Pneumonia: নিউমোনিয়ার সঙ্গে লড়ছিলেন লতা! বয়স্কদের কেন এই রোগের ভয় বেশি, জানুন

করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ ঘটলে দুর্বল রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থার ফাঁক ফোকড় দিয়ে শরীরে ঢুকে যাচ্ছে অন্যান্য রোগজীবাণু। শানাচ্ছে আক্রমণ। অর্থাৎ কোভিড আমাদের সেকেন্ডারি ব্যাকটেরিয়াল ইনফেকশনের আশঙ্কা বাড়িয়ে তুলছে অনেকটাই।

Pneumonia: নিউমোনিয়ার সঙ্গে লড়ছিলেন লতা! বয়স্কদের কেন এই রোগের ভয় বেশি, জানুন
কিংবদন্তী সঙ্গীতশিল্পী লতা মঙ্গেশকর
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Feb 08, 2022 | 7:29 AM

কোভিড ১৯ এবং তজ্জনিত নিউমোনিয়ার ( Pneumonia) সঙ্গে লড়ছিলেন সুরসম্রাজ্ঞী লতা মঙ্গেশকর (Lata Mangeshkar)। বেশ কয়েকটা দিন লড়াই চালানোর পরে কালান্তক ব্যাধির কাছে ৬ ফেব্রুয়ারি হার মানতে হল নবতিপর লতা মঙ্গেশকরকে। নিউমোনিয়া অসুখটি কিন্তু নতুন নয়। শিশু (Child) এবং বয়স্কদের (Senior) মধ্যে এই রোগের প্রকোপ দেখা যায়। কারণ বাচ্চার ইমিউনিটি এমনিতেই কম থাকে। অন্যদিকে বৃদ্ধ-বৃদ্ধার শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা (Immune system) বয়সের সঙ্গে কমতে থাকে। তাই সহজেই রোগটি ফুসফুসে জাঁকিয়ে বসার সুযোগ পায়।

পালমোনোলজিস্টরা জানাচ্ছেন, বিশেষ করে কোভিড ১৯ রোগে আক্রান্ত হলে নিউমোনিয়া হওয়ার আশঙ্কা তীব্র। করোনার কিছু ভ্যারিয়েন্ট ফুসফুসকেও আক্রমণ করছে। এছাড়া কোভিড থেকে সেরে ওঠার পরেও কিছু কিছু ব্যক্তির ফুসফুসে ফ্যাঙ্গাল ইনফেকশন বা ছত্রাকজনিত সংক্রমণের হদিশ মিলছে। এই সংখ্যাটা কিন্তু দিন দিন বাড়ছে। দেশের অসংখ্য রোগীর চেস্ট এক্স-রে করার পরে এই বিষয়ে সুনির্দিষ্ট তথ্য পেয়েছেন চিকিৎসকরা। বিশেষজ্ঞরা আরও জানিয়েছেন, কোনও রোগী সেপসিস-এ আক্রান্ত হলে নিউমোনিয়া আরও জটিল হয়ে যায়।

দেখা গিয়েছে, হাসপাতালে ভর্তি থাকা ৫ থেকে ১০ শতাংশ নিউমোনিয়া রোগীর প্রাণ সংশয়ের মতো পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল। এই রোগীদের আইসিইউ বেডে রাখতে হলে মৃত্যুহার ৩০ শতাংশ অবধি পৌঁছে যাওয়ার ভয় ছিল। বিশেষজ্ঞরা বারবার বলছেন, পরিস্থিতি খারাপ হওয়া বা না হওয়ার পিছনে রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা কিন্তু অনেকখানি দায়ী থাকছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, বয়স্কদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা দুর্বল হওয়ার কারণে, নিউমোনিয়া হলেই শরীর আরও বেশি কাহিল হয়ে পড়ছে। ব্যাকটেরিয়া বা জীবাণুর সংক্রমণ কমাতে ওষুধ দেওয়া হচ্ছে ঠিকই, তবে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা নড়বড়ে হওয়ায় অসুখের সঙ্গে লড়াই চালানো কঠিন হয়ে পড়ছে কিছু কিছু রোগীর পক্ষে।

তাছাড়া নিউমোনিয়া একবার হলে দ্রুত নিরাময় হয় না। রোগের উপশমে কিছুদিন সময় লাগে। সমস্যা হল, কোনও ব্যক্তি কোভিড ১৯-এ আক্রান্ত হলে তাঁর শরীর এমনিতেই রোগের প্রকোপে দুর্বল হয়ে পড়ে। সেই সুযোগে অন্যান্য রোগজীবাণুরা দেহে আক্রমণ করার সুযোগ খোঁজে। বাস্তবে ঘটছেও তাই। করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ ঘটলে দুর্বল রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থার ফাঁক ফোকড় দিয়ে শরীরে ঢুকে যাচ্ছে অন্যান্য রোগজীবাণু। শানাচ্ছে আক্রমণ। অর্থাৎ কোভিড আমাদের সেকেন্ডারি ব্যাকটেরিয়াল ইনফেকশনের আশঙ্কা বাড়িয়ে তুলছে অনেকটাই। কোভিড রোগীর নিউমোনিয়া হচ্ছে সেকারণেই। সুতরাং এক্ষেত্রে নিউমোনিয়াকে কোভিড ১৯-এর প্রলম্বিত রূপই বলা চলে। সমস্যা হল কোভিড এবং নিউমোনিয়ার প্রকোপে ফুসফুস অত্যন্ত ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। রোগীর সেরে উঠতে লেগে যাচ্ছে মাসাধিককাল। কিছু কিছু ক্ষেত্রে রোগীকে অসুখের কাছে হার মানতেও হচ্ছে।

বয়স্ক মানুষ নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হলে তাই আলাদা ধরনের পরিচর্যার প্রয়োজন। এখন কীভাবে সন্দেহ করবেন কারও নিউমোনিয়া হয়েছে?

নিউমোনিয়ার লক্ষণ—

• সাধারণত নিউমোনিয়া রোগীর প্রবল জ্বরের সঙ্গে কাশি হবে। সেইসঙ্গে হলুদ রঙের কফ বের হয়। • রোগীর বুকের যে কোনও একপাশে কিংবা গোটা বুকেই ব্যথা হওয়ার উপসর্গও থাকে।

আরও পড়ুন: Weight Loss: ওজন কমানোর জন্য রোজ খালি পেটে পান করুন হিং জল! উপরি পাওনা উজ্জ্বল ত্বক!