AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Weight loss: ওজন কমাতে সকালের খাবারেই যোগ করুন এই দেশি পদগুলি!

ওজন কমানোর জন্য একটি ভরাট ও পুষ্টিকর প্রাতঃরাশের কাবার তৈরি করার জন্য প্রোটিনই শুধুমাত্র প্রয়োজন নয়।

Weight loss: ওজন কমাতে সকালের খাবারেই যোগ করুন এই দেশি পদগুলি!
ছবিটি প্রতীকী
| Edited By: | Updated on: Dec 02, 2021 | 9:00 AM
Share

সকালের ব্রেকফাস্ট হল দিনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ খাবার। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে, ব্রেকফাস্টের সময় সবচেয়ে ভারী ও পুষ্টিকর-ঘন খাবার খাওয়া উচিত বলে মনে করা হয়। গবেষণায় জোর দিয়ে এও বলা হয়েছে যে কীভাবে প্রোটিন-সমৃদ্ধ ব্রেকফাস্ট তৃপ্তি আনতে পারে। শুধু তাই নয়, ওজন কমাতে ও ডায়াবেটিস রোগীদের রক্তে শর্করার মাত্রা কমাতেও সাহায্য করে।

প্রাতঃরাশে একটি উচ্চ-কার্বোহাইড্রেট, উচ্চ-প্রোটিন ও উচ্চ-ফ্যাটযুক্ত খাবারের চেয়ে কম ক্যালোরি থাকে। ডিম ও অ্যাভোকাডো যেমন মাখনের টোস্ট, সিরিয়ালের ঠিক বিপরীত। ওজন কমানোর জন্য একটি ভরাট ও পুষ্টিকর প্রাতঃরাশের কাবার তৈরি করার জন্য প্রোটিনই শুধুমাত্র প্রয়োজন নয়। একটি স্বাস্থ্যকর বডিমাস ইনডেক্স (বিএমআই) এর জন্য সেরা সকালের খাবারের সমন্বয় জানতে পড়তে থাকুন।

পনির ভর্জি: ভারতে পনির ভর্জি একটি জনপ্রিয় লাঞ্চ ও ডিনারের জন্য প্রস্তুতি হয়। পনির হল স্বাস্থ্যকর চর্বি, ক্যালসিয়াম ও প্রোটিনের একটি সমৃদ্ধ উত্‍স। অন্যদিকে সবজি, লংকা ও ধনেপাতা দিয়ে রান্না করলে একটি সুস্বাদু মশলা তৈরি হয়ে ওঠে। রুটির সঙ্গে এই সুস্বাদু খাবার অনায়াসেই খাওয়া যায়। প্রাতঃরাশে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এই দেশি খাবারটি ওজন হ্রাস করতেও সাহায্য করে। ডিম দিয়েও একইভাবে প্রস্তুত করা যায়।

বেসন চিল্লা: বেসন বা ছোলার আটা হল প্রোটিনের সবচেয়ে উত্‍সগুলির মধ্যে একটি। ১০০গ্রাম আটার মধ্যে ২০.০৬ গ্রাম ফাইবার, ক্যালসিয়াম, আয়রন ও ম্যাগনেসিয়াম রয়েছে। একটি ব্যাটার তৈরি করতে বেসনের সঙ্গে পরিমাণমত নুন, লাল মরিচের গুঁড়ো, জোয়ান, হলুদ ও অন্যান্য মশলা যোগ করতে পারেন। প্যানকেকের মতো ছোট ছোট বেসন চিল্লা ভারতের অন্যতম জনপ্রিয় ব্রেকফাস্টের খাবার। এটি ভরপুর, পুষ্টিকর তো বটেই, এটি ওজন কমানোর জন্যও অনবদ্য ভূমিকা পালন করে থাকে।

টক দই ও ওটমিল: ওটমিল এবং টক দই, উভয়ই অত্যন্ত স্বাস্থ্যকর খাবার। সকালের খাবারের জন্য দুটি একসঙ্গে খেলে পুষ্টিকর খাবারে পরিণত হয়ে যায়। শুধু তাই নয়, নিয়মিত এই খাবার খেলে ওজন ঝরতে বাধ্য। ওটস হল জটিল কার্বোহাইড্রেট, বিটা-গ্লুকান ফাইবারের সমৃদ্ধ উৎস এবং শর্করা থেকে মুক্ত টক দই প্রোটিনের উৎস।

মটরশুটি-সহ ডিম: ডিম সারা বিশ্বে একটি জনপ্রিয় প্রধান খাবার। ভারত কেন, সারা বিশ্বেই সবচেয়ে জনপ্রিয় ডিমের প্রস্তুতি হল একটি অমলেট। পনিরের অমলেট হোক বা সবজি দিয়ে বা টার্কির টুকরো, সালামি বা সসেজ দিয়েও স্যান্ডউইচের আকারে প্রস্তুত করা যায়। ডিম সবারই প্রিয়। ওজন কমানোর জন্য ডিম থেকে খাবার তৈরি করার চেষ্টা করছেন, তাহলে তাতে কয়েকটি সিদ্ধ মটরশুটি যোগ করতে পারেন। কালো বা কিডনি বিন-ও যোগ করতে পারেন, কারণ এগুলি একটি উচ্চ ফাইবার এবং প্রোটিনের উত্‍সস্থল।

অ্যাভোকাডোর টোস্ট: প্রাতঃরাশের টোস্ট সকলেরই পছন্দ তবে, যখন কেউ এটিকে মাখন ব্যবহার করে ফেলে তখন সেটি অবিশ্বাস্যভাবে অস্বাস্থ্যকর হয়ে ওঠে। পরিবর্তে, কিছু গোটা-শস্যের ব্রেডে প্রক্রিয়াজাত মাংস এবং মাখনের টপিংয়ের বদলে অ্যাভোকাডো ব্যবহার করুন। অ্যাভোকাডোর স্বাস্থ্যকর চর্বি এবং ফাইবার শরীরের জন্য উপযুক্ত ও সময়ের সঙ্গে সঙ্গে ওজন কমাতেও সাহায্য করে।

দই এবং বেরি: আপনি যদি ওজন পর্যবেক্ষক হন যিনি ওটসের ভক্ত নন, তবে উপরে কয়েকটি বেরি-সহ তাজা দই খান। দইয়ের সঙ্গে একত্রিত বেরির সুস্বাদু হলে ট্যাঙ্গি। এতে রয়েছে ফাইবার, ভিটামিন সি, অ্যান্টিঅক্সিডেন্টস এবং প্রোটিনের সংমিশ্রণ। যার জেরে শরীরের বাড়তি মেদ কমে যেতে সাহায্য করে।

আরও পড়ুন: Pumpkin Spice Coffee: শীতের ওমকে আরও আরামদায়ক করে তুলতে কফিতে আনুন ক্লাসিক টুইস্ট!