং ভিড় এড়িয়ে চলতেই হবে। যে কোনও জমায়েত থেকে আপাতত দূরে থাকারই পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। করোনার এই নতুন স্ট্রেন যে ভাবে দ্রুত গতিতে ছড়িয়ে পড়ছে তাতে উদ্বিগ্ন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার কর্মকর্তারা। যে কারণে ওমিক্রনের উপসর্গ মৃদু হলেও একে কিন্তু মোটেই হালকা ভাবে নিতে বলছেন না বিশেষজ্ঞরা। কোভিড আর ফ্লু এর উপসর্গ প্রায় একই রকম হওয়ায় অনেকেই প্রয়োজনীয় পরীক্ষা করাচ্ছেন না। যে কারণে বাড়ছে উপসর্গহীন আক্রান্তের সংখ্যাও। আর এই সব কারণেই দিনের পর দিন ঊর্ধ্বমুখী কোভিডের গ্রাফ।
Disclaimer: এই প্রতিবেদনটি শুধুমাত্র তথ্যের জন্য, কোনও ওষুধ বা চিকিৎসা সংক্রান্ত নয়। বিস্তারিত তথ্যের জন্য আপনার চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করুন।
আরও পড়ুন: Omicron effect on Pregnant women: সদ্যজাত থেকে গর্ভবতী, ওমিক্রন কতটা ক্ষতি করছে তাদের শরীর? জানুন…