Morning Sickness: সারাদিন বমি বমি ভাব অনুভূত করছেন? গর্ভাবস্থায় কেন দেখা যায় এই সমস্যা, জেনে নিন

গর্ভবতী এমন একটি অবস্থা যা প্রতিটি মহিলার জীবনে কিছু পরিবর্তন নিয়ে আসে। তার মধ্যে এমনও কিছু উপসর্গও দেখা দেয় যা গর্ভাবস্থায় দৈনন্দিন জীবনে নানান বাধা তৈরি করে। যার মধ্যে সবচেয়ে সাধারণ সমস্যা বা উপসর্গ হল মর্নিং সিকনেস বা বমি বমি ভাব অনুভূত হওয়া।

Morning Sickness: সারাদিন বমি বমি ভাব অনুভূত করছেন? গর্ভাবস্থায় কেন দেখা যায় এই সমস্যা, জেনে নিন
প্রতীকী ছবি
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Nov 07, 2021 | 8:19 PM

গর্ভবতী এমন একটি অবস্থা যা প্রতিটি মহিলার জীবনে কিছু পরিবর্তন নিয়ে আসে। তার মধ্যে এমনও কিছু উপসর্গও দেখা দেয় যা গর্ভাবস্থায় দৈনন্দিন জীবনে নানান বাধা তৈরি করে। যার মধ্যে সবচেয়ে সাধারণ সমস্যা বা উপসর্গ হল মর্নিং সিকনেস বা বমি বমি ভাব অনুভূত হওয়া। যদিও এটা মর্নিং সিকনেস ঠিক নয়। দিনের যে কোনও সময় এই বমি বমি ভাব অনুভূত হয়ে পারে।

গর্ভাবস্থায় হরমোনের ভারসাম্য ঘটে। শরীরে এমন কিছু হরমোন রয়েছে যা এই সময় বেড়ে যায় এবং এর ফলে এই বমি বমি ভাবের সমস্যা দেখা দেয়। গর্ভাবস্থায় বমি বমি ভাব খুব সাধারণ একটি ঘটনা। সাধারণত প্রথম কয়েক মাসে এই সমস্যা দেখা দেয় এবং সময়ের সঙ্গে তা চলেও যায়। তবে সব মহিলাদের ক্ষেত্রে তা ঘটে না।

মর্নিং সিকনেস গর্ভাবস্থার প্রথম লক্ষণগুলির মধ্যে একটি। এটি গর্ভাবস্থার তিন মাসের মধ্যে নির্মূল হয়ে যায়। বেশিরভাগ মহিলা প্রায় ৬ সপ্তাহ বমি বমি ভাব এবং বমির সমস্যাতে ভোগেন। সাধারণত ১২ সপ্তাহের মধ্যে এই উপসর্গটি দূর হয়ে যায়। তবে অনেক মহিলাদের ক্ষেত্রে এই সমস্যা গুরুতর হয়ে দাঁড়ায়।

এটাও সত্য যে এই মর্নিং সিকনেসকে কমানোর জন্য বেশি চিকিৎসার সাহায্য নিতে হয় না। মর্নিং সিকনেসের এই সমস্যা প্রায় ৫০ শতাংশ গর্ভবতী মহিলাদের মধ্যেই দেখা যায়। তবে যদি এই সমস্যা ডিহাইড্রেশন বা ওজন কমানোর মত সমস্যা তৈরি করে তখন অবশ্যই চিকিৎসকদের সঙ্গে পরামর্শ করা উচিত।

মর্নিং সিকনেসকের উপসর্গগুলি হল-

  • প্রথম তিন মাসের মধ্যে বমি বমি ভাব এবং বমি হওয়া
  • কিছু খাবারের গন্ধে অসুস্থ বোধ করা
  • খাওয়ার পর বমি বমি ভাব
  • নির্দিষ্ট কোনও কিছু গন্ধের পরে অসুস্থ বোধ করা

এখন প্রশ্ন উঠছে এই উপসর্গগুলিকে কীভাবে নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়। প্রথম গর্ভাবস্থার প্রথম তিন মাস বিশ্রামের প্রয়োজন হয়। তার সঙ্গে প্রয়োজন সঠিক ডায়েট। এই সময় বেশি ফ্যাট যুক্ত খাবার, ফাস্ট ফুড, মশলাদার খাবার, ক্যাফেইন যুক্ত খাবার খাবেন না। এতে পেটে গ্যাস তৈরি হতে পারে। এর বদলে বেশি করে শাক সবজি, ফল খান। প্রচুর পরিমাণে জল আর ফলের রস পান করুন। কারণ মনিং সিকনেস অনেকের ক্ষেত্রে ডিহাইড্রেশনের সমস্যা তৈরি করতে পারে। সকালে আদা দিয়ে চা পান করতে পারেন। আদা মর্নিং সিকনেস কমানোর ক্ষেত্রে ভীষণ ভাবে কার্যকরী।

আরও পড়ুন: একাধিক ধরনের হয় গাইনোকোলজিক্যাল ক্যান্সার! কীভাবে সচেতন হবেন এই বিষয়ে, জেনে নিন

আরও পড়ুন: সাধারণ রসুনের থেকে এর স্বাস্থ্য উপকারিতা দ্বিগুণ! এমন কী বিশেষত্ব রয়েছে এই কালো রসুনের মধ্যে, জেনে নিন