Low Blood Pressure: রোদে বেরিয়ে মাথা ঘুরছে, গা গুলোচ্ছে? হঠাৎ করে প্রেশার কমে গেলে কী করবেন, রইল টিপস
Hypotension Remedies: অত্যধিক গরমে, রোদে বেরিয়ে শুধুমাত্র যে রক্তচাপ বেড়ে যেতে পারে, তা নয়। অনেক সময় হঠাৎ করে রক্তচাপ কমেও যায়। হঠাৎ রক্তচাপ কমে গেলে গা গোলানো, মাথা ঘোরা, মাথা ঝিমঝিম করার মতো লক্ষণ প্রকাশ পেতে থাকে। এই অবস্থায় যা কিছু মেনে চলবেন...
রক্তচাপ বেড়ে গেলে তা নিয়ে চিন্তিত হন প্রত্যেকেই। যদিও উচ্চ রক্তচাপ চিন্তারই কারণ। কারণ রক্তচাপ বেড়ে গেলে এখান থেকে হৃদরোগের ঝুঁকি বেড়ে যায়। স্ট্রোক, হার্ট অ্যাটাকের সম্ভাবনা দ্বিগুণ হয়ে যায় উচ্চ রক্তচাপ থাকলে। তাই উচ্চ রক্তচাপের রোগীদের প্রতিদিন প্রেশারের ওষুধ খেতে হয়। কিন্তু নিম্ন রক্তচাপ নিয়ে কতজন সচেতন? উচ্চ রক্তচাপের মতোই রক্তচাপ কম হওয়াও স্বাস্থ্যের জন্য ভাল নয়। স্বাভাবিক রক্তচাপের মাত্রা ১২০/৮০ হওয়া উচিত। এর কম হলেই এই অবস্থাকে হাইপোটেনশন বলা হয়। এক্ষেত্রে জেনে রাখা ভাল, হাইপোটেনশনও হৃদযন্ত্রের উপর প্রভাব ফেলে। দীর্ঘদিন ধরে যদি আপনি নিম্ন রক্তচাপের সমস্যায় ভোগেন, তাহলেও চিকিৎসকের সাহায্য নেওয়া জরুরি।
হাইপোটেনশনের খুব বেশি উপসর্গ নেই। যদিও কোনও লক্ষণ দিয়ে থাকে, তা খুব বেশি জোরাল হয় না। কিন্তু হঠাৎ করে রক্তচাপ কমে গেলে তখন তা সমস্যা বাড়িয়ে তোলে। অত্যধিক গরমে, রোদে বেরিয়ে শুধুমাত্র যে রক্তচাপ বেড়ে যেতে পারে, তা নয়। অনেক সময় হঠাৎ করে রক্তচাপ কমেও যায়। হঠাৎ রক্তচাপ কমে গেলে গা গোলানো, মাথা ঘোরা, মাথা ঝিমঝিম করার মতো লক্ষণ প্রকাশ পেতে থাকে। অনেক সময় রক্তচাপ কমে যাওয়ার কারণে রোগী অজ্ঞানও হয়ে যায়। অত্যধিক গরমে, রোদ থেকে বাড়ি ফিরে কিংবা রোদে বেরিয়েও অনেকে এই ধরনের ঘটনার সম্মুখীন হন। হঠাৎ করে রক্তচাপ কমে গেলে কী-কী করবেন, রইল টিপস।
১) নুন খান। উচ্চ রক্তচাপের ক্ষেত্রে অতিরিক্ত পরিমাণে নুন এড়িয়ে চলার পরামর্শ দেওয়া হয়, যেহেতু নুনের মধ্যে সোডিয়ামের পরিমাণ বেশি থাকে। এই উপাদান রক্তচাপ বাড়িয়ে দেয়। হঠাৎ করে রক্তচাপ কমে গেলে এই সোডিয়ামই প্রেশারকে স্বাভাবিক মাত্রায় ফিরিয়ে আনতে সাহায্য করবে। তবে, খুব বেশি নুন খাবেন না। নুন-চিনি দিয়ে লেবুর জল পান করতে পারেন।
২) প্রচুর পরিমাণে জল পান করুন। শরীরে যদি ক্লান্তি তৈরি হয়, মাথা ঘোরা, বমি বমি ভাবের মতো উপসর্গ দেখা দেয়, তখন প্রচুর পরিমাণে জল পান করুন। এটি হাইপোটেনশন দূর করতে এবং শরীরে ডিহাইড্রেশনের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে।
৩) হঠাৎ করে রক্তচাপ কমে গেলে চোখে-মুখে ঠান্ডা জলের ঝাপটা দিন। এতে আপনার স্নায়ুগুলো স্থিতিশীল হবে। পাশাপাশি গরমে স্বস্তি বোধ করবেন। আঁটোসাঁটো পোশাক পরবেন না। পোশাক ঢিলে করে দিন। এছাড়া আপনি পাখার তলায় কিছুক্ষণ শুয়ে পড়তে পারে। এবং পা দু’টো উপরের দিকে কিছুক্ষণ তুলে রাখতে পারেন। এতে দেহে রক্তসঞ্চালন বৃদ্ধি পায়।
৪) আপনি যদি হাইপোটেনশনের রোগী হন, তাহলে প্রতিদিন শরীরচর্চা করুন। যোগব্যায়াম শরীরে রক্তসঞ্চালন বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। দিনে অন্তত ৩০ মিনিট যোগব্যায়াম করুন।
৫) ডায়েটের দিকে খেয়াল রাখুন। সীমিত পরিমাণে কার্বোহাইড্রেটেড খাবার গ্রহণ করুন। সকালে খালি পেটে চা-কফি খাওয়ার অভ্যাস ত্যাগ করুন। এতে শরীর ডিহাইড্রেটেড হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে। পাশাপাশি অ্যালকোহল সেবন এড়িয়ে চলুন। এতে রক্তচাপ স্বাভাবিক মাত্রায় থাকবে।