Kidney Stone: শরীরে এই লক্ষণগুলির অর্থ জানেন কি? হতে পারে কিডনি স্টোন

Symptoms of kidney stone: বংশে এই রোগ থাকলে, জল কম পান করলে, নুন বেশি খেলে, মাত্রাতিরিক্ত মাত্রায় সফট ড্রিংকস পান করা অভ্যেস থেকেও হতে পারে কিডনি স্টোন।

Kidney Stone: শরীরে এই লক্ষণগুলির অর্থ জানেন কি? হতে পারে কিডনি স্টোন
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: May 26, 2022 | 7:50 AM

আজকাল বহু মানুষই কিডনি স্টোনের (Kidney Stone) সমস্যায় ভুগছেন। কিডনি স্টোন দেখতে অনেকটা নুড়ির মতো। বস্তুতঃ, কিডনি স্টোন তৈরি হয় খনিজ দ্বারা। স্টোনের আকারও ভিন্ন প্রকারের হতে পারে। ছোট্ট কাঁকড়ের আকার থেকে গলফ্‌ বলের আকারেরও স্টোন (Stone) দেখা গিয়েছে। মাঝেমধ্যে ইউরিনের সঙ্গেই কিডনি স্টোন বেরিয়ে আসে। তবে কিছু ক্ষেত্রে অপারেশন ছাড়া গতি থাকে না। অন্যদিকে, কিডনি স্টোনের ব্যথা শুধুমাত্র যে অসহ্য তাই নয়, উপরন্তু যে রোগীর এমন ব্যথা হয় তাঁর জীবনযাপনও দুঃসহ হয়ে ওঠে।

এমন সমস্যা হওয়ার পিছনে একাধিক কারণ থাকতে পারে। বিশেষজ্ঞদের মতে, জল কম পান করার অভ্যেস হল কিডনি স্টোনের পিছনে অন্যতম কারণ। এখানেই শেষ নয়। ত্রুটিপূর্ণ খাদ্যগ্রহণও কিডনি স্টোন হওয়ার পিছনে অন্যতম প্রধান কারণ।

কিডনি স্টোন ধীরে ধীরে কিডনিতে বেড়ে ওঠে। তবে কিডনি স্টোন তৈরি হওয়ার সঙ্কেত অনেক আগে থেকেই শরীর দিতে থাকে। দেখা যাক সেগুলি কী কী?

• মূত্রত্যাগের সময় ব্যথা।

• মূত্রের সঙ্গে রক্ত নির্গত হওয়া।

• মূত্রে অস্বাভাবিক দুর্গন্ধ তৈরি হওয়া।

• ইউরিনের রঙের পরিবর্তন হওয়া।

• প্রতিবার অল্পমাত্রায় ইউরিন নির্গত হওয়া।

• বারংবার মূত্রের বেগ আসা।

• বমি বমি ভাব, বমি হওয়া, সঙ্গে জ্বরের মতো লক্ষণ।

• চিকিৎসা না করালে মূত্রত্যাগের সময় প্রবল জ্বালাভাব দেখা যায়।

• গোলাপি, লাল অথবা বাদামি রঙের ইউরিন নির্গত হওয়ার সমস্যাও দেখা যায়।

• মাঝে মধ্যে তলপেট এবং গোপনাঙ্গে ব্যথা। কিছু সময় ব্যথা মৃদু থাকে, কিছু সময় থাকে তীব্র!

কিডনি স্টোন কেন হয়?

বংশে এই রোগ থাকলে, জল কম পান করলে, নুন বেশি খেলে, মাত্রাতিরিক্ত মাত্রায় সফট ড্রিংকস পান করা অভ্যেস থেকেও হতে পারে কিডনি স্টোন। এছাড়া স্থূলকায় ব্যক্তিরও কিডনি স্টোনের সমস্যা হয়।

কিডনি স্টোনের ধরন

ক্যালশিয়াম স্টোন, স্ট্রুভাইট স্টোন, ইউরিক অ্যাসিড স্টোন, সিস্টিন স্টোন।

রোগ নির্ণয়

ইউরিনারি ট্র্যাক্ট-এর ইমেজিং করালেই বোঝা যায় ইউরিনারি ট্র্যাক্ট-এর সংক্রমণ সম্পর্কে। উপরিউক্ত সমস্যায় ভোগা ব্যক্তির কিডনি স্টোনের সমস্যা সন্দেহ করলে একজন ইউরোসার্জেন ওই ব্যক্তিকে অ্যাবডোমিনাল এক্স-রে, সিটি স্ক্যান করাতে দিতে পারেন। এরপর দরকার পড়লে রোগীর অপারেশন করে স্টোন বের করা হয়।

অপারেশনের পরে

বারবার কিডনি স্টোনে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা থাকে। সেক্ষেত্রে দেখতে হয় একজন ব্যক্তির কোন ধরনের স্টোন হয়েছে। সেই বুঝে চিকিৎসক ডায়েট স্থির করতে পারেন। সাধারণভাবে ক্যালশিয়াম অক্সালেট স্টোন-এ আক্রান্ত রোগীই বেশি দেখা যায়। এমন ক্ষেত্রে রোগীকে চকোলেট, অতিরিক্ত বাদাম, দুধ ও দুগ্ধজাত খাদ্য কম খেতে বলা হতে পারে। তবে সবচাইতে ভালো হল প্রতিদিন এক্সারসাইজ করার অভ্যেস জারি রাখা এবং যথেষ্ট মাত্রায় জলপান করা।