Copper Water: ডায়াবিটিস নিয়ন্ত্রণে রাখতেও ভূমিকা রয়েছে তামার পাত্রে রাখা জলের! জানতেন?
Diabetes management: ঠাকুমাদের হেঁশেলে জল রাখা থাকত তামার পাত্রেই। কিন্তু যতই দিন এগিয়েছে ততই তামার ব্যবহার কমেছে।
আগেকার দিনে ঠাকুমা-দিদিমাদের রান্নাঘরে ভরসা ছিল তামার বাসনই। স্টিল, প্লাস্টিক কিংবা মাইক্রোওয়েভ প্রুফ বাসনের রমরমা তখন ছিল না। বিশেষ জল রাখার পাত্র হিসেবেই তামা বেশি ব্যবহার করা হত। এমন কি পুজোর অধিকাংশ সরঞ্জামও তৈরি তামা দিয়েই। শরীরের জন্য তামার বিশেষ উপকারিতা রয়েছে। বর্তমানে বিশেষজ্ঞরা বারবার প্লাস্টিক বর্জনের কথা বলছেন। প্লাস্টিকের বোতল, জার, কন্টেনার পারত পক্ষে এড়িয়ে চলতে পারলেই ভালো। জলের পাত্র হিসেবে তামার ব্যবহার গত কয়েক বছরে কিন্তু বেশ বেড়েছে। তামার বোতল, জগ, কলসি এসব ছাড়াও বাজারচলতি ওয়াটার পিউরিফায়ারেও ব্যবহার করা হচ্ছে তামার ফিল্টার ও স্টোরেজ।
বৈজ্ঞানিক গবেষণায় এটা প্রমাণিত হয়েছে যে তামার মধ্যে ব্যাকটিরিয়া ধ্বংস করার ক্ষমতা রয়েছে। জলের মধ্যে বিভিন্ন ধরনের ব্যাকটেরিয়া ও ভাইরাস থাকে। এগুলি ধ্বংস করার ক্ষমতা রয়েছে তামার। তাই তামার পাত্রে জল ধরে রেখে তা পান করলে স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত উপকারী। শুধু তাই নয়, ডায়াবিটিস নিয়ন্ত্রণেও সাহায্য করে তামার পাত্রে রাখা জল।
তামার পাত্রে জল পানের উপকারিতা
আমাদের শরীরে প্রয়োজনীয় খনিজের মধ্যে অন্যতম হল তামা। এছাড়াও তামা আমাদের শরীরে বিভিন্ন উৎসেচকের ক্রিয়া নিয়ন্ত্রণে রাখে। শরীর নিজে থেকে কপার তৈরি করতে পারে না। আর তাই আমাদের ডায়েটে এমন কিছু খাবার রাখতে হবে যেখান থেকে আমরা প্রয়োজন মতো কপারের চাহিদা পূরণ করতে পারব।
তামার মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। সেই সঙ্গে তামা আমাদের শরীরে রোগ-প্রতিরোধ ক্ষমতাও বাড়িয়ে তোলে। সেই সঙ্গে লোহিত রক্ত কণিকার সংখ্যা বাড়াতেও সাহায্য করে তামার জল। ডায়াবিটিসের সমস্যা থাকলে ত্বকও কুঁচকে যায়। খসখসে হয়ে যায়। ত্বকের এই সমস্যা দূর করতে তামার জল খুবই উপকারী।
পেটের সমস্যা রুখতে, হজমের সমস্যা দূর করতে তামার পাত্রে রাখা জলের যথেষ্ঠ ভূমিকা রয়েছে। আর ডায়াবিটিস রুখতে হজম ঠিক মতো হওয়া খুবই জরুরি। চিকিৎসক বসন্ত লাদের লেখা, ‘The Complete Book of Ayurvedic Home Remedies’- বইতে উল্লেখ রয়েছে কী ভাবে তামা আমাদের হজমে সাহায্য করে ডায়াবিটিস প্রতিরোধে সাহায্য করে।
এক গ্লাস জল তামার পাত্রে সারারাত রাখুন। পরদিন সকালে খালি পিটে আগে ওই জল খান। এতে শরীর ভালো থাকবে, পেট পরিষ্কার হবে সেই সঙ্গে নিয়মিত খেলে ব্লাড সুগারও থাকবে নিয়ন্ত্রণে। তবে এই তামার পাত্রে জল খাওয়ার পাশাপাশি প্রয়োজনীয় ওষুধ খাবেন এবং চিকিৎসকের যাবতীয় পরামর্শ মেনে চলবেন। আর তামার জল খাওয়ার আগেও অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
আরও পড়ুন: Flu Diet: শীত পড়তেই সর্দি কাশিতে জেরবার? জেনে নিন সুস্থ থাকতে কী খাবেন আর কী খাবেন না