Korean Diet: খাওয়াদাওয়া করলেও বাড়ে না কোরিয়ান মহিলাদের ওজন! জেনে নিন তাঁদের ফিট থাকার রহস্য
Fitness: এঁরা খুব কঠোর জীবনযাত্রায় বিশ্বাসী। খাওয়াদাওয়া কখনই মাত্রাতিরিক্ত নয়, সেই সঙ্গে বাইরের খাবার একেবারেই এড়িয়ে চলেন। নিয়মিত শরীরচর্চাও করেন। তবে খাবেরর সঙ্গে বিশেষ একটি ডিশও থাকে...
বরাবরই ভীষণ রকম স্লিম অ্যান্ড ট্রিম (Slim and Trim) তাঁরা। বয়স আর ওজন কোনওটাই তাঁদের বাড়ে না। তাঁদের জীবনযাত্রা, খাওয়াদাওয়া সব সময় থাকে চর্চায়। ঠিকই ধরেছেন, কোরিয়ান মহিলাদের ফিটনেসের (Fitness)কথাই বলা হচ্ছে। এই দেশের নাগরিকেরা ভীষণ ফিট। রাস্তাঘাটে আনফিট লোক চোখে পড়বে না। সেই সঙ্গে এখানকার অধিবাসীরা অনেক বয়স পর্যন্ত বাঁচেন।
৮ থেকে ৮০ সকবেই এখানে সুঠাম শরীরের অধিকারী। কোরিয়ান সিনেমা, মিউজিক ভিডিয়ো, টিভি শো- সর্বত্রই যঁদের দেখা যায় তাঁদের প্রত্যেকের শরীরই কিন্তু নজরকাড়া। শরীরে মেদের ছিঁটেফোঁটাও নেই। মসৃণ ত্বক, উজ্জ্বল কালো চুল- প্রত্যেকেই ভীষণ আকর্ষণীয়। সব সময় সতেজ, সুন্দর। এখানকার ৬০ কিংবা ৭০ বছর বয়সী কোনও মহিলাকে দেখলে মনেও হবে না যে তিনি ৫০ পেরিয়েছেন।
অনেকেই ঠাট্টা করে বলেন, এখানে টিনএজ আর ঠাকুমাদের চেনা দায়। সব বয়সের সব মহিলাই নিয়মিত শরীরচর্চা করেন, সেই সঙ্গে এঁদের জীবনযাত্রাও ভীষণ নিয়ন্ত্রিত। এমন সুন্দর চেহারার রহস্য কী, তা জানতে উদগ্রীব সকলেই। খুব সাধারণ কিছু নিয়ম মেনে চলেন এঁরা, যে কারণেই এত সুন্দর এখানকার মানুষেরা। দেখে নিন কীভাবে ফিট থাকেন কোরিয়ান মহিলারা
সকলেই ব্যালেন্সড ডায়েট মেনে চলেন- এঁদের আহার খুব সীমীত। সেই সঙ্গে নির্দিষ্ট সময়ে নির্দিষ্ট পরিমাণ খাবার খান। কখনই খুব বেশি কিছু খান না তাঁরা। ডায়েটে প্রোটিন থেকে কার্বস সকবই থাকে। তবে খুব বেশি প্রোটিনও তাঁরা খান না। কোরিয়ান মহিলাদের সমস্ত খাবারে একটি সাইড ডিশ থাকে। এটি সাধারণত নানান ধরনের ফার্মান্টেড খাবার। এমন খাবার অন্ত্রের পক্ষে উপকারী এবং পাচন তন্ত্রের জন্যও স্বাস্থ্যকর।
সবজি বেশি খান- এঁরা সকলেই সবজি বেশি পরিমাণে খান। মাছ, মাংস, ডিমের তুলনায় সব সময় প্লেটে সবজি বেশি থাকে। সবজির মধ্যে থাকে প্রচুর পরিমাণ ফাইবার। যা তাঁদের স্লিম ফিগারের রহস্য। তেল, মশলা একেবারেই খান না। সব খাবারই প্রায় সেদ্ধ। এর ফলে ক্যালোরি কম খাওয়া হয় যা তাঁদের ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে।
সব খাবারের সঙ্গেই থাকে ফার্মান্টেড ডিশ- কোরিয়ান মহিলাদের সব খাবারের সঙ্গেই থাকে কিছু না কিছু ফার্মান্টেড ডিশ। যা হজমের জন্য খুব সহায়ক। এছাড়াও এই খাবার আমাদের শরীরে রোগ প্রতিরোধক ক্ষমতাও বাড়িয়ে তোলে।
বাড়ির তৈরি খাবার খান- বাইরের খাবার কিংবা ফাস্ট ফুড তাঁরা প্রায়শই এড়িয়ে চলেন। বরং তাঁরা ঘরের খাবার অনেক বেশি পছন্দ করেন। ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে চাইলে বাড়ির খাবারের চাইতে ভালো আর কিছুই হয় না। প্রসেসড ফুড, তেলমশলার খাবার, ফাস্টফুড যতটা এড়িয়ে চলতে পারবেন ততই ভালো। বাড়ির তৈরি সহজপাচ্য খাবার হজম ভালো হয়। আর হজম ভালো হলেই কিন্তু ওজন কমে তাড়াতাড়ি।
আরও পড়ুন: Copper Water: ডায়াবিটিস নিয়ন্ত্রণে রাখতেও ভূমিকা রয়েছে তামার পাত্রে রাখা জলের! জানতেন?