AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Mangoes in Water: আম দেখেই কেটে খেয়ে ফেলেন? খাওয়ার আগে জলে ভিজিয়ে রাখা উচিত কেন, জানুন

Side Effects of Mangoes: বর্তমানে সময়ের আগে পাকানোর জন্য কার্বাইড ব্যবহার করার চল রয়েছে। তাই আমে থাকে বিষাক্ত কিটনাশক। গাছপাকার নাম করে কার্বাইডে পাকানো আম বিকোচ্চে দেদার। এই বিষাক্ত রাসায়নিকের জেরে শ্বাসযন্ত্রের সংক্রমণ, চোখ ও ত্বকের জ্বালা ও ক্যান্সারের লক্ষণ দেখা যায়। তবে এইসব রোগ থেকে রক্ষা পেতে আম ভিজিয়ে রেখে তারপর কেটে কেটে খান।

Mangoes in Water: আম দেখেই কেটে খেয়ে ফেলেন? খাওয়ার আগে জলে ভিজিয়ে রাখা উচিত কেন, জানুন
| Updated on: Jun 17, 2024 | 4:52 PM
Share

প্যাচপ্যাচে গরম, চড়া রোদ। তার মধ্যে সুমিষ্ট ও তাজা আম খেলে প্রাণটা জুড়িয়ে যায়। গরমকালে মন জোগানোর একটাই দাওয়াই, পাকা রসালো আম। ফলের রাজাকে সমীহ করে চলা উচিত। কারণ এই আম যেভাবে খাওয়া যেতে পারে তা ভাবা একেবারেই উচিত নয়। আম খেতে ভাল, কিন্তু সঠিক উপায়ে খাওয়া জরুরি। আম নিয়ে বাঙালি কেন সারা ভারতের মানুষের মধ্যে রয়েছে এক নস্টালজিয়া অনুভূতি। বাড়িতে আম আসার পরই সক্রিয় হয়ে ওঠে পুরনো স্মৃতি। গাছ থেকে পেরে বা বাজার থেকে কিনে আনার পর মা, ঠাকুমারা এক বালতি জলের মধ্যে আমগুলি ডুবিয়ে রাখতেন। বিশেষজ্ঞদের মতে, আম খাওয়ার আগে, ৩০ মিনিটের জন্য জলে আম ভিজিয়ে রাখা দরকার। আম খাওয়ার আগে জলের মধ্যে ভিজিয়ে রাখার পিছনে রয়েছে বৈজ্ঞানিক কারণ ও উপকারিতা।

আমে রয়েছে ভিটামিন সি, এ, কে, ই ও বি-এর একটি অলৌকিক উত্‍স। এছাড়া এতে রয়েছে ফাইটিক অ্যাসিড। প্রাকৃতিকভাবে থেকে এতে। ফাইটিক অ্যাসিডকে একটি অ্যান্টি-নিউট্রিয়েন্ট বলে মনে করা হয়। গরমের সময় শরীরের প্রয়োজনীয় খনিজ যেমন আয়রন, জিঙ্ক ও ক্যালসিয়ামের ঘাটতি কমায়। আম খাওয়ার আগে কয়েক ঘণ্টা জলে ভিজিয়ে রাখলে ফল থেকে এই অ্যান্টি-নিউট্রিয়েন্ট দূর হয়ে যায়, তার ফলে আম খাওয়া হয় নিরাপদ ও পুষ্টিকর।

আম স্বাদে অত্যন্ত মিষ্ট ও রসালো হওয়ায় অনেকেই মনে করেন, এই ফল খেলে শরীরে অতিরিক্ত চর্বি জমা হতে থাকে। আমে রয়েছে ফাইটোকেমিক্যাল , যা অল্প মাত্রায় উপকারী কিন্তু অতিরিক্ত মাত্রায় হিতে বিপরীত হতে পারে। এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে প্রথমে আধঘণ্টা আম ভিজিয়ে রাখলে ফাইটোকেমিক্যালের ঘনত্বকে কমে যায়। শরীরে মেদকে গলিয়ে ফেলতে দারুণ সাহায্য করে। তাই ওজন কমানো জন্য আর আমের স্বাদকে ভুলতে হবে না। রোজ খেতে পারেন ফলের রাজাকে।

বর্তমানে সময়ের আগে পাকানোর জন্য কার্বাইড ব্যবহার করার চল রয়েছে। তাই আমে থাকে বিষাক্ত কিটনাশক। গাছপাকার নাম করে কার্বাইডে পাকানো আম বিকোচ্চে দেদার। এই বিষাক্ত রাসায়নিকের জেরে শ্বাসযন্ত্রের সংক্রমণ, চোখ ও ত্বকের জ্বালা ও ক্যান্সারের লক্ষণ দেখা যায়। তবে এইসব রোগ থেকে রক্ষা পেতে আম ভিজিয়ে রেখে তারপর কেটে কেটে খান। জলে ভিজিয়ে রাখলে আমের ভিতর থেকে এই ক্ষতিকারক পদার্থগুলি বের হয়ে যায় সহজেই।

আম দ্রুত পাকানোর জন্য ক্যালসিয়াম কার্বাইড পাউচ ব্যবহার করেন অধিকাংশ সুবিধাভোগী মানুষরা। এই কার্বাইড ব্যবহারের ফলে অ্যাসিটিলিন গ্যাস তৈরি হয়। তাতে কৃত্রিমভাবে আম পাকা প্রক্রিয়াকে দ্রুত হয়ে যায়। বাজার থেকে গাছপাকা আম কিনে নিয়ে এলে এর সত্যতা যাচাইও করতে পারবেন। জলে ভিজিয়ে রাখলে খুব সহজেই বুঝতে পারবেন যে কোনটি প্রাকৃতিক পাকা আর কোনটি কৃত্রিম। এক বালতি জলের মধ্যে রাখলে গাছপাকা আম ডুবে যায়, আর কৃত্রিমভাবে পাকানো আম উপরে ভেসে ওঠে। এই সহজ পরীক্ষাটি নিশ্চিত করলেই আপনি থাকবেন নিরাপদ।

তাপ-প্ররোচিত বৈশিষ্ট্যগুলি হ্রাস করা: আমগুলি প্রায়শই তাদের তাপ-প্ররোচিত বৈশিষ্ট্যগুলির জন্য সমালোচিত হয়, যা ত্বকের সমস্যা যেমন ব্রণ এবং ফুসকুড়ি এবং মাথাব্যথা এবং বমি বমি ভাবের মতো সমস্যার কারণ হতে পারে, শর্মা বলেছেন। অন্তত আধা ঘণ্টা পানিতে আম ভিজিয়ে রাখলে তাদের থার্মোজেনিক বৈশিষ্ট্য কমে যায়, যা এগুলো খাওয়ার পরেও আপনার শরীরের তাপ স্থিতিশীল রাখতে সাহায্য করে।

তাজা ও সুস্বাদু আমের মধ্যে থাকে একটি রসালো ও আঠালো পদার্থ। আম খাওয়ার পর বহুজনের মুখ, ঠোঁট, জিভ ও গলা চুলকানি বা অ্যালার্জির প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করতে পারে। ভিজিয়ে রাখলে ফলের ল্যাটেক্স কমে যায়। নিরাপদে যত খুশি আম খেতে পারেন। যাদের ত্বক বেশ সেনসেটিভ, তাদের ল্যাটেক্স অ্যালার্জি বেশি দেখা যায়।

এছাড়া গরমকালে ঠাণ্ডা ঠাণ্ডা আম খেতে বেশি ভাল লাগে। তাই জলে ভিজিয়ে রাখলে আম থাকে পুষ্ট ও ঠাণ্ডা। সতেজতা বজায় থাকে অনেকক্ষণ পর্যন্ত। জলে ভিজিয়ে রেখে আম খেলে শরীর থাকে হাইড্রেটেড ও সতেজ। প্রতিটি কামড়ের সঙ্গে সঙ্গে একস্ট্রা হাইড্রেশন শুরু হতে থাকে। যা গরমের সময় সবচেয়ে উপকারীও বটে।